আ স ম আবদুর রব বলেন, রাষ্ট্রপতির অধ্যাদেশের মাধ্যমে এ ধরনের পরিবর্তন কার্যকর করা সমীচীন বা প্রয়োজনীয় নয়। বরং প্রকৃত প্রয়োজন ছিল— দলীয় ক্ষমতার অপব্যবহার করে যারা মিথ্যা মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তালিকাভুক্ত হয়ে রাষ্ট্রীয় সুযোগ-সুবিধা ভোগ করছে, তাদের তালিকা থেকে বাদ দেওয়া।
প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্যের তীব্র সমালোচনা করে যুক্ত বিবৃতিতে বাম জোট নেতারা বলেন, ‘মূলত ড. মুহাম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের এজেন্ডা বাস্তবায়ন এবং সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় নবগঠিত দলকে রাজনৈতিক সুবিধা দেওয়ার জন্য নির্বাচন পেছানোর অপকৌশল নেওয়া হয়েছে। এজন্য বিদেশে এই অ
এ সময় দলটির স্থায়ী কমিটি সংগঠনের সভাপতি শরীফ নুরুল আম্বিয়ার সভাপতিত্বে আলোচনায় অংশ নেন দলের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক প্রধান, স্থায়ী কমিটির সদস্য মুশতাক হোসেন, আবদুল কাদের হাওলাদার, এ টি এম মহব্বত আলী, করিম সিকদার, মঞ্জুর আহমেদ মঞ্জু, আনোয়ারুল ইসলাম বাবু, নাসিরুল হক নবাব; স্থায়ী কমিটির পর্যবেক্ষক সদস
কমরেড হায়দার আকবর খান রনোর প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)’র সভাপতি কমরেড মোহাম্মদ শাহ আলম ও সাধারণ সম্পাদক কমরেড রুহিন হোসেন প্রিন্স এক বিবৃতিতে বলেন, প্রয়াত কমরেড রনো এ দেশের গণতন্ত্র সমাজতন্ত্র অসাম্প্রদায়িক শোষণহীন সমাজ প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে চিরস্মরণীয় হয়ে আছেন।
সাইফুল হক আরো বলেন, মানবিক কারণেই বাংলাদেশ বার লক্ষ রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছে এবং তাদের খাদ্যসহ যাবতীয় মানবিক সহায়তা প্রদান অব্যাহত রেখেছে। কিন্তু বাংলাদেশের ভূখণ্ড দিয়ে আরাকান অঞ্চলে করিডোর দেওয়ার সাথে বাংলাদেশের জাতীয় নিরাপত্তার গভীর সম্পর্ক রয়েছে। এ ধরনের করিডোর দেয়া হলে তা বাংলাদেশকে নানা দিক থেক
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা বলছেন, বিগত কয়েক বছরে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনে বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনে গণসংহতি আন্দোলন সক্রিয় থাকলেও ৫ আগস্টের পর নির্বাচন ও সংস্কার প্রশ্নে দল দুটির মধ্যে কিছু মতপার্থক্য দেখা দিয়েছে। এ অবস্থায় বিএনপির সঙ্গে গণসংহতি আন্দোলনের জোট হবে কি না, তা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে।
দলটি বলছে, মানবিক করিডোর স্থাপানের এ সিদ্ধান্ত বাংলাদেশকে নানামুখী বিপদের মুখে ফেলতে পারে। মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ গৃহযুদ্ধকে এর মাধ্যমে বাংলাদেশের সীমান্তে নিয়ে আসা হবে।
বামপন্থি রাজনৈতিক দলগুলোর এই জোট বলছে, স্পর্শকাতর এ বিষয়টিতে সিদ্ধান্ত নিতে হলে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে তাদের মতামতের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। করিডোরের মতো বিষয়ে সিদ্ধান্তের জের ধরে বাংলাদেশের আঞ্চলিক যুদ্ধেও জড়িয়ে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করেছেন জোট নেতারা।
নেতৃবৃন্দ বলেন, এই করিডোর দেয়া হলে বাংলাদেশের সীমান্ত অরক্ষিত হয়ে পড়বে। এমনিতেই মিয়ানমারের নাসাকা বাহিনীর সাথে বাংলাদেশের বিজিবির নিয়মিত সংঘর্ষ চলছে। এই করিডোর দেয়া হলে মিয়ানমার জান্তা বাংলাদেশের নিরাপত্তাকেও নানা অজুহাতে বিপন্ন করে তুলবে।
ফিলিস্তিনির গাজায় ইসলায়েলি দখলদার বাহিনীর নৃশংস হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি। আজ মঙ্গলবার দলটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি কমরেড মাহমুদুল হাসান মানিক ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক কমরেড নুর আহমদ বকুল এক বিবৃতিতে এ নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।
বাসদ জেলা আহ্বায়ক আবু জাফরের সভাপতিত্বে ও সদস্যসচিব প্রণব জ্যোতি পালের পরিচালনায় সভায় বক্তব্য দেন- কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশীদ ফিরোজ, কেন্দ্রীয় সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য নিখিল দাস, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. আবুল কাশেম, জেলা বাসদের সাবেক আহ্বায়ক উজ্জ্বল রায়।
বিবৃতিতে দেশে চলমান আইনহীনতা, বিচারহীনতা, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির ক্রমাবনতি ও জননিরাপত্তাহীনতার অবসানে দেশের শুভবুদ্ধিসম্পন্ন সব ব্যক্তি ও দায়িত্বশীল রাজনৈতিক নেতাদের সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে জাসদ।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে নিশ্চিহ্নের নামে ফের ৫ ফেব্রুয়ারি মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের স্মারক ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে অবস্থিত বঙ্গবন্ধু বাড়ি আগুন, বুলডোজার ও ক্রেন দিয়ে খোদ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সামনে যেভাবে গুঁড়িয়ে দেওয়া হলো, তা ইতিহাসে এক ন্যাক্কারজনক কালো অধ্যায় সূচনা করল। বাংলাদেশের ওয়ার্কার্
গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের বরাত দিয়ে বজলুর রশীদ ফিরোজ বলেন, ‘গণ-অভ্যুত্থান-পরবর্তী বাংলাদেশে এ ধরনের অমানবিক নির্যাতন ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড দেশবাসীর জন্য গভীর উদ্বেগের। যা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।’
সংবিধান সংস্কার কমিটির প্রস্তাবের ওপর বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির পলিটব্যুরোর প্রতিক্রিয়া জানিয়ে শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) এক বিবৃতি প্রদান করেছে। বিবৃতিতে বাংলাদেশের নাম বদল ও সংবিধানের মৌলিক ভিত্তি পরিবর্তনের অধিকার অন্তর্বর্তী সরকারের নেই বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
মানববন্ধনে জানানো হয়, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকায় কবরস্থানে রেজিস্ট্রেশন ফির নামে এক হাজার টাকা ও অতিরিক্ত আরও ৮৬০ টাকা নেওয়া হয়। এ ছাড়া চাটাই, বাঁশ ও কবর খননের জন্য নেওয়া হয় প্রায় তিন হাজার টাকা।
সিপিবি নেতারা বলেন, জনজীবনের সংকট নিরসনের জন্য মধ্যস্বত্বভোগী ও সিন্ডিকেটের বিলোপ, সর্বজনীন রেশন ব্যবস্থা ও ন্যায্য মূল্যের দোকান চালুর দাবি বাস্তবায়ন না করে সরকার টিসিবির কর্মসূচির ট্রাক সেল বন্ধ করাসহ ৪৩ লাখ পরিবার কার্ড বাতিল করেছে। এর মাধ্যমে প্রায় অর্ধ কোটি পরিবারেরকে কম মূল্যে পণ্য দেওয়া থাকে