জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারি এবং ওই আদেশের ওপর গণভোট আয়োজন করাসহ পাঁচ দাবিতে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় যমুনার সামনে অনির্দিষ্টকালের জন্য অবস্থানের হুঁশিয়ারি দিয়েছে জামায়াতে ইসলামীসহ আন্দোলনরত ৮ দল।
জুলাই সনদের গণভোট জাতীয় নির্বাচনের আগেই আয়োজনসহ পাঁচ দাবিতে রাজপথের আন্দোলনে জামায়াতে ইসলামীসহ আট দল। এ দাবি না মানলে কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি। অন্যদিকে বিএনপিসহ সমমনারাও জাতীয় নির্বাচনের দিনেই গণভোট আয়োজনের বিষয়ে অনড়। এ অবস্থায় জুলাই সনদের ভবিষ্যৎ কী, জুলাই সনদ ঘিরে অনিশ্চয়তা তৈরি হলে কি জাতীয় নির্
হেফাজত আমির তার বক্তৃতায় আরও বলেন, মওদুদির ফেতনা কাদিয়ানিদের ফেতনা থেকেও ভয়ংকর। কারণ, কাদিয়ানিজম হলো- ইসলামের বাইরের ফেতনা। যা সবাই সহজে চিনতে পারে, কিন্তু মওদুদিজম হলো- ইসলামের ঘরের ফেতনা। যে ফেতনার ভয়াবহতা সবাই ধরতে পারে না।
জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোট আয়োজন ও জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের আদেশ জারিসহ ৫ দফা দাবিতে আগামী ১১ নভেম্বর ঢাকায় মহাসমাবেশের ঘোষণা দিয়েছে আন্দোলনরত ৮ দলীয় জোট।
জুলাই সনদের জন্য দলগুলো বিভিন্ন ইস্যুতে ছাড় দিয়ে ঐকমত্যে পৌঁছালেও এখনো ভিন্নমতও রয়ে গেছে। সনদ বাস্তবায়ন নিয়ে যে গণভোটের সিদ্ধান্ত হয়েছিল, তার সময়রেখা নিয়েও রয়েছে তীব্র মতপার্থক্য। এর মধ্যে অন্তত ছয়টি দল সুস্পষ্টভাবেই বলে দিয়েছে, তারা জুলাই সনদে সই করবে না। আরও কয়েকটি দলও নানা শর্ত আরোপ করেছে রেখেছে
বিএনপির প্রধান প্রতিপক্ষ হিসেবে সামনে চলে এসেছে বিএনপিরই একসময়ের মিত্র জামায়াতে ইসলামী। দলটি নির্বাচনের প্রার্থী নির্দিষ্ট করে প্রস্তুতি শুরু করেছে আরও প্রায় বছরখানেক আগে।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের রাজনীতির কঠোর সমালোচনা করেছেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি। লক্ষ্মীপুরে এক অনুষ্ঠানে চরমোনাই পীরকে ‘ভণ্ড’ বলে অভিহিত করেছেন তিনি। ছেড়ে কথা বলেননি জামায়াতকেও। দলটিকে এ্যানি ‘জাতীয় বেইমান’ আখ্যা দিয়েছেন।
জুলাই সনদ বাস্তবায়নের পদ্ধতি, জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি, জাতীয় নির্বাচনে সংখ্যানুপাতিক (পিআর) পদ্ধতির প্রয়োগ— এই দাবিগুলোই রয়েছে ইসলামি দলগুলোর দাবি-দাওয়ার তালিকার শুরুতে, যেগুলো এখনো রয়েছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের আলোচনার টেবিলে। এ কারণেই বিএনপি এ কর্মসূচির সরাসরি বিরোধিতা করে তীব্র সমালোচনা করেছে আন্দোল
খেলাফত মজলিস বলছে, দলীয় কোনো সফর নয় এটি। তবে সফরে বিশেষভাবে আফগানিস্তানে মানবাধিকার ও নারী অধিকার বিষয়ে পশ্চিমা মহলে যে সমালোচনা রয়েছে, সে প্রসঙ্গে বাস্তব অবস্থান সরাসরি পরিদর্শন করবেন সফরকারীরা।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা চলমান থাকা অবস্থাতেই রাজপথে আন্দোলনে নেমেছে জামায়াতে ইসলামীসহ সাতটি ইসলামি দল। দিনভর মিছিল-সমাবেশে বিভিন্ন ইস্যুতে সরকারকে নিষ্ক্রিয় অভিহিত করে কঠোর সমালোচনা করেছেন এসব দলের নেতারা। দাবি না মানলে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন তা
বিবৃতিতে তারা বলেন, কাবার আদলে ১২ ফুট উঁচু নুরাল পাগলার মাজার ও বেদী নির্মাণ, নিজেকে ইমাম মাহদী দাবি ও নিজস্ব কালেমার প্রচলন ইত্যাদি শরিয়তবিরোধী কর্মকাণ্ড নিয়ে অনেক দিন ধরে রাজবাড়ীর স্থানীয় ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা ক্ষুব্ধ ছিলেন। নুরাল পাগলার পরিবারকে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা নানাভাবে বোঝানোর চেষ্টা ক
চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে ইসি কতটা নির্বিঘ্নে রোডম্যাপ ধরে নির্বাচনের পথে এগিয়ে যেতে পারবে, তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করছেন কেউ কেউ। কোনো কোনো রাজনৈতিক দল এই রোডম্যাপকে পুরোনো বন্দোবস্তে নির্বাচনি কর্মপরিকল্পনা বলে অভিহিতও করেছে।
সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করিম বলেন, যে জালিয়াতিপূর্ণ নির্বাচনের মাধ্যমে বাংলাদেশে সরকার গঠিত হয়, তা ফ্যাসিস্ট চরিত্রের সরকার ছাড়া আর কিছুই নয়। সেই সরকারের আমলে দেশের সম্পদ বিদেশে পাচার হয়, বেগমপাড়া গড়ে ওঠে। জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়ে দেশকে ধ্বংসের পথে ঠেলে দেওয়া হয়েছে।
রশাদবিরোধী গণআন্দোলনের সময় ছাত্র শিবিরের ভূমিকা নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়। অন্য ছাত্রসংগঠনগুলো যখন সর্বাত্মকভাবে আন্দোলনে অংশ নিচ্ছিল, তখন শিবির অনেক ক্ষেত্রে সরকারপন্থী অবস্থান নিয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। এর পাশাপাশি ক্যাম্পাসে সহিংসতার ঘটনা এবং কিছু হত্যাকাণ্ড ছাত্র শিবিরকে আরও বিতর্কিত করে তোলে। বিশেষ করে ১
দলটি আগামীতে সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে নির্বাচনী কাজে দায়িত্বপ্রাপ্তদের দল নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন, জুলাই সনদের ভিত্তিতে আগামীতে সব স্থানীয় ও জাতীয় নির্বাচন আয়োজন, পিআর পদ্ধতিতে ভোটগ্রহণ, আওয়ামী লীগের নিবন্ধন বাতিল এবং দলটির নেতাকর্মী ও সহযোগীদের নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণারও দাবি জানিয়েছে ইসলামী আন্দোলন।