জাতীয় সনদে জনআকাঙ্ক্ষা থাকতে হবে : আ স ম রব

প্রতিবেদক, রাজনীতি ডটকম

জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সভাপতি আ স ম আবদুর রব বলেছেন, জাতীয় সনদ হতে হবে জনগণের প্রত্যাশা ও আকাঙ্ক্ষার প্রতিচ্ছবি। জাতীয় সনদ কেবল রাজনৈতিক সমঝোতার ফরমায়েশি দলিল হতে পারে না; এটি জনগণের রক্ত, ত্যাগ ও সংগ্রামের অমূল্য ফসল। তাই জাতীয় সনদ হতে হবে গণতান্ত্রিক অংশীদারিত্বের অবিচ্ছেদ্য দলিল- যা জনগণের ক্ষমতা, মর্যাদা ও অধিকারকে সাংবিধানিক ও রাজনৈতিকভাবে সুদৃঢ় করবে।

শনিবার (২৩ আগস্ট) ঢাকায় অনুষ্ঠিত দলের কেন্দ্রীয় কার্যকরী কমিটির সভায় এসব কথা বলেন তিনি।

রব বলেন, ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের ঘোষণাপত্রে যেমন সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক সুবিচারের দর্শন স্থান পেয়েছিল; তেমনি স্বাধীনতার পাঁচ দশক পর নতুন প্রেক্ষাপটে জাতীয় সনদেও সেই অভিপ্রায়ের পূর্ণ প্রতিফলন ঘটাতে হবে। অন্যথায় এটি জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে না।

তিনি বলেন, জাতীয় সনদ হবে এমন এক সামাজিক চুক্তি, যা জনগণকে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের অংশীদারিত্বের নিশ্চয়তা দেবে। জনগণকে বাদ দিয়ে, তাদের আকাঙ্ক্ষা উপেক্ষা করে জাতীয় সনদ রচনা হলে তা টেকসই হবে না।

সভায় দলের সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন বলেন, জাতীয় সনদ কেবল একটি কাগজ নয়; এটি জনগণের গণতান্ত্রিক অংশীদারিত্বের প্রতিশ্রুতি। যদি জনগণের আকাঙ্ক্ষা এবং অংশগ্রহণকে বাদ দিয়ে রচনা করা হয়, তবে সনদ কখনো টেকসই হবে না। দেশের সমৃদ্ধি ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে হলে বিকশিত সমাজ শক্তিকে ক্ষমতার কেন্দ্রে রাখতে হবে। এটাই হবে নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত।

সভায় জেএসডির জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি তানিয়া রব বলেন, ক্ষমতা কাঠামোতে জনগণের প্রতিনিধিত্ব ও কার্যকর অংশগ্রহণের সুযোগ না দিলে কোনো কাঠামোই স্থায়ী হয় না। তাই আমাদের লক্ষ্য হবে-রাষ্ট্রীয় সকল স্তরে নীতি নির্ধারণে, সিদ্ধান্ত গ্রহণে এবং বাস্তবায়নে সমাজের সকল অংশের জনগণের সক্রিয় ভূমিকা নিশ্চিত করা। এর নামই ‘অংশীদারিত্বের গণতন্ত্র’। এটা বাস্তবায়নে আমরা দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।

সভায় দেশের সার্বিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি, জাতীয় সনদ প্রণয়ন প্রক্রিয়া এবং জনগণের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার উপায় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন-দলের কেন্দ্রীয় নেতা অ্যাডভোকেট ছানোয়ার হোসেন তালুকদার, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ সিরাজ মিয়া, মোহাম্মদ তৌহিদ হোসেন, কামাল উদ্দিন পাটোয়ারী, বীর মুক্তিযোদ্ধা এস এম আনোয়ার হোসেন, মো. সোহরাব হোসেন, অ্যাডভোকেট মিয়া হোসেন, আমিন উদ্দিন বিএসসি, আবদুল লতিফ খান, নুরুল আকতার, অ্যাডভোকেট সৈয়দ ফাতেমা হেনা, অ্যাডভোকেট সৈয়দ বেলায়েত হোসেন বেলাল, মতিউর রহমান মতি, লোকমান হাকিম, অ্যাডভোকেট বিকাশ চন্দ্র সাহা, আমির উদ্দিন মাস্টার, বোরহান উদ্দিন চৌধুরী রোমান, অধ্যক্ষ হারুন অর রশীদ বাবুল, মোশারফ হোসেন মন্টু, বীর মুক্তিযোদ্ধা ওবাদুল কবির মোহন, আব্দুল্লাহ আল মামুন, মোশারেফ হোসেন মন্টু, আজম খান, মহুয়া কুদরত খোদা, ইলোরা খাতুন সোমা, বিপ্লব আজাদ, এইচ এম জাহাঙ্গীর, শাহাদাত হোসেন খোকন প্রমুখ।

ad
ad

রাজনীতি থেকে আরও পড়ুন

‘হতাশ হওয়ার কিছু নেই, হাসিনার বিচার দেশের মাটিতেই হতে হবে’

গুম-খুন-নির্যাতন ও মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড। হাসিনা সব গুম-খুনের জন্য দায়ী। হতাশ হওয়ার কিছু নেই, হাসিনার বিচার দেশের মাটিতেই হতে হবে। তার সর্বোচ্চ শাস্তি হতে হবে বলে জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

১ দিন আগে

রাজনীতি দিয়ে মোকাবিলা করুন, গায়ের জোর নয়: ডা. জাহিদ

ডা. জাহিদ হোসেন আরও বলেন, বাংলাদেশের মানুষ এই পিআর সিস্টেম ঠিকভাবে বোঝে না। তাই কোনো অবস্থাতেই এমন আচরণ করা উচিত নয় যা মানুষকে বিভ্রান্ত করে। বিভ্রান্তি দেশের সার্বভৌমত্ব এবং অস্তিত্বের জন্য মহাবিপদ ডেকে আনতে পারে।

১ দিন আগে

নাহিদসহ চীন সফরে যাচ্ছেন এনসিপির ৮ সদস্যের প্রতিনিধিদল

চীন সফরে যাচ্ছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আট সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল। আগামী ২৬ আগস্ট তাঁরা চীনের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়বেন। এনসিপির যুগ্ম সদস্যসচিব তাহসীন রিয়াজ আজকের পত্রিকাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

১ দিন আগে

ডাকসু নির্বাচন— ৯ প্যানেলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন যারা

ডাকসু নির্বাচনে বিভিন্ন পদের প্রার্থীসহ ভোটাররাও মনে করছেন, স্বতন্ত্রদের মধ্যে আলোচিত প্রার্থী থাকলেও মূল ভোটযুদ্ধ হবে ঘোষিত ৯টি প্যানেলের মধ্যেই। কিন্তু কারা রয়েছেন এই ৯টি প্যানেলের নেতৃত্বে? এসব প্যানেল থেকে সহসভাপতি (ভিপি) ও সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে প্রার্থী হয়েছেন কারা? তাদের একাডেমিক বা সাংগঠন

২ দিন আগে