আগামী শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) জুলাই সনদ সইয়ের কথা থাকলেও এতদিন ধরে ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠক করে আসা সব রাজনৈতিক দল এতে আসলেই সই করবে কি না, বুধবার (১৫ অক্টোবর) রাত পর্যন্ত তা নিয়ে অনিশ্চয়তা কাটেনি।
সনদ বাস্তবায়নের পদ্ধতি নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন আখতার হোসেন। জুলাই সনদ বাস্তবায়নের জন্য যে গণভোট আয়োজনের কথা বলা হয়েছে, সেটি পরিষ্কার হয়নি বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি। বলেন, ‘নোট অব ডিসেন্টের একটি সংজ্ঞা প্রয়োজন এবং যেভাবে সেগুলো বাস্তবায়ন করা হবে, সেই পথনকশা এবং গণভোট প্রসঙ্গ স্পষ্ট হওয়া প্রয়োজন।
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের প্রশংসা করলেও সামগ্রিকভাবে অন্তর্বর্তী সরকারের তীব্র সমালোচনা করেছেন ইকবাল করিম ভূঁইয়া। বলেছেন, জুলাই অভ্যুত্থানের মাধ্যমে দেশ পুনর্গঠন করার সুযোগ পেলেও বিভিন্ন মহলের স্বার্থের সংঘাতে শেষ পর্যন্ত পুরনো ব্যবস্থাই বহাল রয়েছে, কেবল বদলেছে সেই ব্যবস্থার সুবিধাভোগ
মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) সন্ধ্যায় ময়মনসিংহে তারেক স্মৃতি অডিটরিয়ামে এনসিপি ময়মনসিংহ জেলার সমন্বয় সভার শুরুতে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন সারজিস। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দেওয়ার পর তিনি সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, ‘সেফ এক্সিট’ নিয়ে যে কথাবার্তাগুলো চলছে, সেটি রাজনৈতিক দলগুলোর পক্ষ থেকে অন্তর্বর্তী সরকারের ওপর এক ধরনের চাপ তৈরির চেষ্টা। আদৌ বর্তমান প্রেক্ষাপটে ‘সেফ এক্সিট’ বিষয়টির বাস্তবতা রয়েছে কি না, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলছেন তারা।
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেছেন, ‘`বাংলাদেশের স্বার্থে এনসিপি এককভাবেও আগামী নির্বাচনে যেতে পারে। আবার কোনো অ্যালায়েন্সের মধ্য দিয়েও নির্বাচনে যেতে পারে। তবে, যদি সেটা অ্যালায়েন্স হয়; তাহলে এনসিপি নামেই নির্বাচন করবে। আমরা প্রত্যাশা করছি, শাপলা প্রতীকেই নির্ব
সারজিস আলম বলেন, এক দিন হইত, দুই দিন হইত কিচ্ছু বলতাম না। তিন দিনের তিন দিনই এটা হইছে। যারা এটা করছে, তারা হচ্ছে রাজনৈতিক... (প্রকাশ অযোগ্য শব্দ)। এই রাজনৈতিক দেউলিয়াদের আমরা দেখে নেব তাদের কলিজা কত বড় হইছে। কলিজা ছিঁড়ে রাস্তায় ফেলে রাখব।
বৈঠক শেষে পাটওয়ারী বলেন, তারা (ইসি) যেহেতু ব্যাখ্যা দিতে পারেনি, এখন আমরা প্রতীক প্রশ্নে নেই। আমরা মনে করেছি প্রতীক প্রশ্নে তাদের ওপর অন্য কিছু বিরাজ করছে। অথবা প্রতীক সামনে রেখে অন্য কোনো ষড়যন্ত্র করছে। আমরা মনে করি এই মাসের মধ্যেই এটা জাতির সামনে স্পষ্ট হবে।
আবারও নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কাছে দলীয় প্রতীক হিসেবে শাপলা চেয়ে ৭ ধরণের নমুনা এঁকে চিঠি দিয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। আজ মঙ্গলবার ই-মেইলের মাধ্যমে এ চিঠি পাঠানো হয়। কমিশনের সিনিয়র সচিব বরাবর পাঠানো চিঠিতে শাপলার সাতটি নমুনাচিত্রও যুক্ত করা হয়েছে।
সারজিস আলম বলেন, “কিছু উপদেষ্টা নির্বাচনের মাধ্যমে সসম্মানে কিভাবে ‘সেফ এক্সিট’ নেওয়া যায়, তা নিয়ে ভাবছেন। কিন্তু নির্বাচনের মধ্য দিয়ে চুপিচুপি দায়সারাভাবে সরে যাওয়া সম্মানের নয়। তাদের কারণেই বিচার, আইনশৃঙ্খলা ও বৈদেশিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে সমস্যা তৈরি হয়েছে।”
জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) তাদের কাঙ্ক্ষিত নির্বাচনী প্রতীক ‘শাপলা’ পেতে যাচ্ছে। নির্বাচন কমিশনের একাধিক সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। ইসির সাম্প্রতিক প্রকাশিত গেজেটে ‘শাপলা’ প্রতীক না থাকলেও দলটির আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে নতুন করে প্রতীকটি অন্তর্ভুক্ত করার উদ্যোগ নেবে ইসি।
এই চিঠিটা ইস্যু করার আগে তাদের আইনগতভাবে আরও কিছু ধাপ সম্পন্ন করার কথা ছিল যেটা তারা করেনি" এবং তাদের দেওয়া দুটি চিঠির বিষয়ে নিষ্পত্তি না করেই নির্বাচন কমিশন পরবর্তী ধাপে চলে গেছে বলে বলছেন মি. মুসা।
তিনি বলেন, বর্তমান সরকার এক বছরের বেশি সময় ধরে আছে। তিন মাসের মধ্যেই তারা নির্বাচন দিয়ে সরে যেতে পারত। কিন্তু তারা তা করেনি। তারা থেকে গেছে যাতে সংস্কার নিশ্চিত করা যায়। তাই জুলাই সনদ বাস্তবায়ন এই সরকারকেই করতে হবে তাদের নিজস্ব বৈধতার জন্য।
জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) যদি তাদের পছন্দের প্রতীক ‘শাপলা’ না পায়, তাহলে কঠোর আন্দোলনে যাবে এবং প্রয়োজন হলে নির্বাচন কমিশন (ইসি) ঘেরাও করার মতো কর্মসূচি দেওয়া হতে পারে—হুঁশিয়ারি দিয়েছেন দলের বরিশাল বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মুজাহিদুল ইসলাম শাহিন।
বিমানবন্দরে সংবাদ সম্মেলনে গিয়ে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতাকর্মীদের হাতে লাঞ্ছিত হয়েছেন গণমাধ্যমকর্মীরা। এ ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছে এনসিপি।
‘কিন্তু, গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে জন্ম নেওয়া এই নতুন বাংলাদেশে আমরা সেই সাম্প্রদায়িক বিভাজনের রাজনীতি ও ভয়ের সংস্কৃতিকে চিরতরে বিদায় জানাতে বদ্ধপরিকর। কোনো ধর্মীয় উৎসবকে আর কখনোই রাজনৈতিক কূটচালের শিকার হতে দেওয়া হবে না।’