প্রধান উপদেষ্টা ও সিইসির এ ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়েছে বিএনপিসহ সমমনা দলগুলো। অন্যদিকে আরও কিছু দল নির্বাচনের ঘোষণাকে স্বাগত জানালেও জুড়ে দিচ্ছে নানা শর্ত। জামায়াত ইসলামী, এনসিপি, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ও বাম ঘরোনার কিছু দল বলছে, নির্বাচনের আগেই এসব শর্ত পূরণ করতে হবে। জুলাই সনদসহ যেসব শর্ত দেওয়া হচ্ছ
বাংলাদেশে নতুন করে জঙ্গি তৎপরতার প্রসঙ্গ মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। সম্প্রতি বাংলাদেশি নাগরিকদের বিরুদ্ধে মালয়েশিয়া ও পাকিস্তান জঙ্গি সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ সামনে আনার পর আবারও আলোচনায় এসেছে এই ইস্যু।
ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে বিভেদ প্রকট হয়েছে। সংস্কারের পাশাপাশি নির্বাচন পদ্ধতি নিয়ে দূরত্ব দেখা দিয়েছে রাজপথে সক্রিয় দলগুলোর মধ্যে। একদিকে পিআর বা সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতিতে নির্বাচনের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে বিএনপি। অন্যদিকে পিআরের পক্ষে থাকা জামায়াতে ইসলামী, জাতীয় নাগরিক
বৈঠকে মাওলানা খুলিল আহমেদ কুরাইশী, মাওলানা সাজেদুর রহমান, মুফতি জসিম উদ্দিন, মাওলানা মাহফুজুল হক, মাওলানা মহিউদ্দীন রব্বানী, মাওলানা মামুনুল হক, মাওলানা আহমদ আলী কাসেমী, মুফতি মনির হোসাইন কাসেমী, মাও. আজিজুল হক ইসলামাবাদী, মুফতি বশির উল্লাহ এবং মুফতি কেফয়তুল্লাহ আজহারী উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকায় জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের অফিস স্থাপনের চুক্তি বাতিল না করলে কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দিয়েছে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, জনগণ নিরপেক্ষ নির্বাচন নিয়ে আশ্বস্ত নয়। আজ সোমবার দুপুরে ১৯ জুলাই অনুষ্ঠিতব্য জামায়াতের জাতীয় সমাবেশের মাঠ পরিদর্শন শেষে তিনি এ কথা বলেন।
রোববার (৬ জুলাই) বিকেলে রাজশাহীর একটি কমিউনিটি সেন্টারে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন। অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের রাজশাহী মহানগর শাখা।
জামায়াতের নায়েবে আমির বলেন, স্থানীয় নির্বাচন যদি গোলমেলে হয় তাতে জাতির উলটা পালটা কিছু হবে না। নির্বাচন ব্যবস্থাকে টেস্ট করার জন্য, পরীক্ষা করার জন্য যে তারা কেমন নির্বাচন করবে- সে জন্য জাতীয় সংসদের আগে অবশ্যই স্থানীয় নির্বাচন হতে হবে।
প্রচলিত একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা ভিত্তিক নির্বাচন পদ্ধতির তুলনায় পিআর পদ্ধতি ভিন্নভাবে কাজ করে। এখানে জনগণ সরাসরি কোনো ব্যক্তিকে ভোট না দিয়ে একটি দল বা তালিকাভুক্ত প্রার্থীদের ভোট দেয়।
শাহ মুহিবুল্লাহ বাবুনগরী বলেন, অতীতে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা মানবাধিকারের নামে ইসলামি শরিয়াহ, পারিবারিক আইন ও ধর্মীয় মূল্যবোধে হস্তক্ষেপের অপচেষ্টা করেছে। এসব হস্তক্ষেপ একদিকে যেমন জাতীয় সার্বভৌমত্বের ওপর আঘাত, অন্যদিকে মুসলিম সমাজের ধর্মীয় অনুভূতিরও পরিপন্থি। তাই বাংলাদেশে জাতিসংঘ মানবাধিকার কার
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ‘আগে নির্বাচনের পরিবেশ অবশ্যই তৈরি করতে হবে। এই পরিবেশ তৈরির জন্য সংস্কারের প্রশ্নগুলো উঠেছে। আমরা আশা করি যদি মৌলিক বিষয়গুলোতে কার্যকর সংস্কার করা যায় তাহলে আলহামদুলিল্লাহ একটা ভালো নির্বাচন হবে। এবং ‘যদি’র কোনো সুযোগ নেই। সংস্কার করতে হবে এবং ভালো নির্বাচনও করতে হবে।’
তিনি বলেন, পতিত ফ্যাসিবাদী সরকার শুধু জনগণ, দেশ বা গণতন্ত্রের বিরুদ্ধেই ছিল না, তারা ইসলামের বিরুদ্ধেও অবস্থান নিয়েছিল। বহু ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান তারা ধ্বংস করেছে। এই অরাজক পরিস্থিতি থেকে শহীদ আবু সাঈদ জীবন দিয়ে দেশকে মুক্ত করার চেষ্টা করেছেন। তিনি শুধু বীরই নন, আমরা মনে করি তিনি একজন সত্যিকারের শহীদ। আ
রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাংলাদেশের রাজনৈতিক বাস্তবতায় সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন না হলে ছোট দলের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করা কঠিন। এ পদ্ধতিতে ইসলামি দল বা বাম দল, এমনকি নতুন দল এনসিপিরও সংসদে কিছু আসন পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ থাকায় এবং জাতীয় পার্টিকে সরকার এড়িয়ে চলায় পিআর পদ্ধতি সম্পর্কে
১৫ জুলাই থেকে সরকারের প্রতিক্রিয়া স্পষ্ট হয়ে ওঠে। ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ঢাবি ও অন্যান্য ক্যাম্পাসে বিক্ষোভকারীদের উপর হামলা চালায়।
এই পদ্ধতির কিছু সীমাবদ্ধতাও আছে। সবচেয়ে বড় সীমাবদ্ধতা হলো—এতে অনেক সময় জোট সরকার গঠনে দীর্ঘ সময় লাগে।
ইসলামী আন্দোলনের আমির বলেন, ‘আমি শুরু থেকেই ইসলামপন্থী সকল ভোট একবাক্সে আনার কথা বলে আসছি। আগামী নির্বাচনে শুধু ইসলামি দলই নয়, বরং দেশপ্রেমিক আরও অনেক রাজনৈতিক দলও একবাক্স নীতিতে আসতে পারে, ইনশাআল্লাহ। যদি আমরা একত্রে নির্বাচন করতে পারি, যদি কার্যকর ঐক্য গড়ে তুলতে পারি, তাহলে বাংলাদেশে ইসলামপন্থীরাই
গাজী আতাউর রহমান বলেন, গণ-অভ্যুত্থানের পর গঠিত সংস্কার কমিশনসমূহের মধ্যে ৬টি কমিশনের প্রস্তাবনা আমাদের কাছে পাঠানো হয়েছিল। আমরা সেই প্রস্তাবনা পর্যালোচনা করে বিস্তারিত মতামত দিয়েছি। ভবিষ্যৎ স্বৈরতন্ত্র রোধ করা, সুশাসন প্রতিষ্ঠা ও রাষ্ট্র পরিচালনায় জনমতের প্রতিফলন নিশ্চিত করার বিষয়টি মুখ্য রেখে আমরা