কাউন্সিল অধিবেশন শুরু হবে সকাল ৯টা থেকে। এই গুরুত্বপূর্ণ সম্মেলনে সারাদেশের বিভিন্ন জেলা, বিভাগ এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করবেন। যেখানে সংগঠনের আগামী দিনের কর্মপরিকল্পনা নির্ধারণ করা হতে পারে।
ঘোষণা করা দুই কমিটির একটিতেও জায়গা হয়নি আবদুল কাদেরের, যিনি বাগছাসের ঢাবি শাখার আহ্বায়ক ছিলেন। কাদের ডাকসু নির্বাচনে বাগছাসের সহসভাপতি (ভিপি) প্রার্থীও ছিলেন।
আবু বাকের মজুমদার বলেন, আমরা মনে করি, এনসিপি যে ধারার রাজনীতি করে তাদের সেই আদর্শিক ধারা আর আমাদের আদর্শিক ধারা এক। সে কারণেই আমরা স্পষ্টভাবে বলছি, আমরা এনসিপির সহযোগী আদর্শিক ছাত্র সংগঠন হিসেবে কাজ করব। কিন্তু একে লেজুরবৃত্তিক সংগঠন বলা যাবে না।
ছাত্রশিবিরের বিরুদ্ধে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগও তুলেছে ছাত্রদল। এদিকে ক্যাম্পাস ঘিরে বিভিন্ন পয়েন্টে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মীদের উপস্থিতি দিনভর দেখা গেছে। তবে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।
এ নির্বাচনে ভিপি ভিপি নির্বাচিত হয়েছেন শিবির সমর্থিত ‘সম্প্রীতির শিক্ষার্থী জোট’ প্যানেলের ইব্রাহিম হোসেন রনি, জিএস হয়েছেন একই প্যানেলের সাঈদ বিন হাবিব৷ শীর্ষ তিন পদের তৃতীয়টি গেছে ছাত্রদলের ঘরে, জয় পেয়েছেন আইয়ুবুর রহমান তৌফিক।
সোহরাওয়ার্দী হল সংসদ নির্বাচনের ঘোষিত ফলে দেখা যায়, ছাত্রশিবির সমর্থিত প্রার্থী নেয়ামত উল্লাহ এক হাজার ২০৬ ভোট পেয়ে ভিপি পদে জয়ী হয়েছেন। তার চেয়ে মাত্র ৩ ভোট কম পেয়েছেন ছাত্রদলের প্রার্থী জমাদিউল আওয়াল, তার ভোট এক হাজার ২০৩টি।
তিনটি হলেই সহসভাপতি (ভিপি) পদে এগিয়ে রয়েছেন ছাত্রদলের প্রার্থীরা। সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে একটি হলে ছাত্রদল, একটি হলে বামপন্থি বিভিন্ন সংগঠনের জোট এবং আরেকটি হলে শিবির সমর্থিত প্যানেলের প্রার্থী এগিয়ে রয়েছেন। তিন হলের ফল মিলিয়ে ভিপি পদে ছাত্রদল ও জিএস পদে ছাত্রশিবির সমর্থিত প্রার্থী এগিয়ে রয়েছেন।
রাত পোহালেই সেই মাহেন্দ্রক্ষণ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) নির্বাচনের ভোটগ্রহণ। বুধবার (১৫ অক্টোবর) সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত একটানা চলবে সেই ভোট গ্রহণ। এই ভোটের মাধ্যমে কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের জন্য ২৬ জন ও হল সংসদের জন্য ১৪ জনসহ মোট ৪০ জন প্রতিনিধি নির্বাচিত করবেন চবি
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু), হল সংসদ ও সিনেটের ছাত্র প্রতিনিধি নির্বাচনে প্রচারণার সময়সীমা বাড়িয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় নির্বাচন কমিশন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান বলেছেন, দ্রুত ব্যালট ছাপানোর জন্য নিয়ম মেনে মূল ভেন্ডরের সঙ্গে সহযোগী ভেন্ডর নিযুক্ত করা হয়। ওই সহযোগী ভেন্ডর নীলক্ষেতে ব্যালট ছাপালেও সে তথ্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেনি। তবে নীলক্ষেতে ব্যালট ছাপানো হলে বা ব্যালট পেপারে সংখ্যায় গড়মিল পাওয়
বিবৃতিতে ছাত্রদল ঢাবি শাখার সভাপতি গণেশ চন্দ্র রায় সাহস ও সাধারণ সম্পাদক নাহিদুজ্জামান শিপন বলেন, ঢাবি প্রশাসনের ভূমিকা শিক্ষার্থীদের শঙ্কা আরও ঘনীভূত করেছে। আমরা আশাবাদী, যথাযথ বিশেষজ্ঞদের সহায়তায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন অবিলম্বে একটি স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ তদন্ত করে শিক্ষার্থীদের সামনে সত্য উপস্থাপন
ডাকসু নির্বাচনের প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তা বিজ্ঞপ্তিতে বলেন, ব্যালট পেপার সংক্রান্ত যে অভিযোগটি উঠেছে, তা কমিশন অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে পর্যবেক্ষণ ও তদন্ত করছে। এরই মধ্যে এ বিষয়ে অধিকতর তদন্তের কাজ চলমান রয়েছে। শিগগিরই একটি সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে কমিশন সব বিষয়ে বিস্তারিত উত্তর দেবে।
কর্তৃপক্ষের দাবি, সর্বোচ্চ গোপনীয়তার মধ্য দিয়ে অত্যন্ত উন্নত মানের ছাপাখানায় এ ব্যালট ছাপা হয়েছে বলেই দাবি তাদের। তবে বেসরকারি টিভি চ্যানেল নিউজটুয়েন্টিফোরের অনুসন্ধানে উঠে এসেছে, নীলক্ষেতের গাউসুল আজম মার্কেটের একটি ছাপাখানাতেই অরক্ষিত পরিবেশে ছাপা হয়েছে আলোচিত-সমালোচিত ডাকসু নির্বাচনের ব্যালট।
ওই নির্বাচনের ব্যালট নীলক্ষেত এলাকা থেকে ছাপানো হয়েছে বলে একটি গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হলে তারা বিক্ষোভ শুরু করেন। এর আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) কর্তৃপক্ষ বারবার দাবি করেছে, নীলক্ষেত থেকে ব্যালট ছাপা হয়নি।
মেঘমল্লার বসু বলেন, এসব বিষয়ে বারবার অবহিত করা হলেও প্রশাসন ইচ্ছাকৃতভাবে কালক্ষেপণ করেছে। এর ফলে ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচন-২০২৫ একটি অগণতান্ত্রিক, অনিয়মে পূর্ণ ও প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচন হিসেবে চিহ্নিত হতে চলেছে।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের পর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনও পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। প্রার্থীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে তিন দিন পিছিয়ে এ নির্বাচনের নতুন তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ১৫ অক্টোবর।