পরে ১ নভেম্বর রাতে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রধান নির্বাচন কমিশনার সংগঠনের আমির নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করেন। প্রাপ্ত ফলাফল অনুযায়ী ২০২৬-২০২৮ কার্যকালের জন্য সর্বোচ্চ সংখ্যক ভোট পেয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির নির্বাচিত হন ডা. শফিকুর রহমান।
পাবনার ঈশ্বরদীতে নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় পালটাপালটি বিবৃতি দিয়েছে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী। দুটি দলেই এ সংঘর্ষকে তাদের ওপর অন্য দলের হামলা হিসেবে অভিহিত করেছে। দুই দলই প্রতিপক্ষ দলের সংসদ সদস্য প্রার্থীকে হামলায় নেতৃত্ব দেওয়ার অভিযোগ তুলেছে।
শারীরিকভাবে অসুস্থ জামায়াতের নায়েবে আমীর ও সাবেক সংসদ সদস্য ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহেরকে দেখতে হাসপাতালে গেলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
এর আগে গত শনিবার (২২ নভেম্বর) চট্টগ্রামের জিইসি কনভেনশন হলে জামায়াতে ইসলামী আয়োজিত নির্বাচনি দায়িত্বশীল সম্মেলনে জামায়াতের নেতা শাহজাহান চৌধুরী বলেন, ‘যার যার নির্বাচনি এলাকায় প্রশাসনকে আমাদের আন্ডারে নিয়ে আসতে হবে। আমাদের কথায় উঠবে, আমাদের কথায় বসবে, আমাদের কথায় গ্রেফতার করবে, আমাদের কথায় মামলা করব
রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ থাকা আওয়ামী লীগ আগামী নির্বাচনে অংশ নিতে পারছে না— এটি বারবার বলেছে নির্বাচন কমিশন। জাতীয় নির্বাচনে তাই সারা দেশে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা আওয়ামী লীগের সমর্থকদের ভোটের দিকে নজর সব রাজনৈতিক দলেরই। এরই মধ্যে আওয়ামী লীগ নিয়ে জামায়াত ও বিএনপি নেতাদের বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আল
জনসমর্থন এবং ভোটারের দিক থেকে বাংলাদেশে গোপালগঞ্জ আওয়ামী লীগের একটা শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত। জাতীয় নির্বাচনের পরিসংখ্যান বলছে, এখানে তিনটি আসনেই আওয়ামী লীগের নৌকা মার্কা বিপুল ভোটের ব্যবধানে জয়ী হয়। নৌকার বিপরীতের প্রার্থীদের অধিকাংশ ক্ষেত্রে জামানত বাজেয়াপ্ত হওয়ার ঘটনাও রয়েছে। এই গোপালগঞ্জে তিনটি
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, আগামী নির্বাচনে বাংলাদেশে নতুন ইতিহাস সৃষ্টি হবে। একটা সুষ্ঠু নির্বাচনের আশা নিয়ে জাতি বসে আছে। এই নির্বাচন অতীতের মতো কোনো ইঞ্জিনিয়ারিং বা পাঁয়তারা চালানো হলে সবাই বুলেট হয়ে বর্জন করবেন। দুষ্টুদের হাত অবশ করে দিবেন। শুধু ভোট দিবেন না ভোটের পাহারাদারীও করবেন।
প্রবাসী শ্রমিকদের সমস্যা তুলে ধরে তিনি বলেন, পাসপোর্ট, রেজিস্ট্রেশনসহ নানা হয়রানি বন্ধে একটি দুর্নীতিমুক্ত প্রশাসন প্রয়োজন। ক্ষমতায় গেলে প্রবাসীদের ভোটাধিকারসহ সব প্রশাসনিক জটিলতা সমাধানের উদ্যোগ নেওয়া হবে।
জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সংলাপে প্রণীত আচরণবিধির কয়েকটি দিক নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এবং বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামী প্রতিনিধি শিশির মনির।
গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘আপনারা লক্ষ্য করেছেন যে, এক মাসও হয়নি, ২০ দিনও হয়নি, একজন ডিসি চলে গেলেন। সেটাও হঠাৎ করে। আবার এক সপ্তাহের মধ্যে অনেককে রদবদল করা হয়েছে। এটার পেছনে মনে হয় অন্য কোনো উদ্দেশ্য আছে। তপশিল ঘোষণার পর প্রশাসনের সব ক্ষমতা ইসির হাতে আসে। সবচেয়ে নিরপেক্ষ এবং আস্থা রাখার মতো একটা উপায় হলো,
প্রতি কেন্দ্রে একজন সেনা সদস্য মোতায়েন করলে তেমন প্রভাব পড়বে না। তাই অন্তত পাঁচজন সেনা সদস্য মোতায়েনের বিষয়টি নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) বিবেচনা করার অনুরোধ জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার।
পোস্টে তিনি আরও লিখেছেন, এই সংকটময় সময়ে আমি আবারও স্মরণ করিয়ে দিতে চাই- আমাদের সংগ্রাম কারও বিরুদ্ধে নয়, আমাদের সংগ্রাম ন্যায়, অধিকার, গণতন্ত্র ও স্বাধীনতার পক্ষে। আমরা চাই এমন একটি বাংলাদেশ, যেখানে সব নাগরিক নিরাপদে মত প্রকাশ করতে পারে, যেখানে বিচার হবে নিরপেক্ষ এবং যেখানে পরিবর্তন আসবে শান্তিপূর্ণ
তিনি আরও বলেন, 'বাংলাদেশের রাজনীতি আইনের শাসন ও বিচারের ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন। এদেশের ১৮ কোটি মানুষের আকাঙ্খা ছিলো ঘৃণ্য মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার দৃশ্যমান করার। আংশিক হলেও ট্রাইব্যুনালের রায়ে জাতির আশা কিছুটা পূর্ণ হয়েছে।'
গণভোটের প্রশ্ন সহজ করার দাবি জানান গোলাম পরওয়ার। তিনি বলেন, মৌলিক সংস্কারের পক্ষে আট দল। এগুলো ভোটারদের কাছে সহজ ভাষায় তুলে ধরতে হবে সরকার এবং নির্বাচন কমিশনকে।
আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেন, জিয়াউর রহমান সাহেব যে বিএনপি করেছিলেন, সে সময় বিএনপি বড় দল এবং জনপ্রিয় দল। বেগম খালেদা জিয়া যখন বিএনপির নেতৃত্বে ছিলেন, তখনো বিএনপি ছিল বড় দল এবং জনপ্রিয় দল। আজকের সার্ভে বলে বিএনপি বড় দল, কিন্তু জনপ্রিয় দল নয়।
সরকার রাজনৈতিক দলগুলোকে সঙ্গে নিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নিলে তা জনগণের জন্য ভালো হয়। দলগুলোকে পাশ কাটিয়ে একপেশে সিদ্ধান্ত নিলে জনগণ ভোগান্তিতে পড়ে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির অধ্যাপক মুজিবুর রহমান।