গত বছরই সিদ্ধান্ত হয়েছিল, ইউএসএস ফোর্ড জুনের শেষ ভাগে ইউরোপীয় কমান্ড থিয়েটারে মোতায়েন করা হবে। তবে সূত্রগুলো বলছে, এখন মার্কিন নৌ বাহিনীর এ রণতরীকে ভূমধ্যসাগরের দিকে ইসরায়েলের কাছে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
আল জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, ট্রাম্পের এ ইঙ্গিত সরাসরি উড়িয়ে দিয়েছে ইরান। দেশটির জাতিসংঘ মিশনের পক্ষ থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়, কোনো ইরানি কর্মকর্তা কখনো হোয়াইট হাউসের দরজায় মাথা নোয়াতে যায়নি। জোর করে ইরানকে কোনো আলোচনায় নেওয়া যায়নি, চাপিয়ে দিলে ইরান শান্তিও গ্রহণ করবে না।
ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ সাইয়্যেদ আলী খামেনি সতর্ক করে বলেছেন, ‘ইরানের বিরুদ্ধে যেকোনো সামরিক অভিযান চালালে যুক্তরাষ্ট্রকে ‘অপূরণীয় ক্ষতির’ মুখে পড়তে হবে। কারণ ইরানি জাতি কখনোই আত্মসমর্পণ করবে না।’
দখলদার ইসরায়েলের রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসবাদ এবং গুণ্ডামির বিরুদ্ধে ইরানের আত্মরক্ষার অধিকার আছে জানিয়ে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান বলেন, “নিজেদের আত্মরক্ষায় ইসরায়েলের রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসবাদ এবং গুণ্ডামির বিরুদ্ধে এটি ইরানের খুবই স্বাভাবিক, বৈধ এবং আইনি অধিকার।”