
প্রতিবেদক, রাজনীতি ডটকম

‘জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫’ বাস্তবায়নে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন যেসব সুপারিশ দিয়েছে তা নতুন সংকট করেছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাবেক সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স। জুলাই সনদ বাস্তবায়নে গণভোট আয়োজনের ধারণাকেও অপ্রয়োজনীয় বলে অভিহিত করেছেন তিনি।
মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) জুলাই সনদ বাস্তবায়নের সুপারিশ নিয়ে ঐকমত্য কমিশনের সংবাদ সম্মেলনের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এমন প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন তিনি। তার দল সিপিবিসহ বামপন্থি চার দল এখন পর্যন্ত জুলাই সনদে সই করেনি।
রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, ঐকমত্য কমিশনের প্রস্তাব শুনলাম। এ বিষয়ে আমাদের পার্টি ও জোটের সঙ্গে আলোচনা করে চূড়ান্ত মতামত দেওয়া যাবে। আমার প্রাথমিক মন্তব্য হলো— জুলাই সনদের যে আইনি ভিত্তি দেওয়ার কথা বলা হয়েছে সেই ভিত্তি কে দেবেন? কীভাবে দেবেন? তার আইনি ভিত্তি কী?
ঐকমত্য কমিশন নতুন সংকট তৈরি করেছে উল্লেখ করে প্রিন্স বলেন, বলা হয়েছিল— যেসব প্রস্তাবে সব দল একমত হবে কেবল সেগুলো নিয়েই জুলাই সনদ হবে। তারপর আবার ভিন্নমতগুলোকেও রাখা হলো জুলাই সনদে। এখন দেখি ঐকমত্যের নামে আগের ভিন্নমত ও ‘নোট অব ডিসেন্ট’ তুলে দেওয়া হয়েছে। অথচ এসব বিষয়ে ঐক্যমত্যই হয়নি। ফলে এগুলোকে ঐক্যমত বলে নতুন সংকট তৈরি করা হলো।
গণভোট প্রসঙ্গে সিপিবির সাবেক এই সাধারণ সম্পাদক বলেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে গণভোটকে আমরা অপ্রয়োজনীয় মনে করেছি। প্রস্তাবে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে গণভোটের আলোচনা ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন ও তার প্রস্তুতিকে ব্যাহত করবে কি না, তা ভেবে দেখতে হবে।
কেবল গণভোট নয়, ‘সংবিধান সংস্কার পরিষদ’কেও অপ্রয়োজনীয় মনে করছেন প্রিন্স। তিনি বলেন, ‘সংবিধান সংস্কার পরিষদে’র কথা কেন বলা হলো, তা বোধগম্য নয়। এ বিষয়ে তো ঐক্যমত্য কমিশনে আলোচনা বা কোনো ঐক্যমত্য প্রতিষ্ঠা হয়নি। সংবিধান সংস্কার পরিষদকেও প্রয়োজন মনে করছি না।
তিনি আরও বলেন, যেসব বিষয় ঐকমত্য হয়েছে এবং সংবিধান সংশোধনের সঙ্গে যেগুলো যুক্ত, কেবল সেগুলো বাস্তবায়নের জন্য জাতীয় সংসদকে আলোচনার ভিত্তিতে সময় বেঁধে দেওয়া যেতে পারে। কিন্তু দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট সংসদের আলোচনা আরও গভীরভাবে হওয়া প্রয়োজন। এ জন্য মাত্র ৪৫ দিন সময় সময়ে দেওয়া যথাযথ নয়। এ মুহূর্তে প্রধান কাজ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। কোনোভাবেই এ কাজকে ব্যাহত করা যাবে না।
জনগণের কাছে বিচারের ভার ছেড়ে দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে এই সিপিবি নেতা বলেন, আলোচনার মধ্য দিয়ে জনগণের কাছে রাজনৈতিক দলগুলো যার যার বিবেচনা অনুযায়ী অঙ্গীকার করেছে। নির্বাচনের সময় ইশতেহারে আরও সুনির্দিষ্ট অঙ্গীকার করবে। তাদের ওপর আস্থা রাখা আর বিচারের ভার জনগণের ওপর ছেড়ে দেওয়া প্রয়োজন। রাজনৈতিক দল কথা না রাখলে জনগণই বিচার করবে।
‘মনে রাখতে হবে— আমরাই কি সব? আমরা কি সব মানুষের প্রতিনিধিত্ব করি? এর জন্য কি আমাদের ম্যান্ডেট আছে? জনগণের ওপরে এর দায়িত্ব ছেড়ে দিতে হবে। আর এর অন্যতম মাধ্যম হবে জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত সংসদ। যেসব বিষয়ে পূর্ণ ঐকমত্য হয়েছে, সেগুলো বাস্তবায়নের জন্য সংসদকে ৯ মাসের যে সময় সীমা দেওয়া হয়েছে সেটি বিবেচনা করা যেতে পারে। সংসদের অনুমোদন ছাড়া আপনাআপনি অনুমোদন হয়ে যাওয়া গ্রহণযোগ্য নয়,’— বলেন রুহিন হোসেন প্রিন্স।
সংসদের ওপরেই জুলাই সনদ বাস্তবায়নের ভার ছেড়ে দেওয়ার পক্ষে অভিমত জানিয়ে প্রিন্স বলেন, ‘আমরা আগেও বলেছি, এখনো বলছি— যেসব বিষয়ে আমরা সবাই একমত হয়েছি সেগুলোকে ঐকমত্য ধরতে হবে। এগুলো বাস্তবায়নের জন্য এখনকার আইনে পারমিট করলে সেগুলো বাস্তবায়ন করতে হবে। সংবিধান সংশোধনের সঙ্গে যুক্ত বিষয়গুলো সংসদের ওপরে ছেড়ে দিতে হবে। এর জন্য সময় নির্দিষ্ট করে দেওয়া যেতে পারে। প্রয়োজনে তখন গণভোট করতে হবে।’

‘জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫’ বাস্তবায়নে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন যেসব সুপারিশ দিয়েছে তা নতুন সংকট করেছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাবেক সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স। জুলাই সনদ বাস্তবায়নে গণভোট আয়োজনের ধারণাকেও অপ্রয়োজনীয় বলে অভিহিত করেছেন তিনি।
মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) জুলাই সনদ বাস্তবায়নের সুপারিশ নিয়ে ঐকমত্য কমিশনের সংবাদ সম্মেলনের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এমন প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন তিনি। তার দল সিপিবিসহ বামপন্থি চার দল এখন পর্যন্ত জুলাই সনদে সই করেনি।
রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, ঐকমত্য কমিশনের প্রস্তাব শুনলাম। এ বিষয়ে আমাদের পার্টি ও জোটের সঙ্গে আলোচনা করে চূড়ান্ত মতামত দেওয়া যাবে। আমার প্রাথমিক মন্তব্য হলো— জুলাই সনদের যে আইনি ভিত্তি দেওয়ার কথা বলা হয়েছে সেই ভিত্তি কে দেবেন? কীভাবে দেবেন? তার আইনি ভিত্তি কী?
ঐকমত্য কমিশন নতুন সংকট তৈরি করেছে উল্লেখ করে প্রিন্স বলেন, বলা হয়েছিল— যেসব প্রস্তাবে সব দল একমত হবে কেবল সেগুলো নিয়েই জুলাই সনদ হবে। তারপর আবার ভিন্নমতগুলোকেও রাখা হলো জুলাই সনদে। এখন দেখি ঐকমত্যের নামে আগের ভিন্নমত ও ‘নোট অব ডিসেন্ট’ তুলে দেওয়া হয়েছে। অথচ এসব বিষয়ে ঐক্যমত্যই হয়নি। ফলে এগুলোকে ঐক্যমত বলে নতুন সংকট তৈরি করা হলো।
গণভোট প্রসঙ্গে সিপিবির সাবেক এই সাধারণ সম্পাদক বলেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে গণভোটকে আমরা অপ্রয়োজনীয় মনে করেছি। প্রস্তাবে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে গণভোটের আলোচনা ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন ও তার প্রস্তুতিকে ব্যাহত করবে কি না, তা ভেবে দেখতে হবে।
কেবল গণভোট নয়, ‘সংবিধান সংস্কার পরিষদ’কেও অপ্রয়োজনীয় মনে করছেন প্রিন্স। তিনি বলেন, ‘সংবিধান সংস্কার পরিষদে’র কথা কেন বলা হলো, তা বোধগম্য নয়। এ বিষয়ে তো ঐক্যমত্য কমিশনে আলোচনা বা কোনো ঐক্যমত্য প্রতিষ্ঠা হয়নি। সংবিধান সংস্কার পরিষদকেও প্রয়োজন মনে করছি না।
তিনি আরও বলেন, যেসব বিষয় ঐকমত্য হয়েছে এবং সংবিধান সংশোধনের সঙ্গে যেগুলো যুক্ত, কেবল সেগুলো বাস্তবায়নের জন্য জাতীয় সংসদকে আলোচনার ভিত্তিতে সময় বেঁধে দেওয়া যেতে পারে। কিন্তু দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট সংসদের আলোচনা আরও গভীরভাবে হওয়া প্রয়োজন। এ জন্য মাত্র ৪৫ দিন সময় সময়ে দেওয়া যথাযথ নয়। এ মুহূর্তে প্রধান কাজ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। কোনোভাবেই এ কাজকে ব্যাহত করা যাবে না।
জনগণের কাছে বিচারের ভার ছেড়ে দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে এই সিপিবি নেতা বলেন, আলোচনার মধ্য দিয়ে জনগণের কাছে রাজনৈতিক দলগুলো যার যার বিবেচনা অনুযায়ী অঙ্গীকার করেছে। নির্বাচনের সময় ইশতেহারে আরও সুনির্দিষ্ট অঙ্গীকার করবে। তাদের ওপর আস্থা রাখা আর বিচারের ভার জনগণের ওপর ছেড়ে দেওয়া প্রয়োজন। রাজনৈতিক দল কথা না রাখলে জনগণই বিচার করবে।
‘মনে রাখতে হবে— আমরাই কি সব? আমরা কি সব মানুষের প্রতিনিধিত্ব করি? এর জন্য কি আমাদের ম্যান্ডেট আছে? জনগণের ওপরে এর দায়িত্ব ছেড়ে দিতে হবে। আর এর অন্যতম মাধ্যম হবে জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত সংসদ। যেসব বিষয়ে পূর্ণ ঐকমত্য হয়েছে, সেগুলো বাস্তবায়নের জন্য সংসদকে ৯ মাসের যে সময় সীমা দেওয়া হয়েছে সেটি বিবেচনা করা যেতে পারে। সংসদের অনুমোদন ছাড়া আপনাআপনি অনুমোদন হয়ে যাওয়া গ্রহণযোগ্য নয়,’— বলেন রুহিন হোসেন প্রিন্স।
সংসদের ওপরেই জুলাই সনদ বাস্তবায়নের ভার ছেড়ে দেওয়ার পক্ষে অভিমত জানিয়ে প্রিন্স বলেন, ‘আমরা আগেও বলেছি, এখনো বলছি— যেসব বিষয়ে আমরা সবাই একমত হয়েছি সেগুলোকে ঐকমত্য ধরতে হবে। এগুলো বাস্তবায়নের জন্য এখনকার আইনে পারমিট করলে সেগুলো বাস্তবায়ন করতে হবে। সংবিধান সংশোধনের সঙ্গে যুক্ত বিষয়গুলো সংসদের ওপরে ছেড়ে দিতে হবে। এর জন্য সময় নির্দিষ্ট করে দেওয়া যেতে পারে। প্রয়োজনে তখন গণভোট করতে হবে।’

সম্প্রীতির বাংলাদেশ গড়তে হলে নতুন নেতৃত্বের বিকল্প নেই। গণ অধিকার পরিষদ সেজন্য নতুন নেতৃত্ব সৃষ্টির কাজ করছে। আগামী নির্বাচনে গণ-অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নে জোটবদ্ধ নির্বাচনে গণ অধিকার পরিষদ নির্বাচন করলেও বেশিরভাগ আসনে ট্রাক প্রতীকে দলীয় প্রার্থীরা নির্বাচন করবেন। তিনি নির্বাচন কমিশনের প্রতীক
৭ ঘণ্টা আগে
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘জাতীয় ঐকমত্য কমিশন আজকে তাদের সুপারিশ সরকারের কাছে পেশ করেছে। জাতীয় ঐকমত্য কমিশনকে ধন্যবাদ না দিয়ে উপায় নেই। কেন ধন্যবাদ দিচ্ছি? অবশেষে তারা তাদের প্রক্রিয়া বা কার্যক্রম সমাপ্ত করতে পেরেছে।’
৮ ঘণ্টা আগে
তিনি বলেন, ‘আমরা চাই নির্বাচন কমিশন জনগণের আস্থা ফিরে পাক। এজন্য প্রশাসন, নির্বাচনকর্মী ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সম্পূর্ণ নিরপেক্ষতা জরুরি। আমরা যে প্রস্তাবগুলো দিয়েছি, সেগুলো বাস্তবায়িত হলে একটি বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন সম্ভব হবে।’
১১ ঘণ্টা আগে