
প্রতিবেদক, রাজনীতি ডটকম

যেকোনো মূল্যে শরিফ ওসমান হাদির হত্যাকারীকে গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছে তার সংগঠন ইনকিলাব মঞ্চ। সংগঠনটি বলছে, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগেই হত্যাকারী ও তার মদতদাতাদের গ্রেপ্তার করতে হবে। এর আগে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ক্ষমতা ছাড়তে পারবেন না।
ওসমান হাদি হত্যাকাণ্ডের বিচারে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠনের দাবি জানিয়ে ইনকিলাব মঞ্চ আরও বলছে, এ ট্রাইব্যুনালের কাজে সহায়তার জন্য প্রয়োজনে এফবিআই বা স্কটল্যান্ড ইয়ার্ডের মতো পেশাদার সংস্থাকে কাজে লাগাতে হবে। রাষ্ট্রকে সবার সামনে এসে জানাতে হবে, তারা কী পদক্ষেপ নিয়েছে।
সোমবার (২২ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে ইনকিলাব মঞ্চের সদস্য সচিব আবদুল্লাহ আল জাবের এসব কথা বলেন। এ সময় তিনি বিকেল ৩টায় বিক্ষোভ মিছিল ও সেখান থেকে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণার কথা জানান।
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের প্রসঙ্গ টেনে আবদুল্লাহ আল জাবের বলেন, ‘আপনি বলেছেন, আপনি শরিফ ওসমান হাদির আদর্শকে বুকের মধ্যে ধারণ করেন। কিন্তু জানাজায় আপনি একবারও বলেননি, আপনি ওসমান হাদির বিচারের জন্য কী করবেন। এই যে এত বড় একটি হত্যাকাণ্ড, এর বিচারের জন্য আপনি কী ধরনের পদক্ষেপ নেবেন, এটা আপনার মুখ থেকে আমরা শুনতে পারি নাই।’
তিনি বলেন, ‘আপনার যে অসহায়ত্ব আমরা দেখতে পেয়েছি, আপনি কীসের জন্য অসহায়, সেটা আমরা জানতে চাই। আপনাকে কে অসহায় করে তুলল, সেটা আমাদের জানাতে হবে। এটা না জানিয়ে তড়িঘড়ি করে একটা নির্বাচন দিয়ে আপনি চলে যাবেন, এটা হবে না। নির্বাচনের আগেই ওসমান হাদির বিচার নিশ্চিত করতে হবে।’
ওসমান হাদির খুনি দেশে রয়েছে নাকি ভারতে পালিয়ে গেছে, সে বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য নেই বলে জানিয়েছে পুলিশ। ইনকিলাব মঞ্চের দাবি, হত্যাকারী ভারতে পালিয়ে গিয়ে থাকলে দেশটির সঙ্গে বন্দি বিনিময়ের যে চুক্তি বাংলাদেশের রয়েছে, তা প্রয়োগ করে দ্রুত তাকে নিয়ে আসতে হবে।
আব্দুল্লাহ আল জাবের বলেন, খুনি দেশে না থাকলে আপনারা সুস্পষ্টভাবে বলেন যে খুনি ভারতে পালিয়ে গেছে। ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের বন্দি বিনিময় চুক্তি আছে। উলফার (ভারতের আসাম রাজ্যের স্বাধীনতাকামী বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র সংগঠন) সদস্যদের সেই চুক্তির মাধ্যমে ভারতে পাঠানো হয়েছে। তাহলে শেখ হাসিনাসহ আমাদের খুনিদের কেন আনা যাবে না? বাংলাদেশ থেকে বন্দি যাবে, কিন্তু আসবে না; ওই দেশ সন্ত্রাসীদের অভয়ারণ্যে পরিণত হবে!
ওসমান হাদি হত্যার দ্রুত বিচার নিশ্চিত করতে আগামী ২৪ ঘণ্টার জন্য বিশেষ বিচারিক ট্রাইব্যুনাল গঠনের জোর দাবি জানান আব্দুল্লাহ আল জাবের বলেন, ট্রাইব্যুনাল গঠন করুন। দেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, গোয়েন্দা সংস্থা যদি না পারে, তাহলে এফবিআই (যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি গোয়েন্দা সংস্থা ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন) ও স্কটল্যান্ড ইয়ার্ডের (যুক্তরাজ্যের লন্ডনের নগর পুলিশের সদর দপ্তর) সহায়তা নিতে হবে। কিন্তু খুনিদের গ্রেপ্তার করতেই হবে।
বিকেলে বিক্ষোভের কথা জানিয়ে ইনকিলাব মঞ্চের এই সদস্য সচিব বলেন, আমরা ওসমান হাদি ভাইয়ের হত্যার বিচারের দাবিতে বিকেল ৩টায় বিক্ষোভ মিছিল করব। সেখান থেকে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। তবে ওসমান হাদি ভাইয়ের খুনি ও তার মদতদাতাদের গ্রেপ্তার না করা পর্যন্ত আমরা রাজপথে থাকব।
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৮ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চেয়েছিলেন ওসমান হাদি। এ আসনে ইনকিলাব মঞ্চের পক্ষ থেকে কেউ প্রার্থী হবেন কি না— এ প্রশ্নের জবাবে আব্দুল্লাহ আল জাবের বলেন, ‘ইনকিলাব মঞ্চ এখনো এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি। কোনো আলোচনাও হয়নি। শিগগিরই আমরা আলোচনায় বসব এবং যেকোনো সিদ্ধান্ত হলে সবাইকে জানাব। ওসমান হাদি লুকোচুরি পছন্দ করতেন না। আমরাও লুকোচুরি করব না।’

যেকোনো মূল্যে শরিফ ওসমান হাদির হত্যাকারীকে গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছে তার সংগঠন ইনকিলাব মঞ্চ। সংগঠনটি বলছে, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগেই হত্যাকারী ও তার মদতদাতাদের গ্রেপ্তার করতে হবে। এর আগে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ক্ষমতা ছাড়তে পারবেন না।
ওসমান হাদি হত্যাকাণ্ডের বিচারে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠনের দাবি জানিয়ে ইনকিলাব মঞ্চ আরও বলছে, এ ট্রাইব্যুনালের কাজে সহায়তার জন্য প্রয়োজনে এফবিআই বা স্কটল্যান্ড ইয়ার্ডের মতো পেশাদার সংস্থাকে কাজে লাগাতে হবে। রাষ্ট্রকে সবার সামনে এসে জানাতে হবে, তারা কী পদক্ষেপ নিয়েছে।
সোমবার (২২ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে ইনকিলাব মঞ্চের সদস্য সচিব আবদুল্লাহ আল জাবের এসব কথা বলেন। এ সময় তিনি বিকেল ৩টায় বিক্ষোভ মিছিল ও সেখান থেকে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণার কথা জানান।
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের প্রসঙ্গ টেনে আবদুল্লাহ আল জাবের বলেন, ‘আপনি বলেছেন, আপনি শরিফ ওসমান হাদির আদর্শকে বুকের মধ্যে ধারণ করেন। কিন্তু জানাজায় আপনি একবারও বলেননি, আপনি ওসমান হাদির বিচারের জন্য কী করবেন। এই যে এত বড় একটি হত্যাকাণ্ড, এর বিচারের জন্য আপনি কী ধরনের পদক্ষেপ নেবেন, এটা আপনার মুখ থেকে আমরা শুনতে পারি নাই।’
তিনি বলেন, ‘আপনার যে অসহায়ত্ব আমরা দেখতে পেয়েছি, আপনি কীসের জন্য অসহায়, সেটা আমরা জানতে চাই। আপনাকে কে অসহায় করে তুলল, সেটা আমাদের জানাতে হবে। এটা না জানিয়ে তড়িঘড়ি করে একটা নির্বাচন দিয়ে আপনি চলে যাবেন, এটা হবে না। নির্বাচনের আগেই ওসমান হাদির বিচার নিশ্চিত করতে হবে।’
ওসমান হাদির খুনি দেশে রয়েছে নাকি ভারতে পালিয়ে গেছে, সে বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য নেই বলে জানিয়েছে পুলিশ। ইনকিলাব মঞ্চের দাবি, হত্যাকারী ভারতে পালিয়ে গিয়ে থাকলে দেশটির সঙ্গে বন্দি বিনিময়ের যে চুক্তি বাংলাদেশের রয়েছে, তা প্রয়োগ করে দ্রুত তাকে নিয়ে আসতে হবে।
আব্দুল্লাহ আল জাবের বলেন, খুনি দেশে না থাকলে আপনারা সুস্পষ্টভাবে বলেন যে খুনি ভারতে পালিয়ে গেছে। ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের বন্দি বিনিময় চুক্তি আছে। উলফার (ভারতের আসাম রাজ্যের স্বাধীনতাকামী বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র সংগঠন) সদস্যদের সেই চুক্তির মাধ্যমে ভারতে পাঠানো হয়েছে। তাহলে শেখ হাসিনাসহ আমাদের খুনিদের কেন আনা যাবে না? বাংলাদেশ থেকে বন্দি যাবে, কিন্তু আসবে না; ওই দেশ সন্ত্রাসীদের অভয়ারণ্যে পরিণত হবে!
ওসমান হাদি হত্যার দ্রুত বিচার নিশ্চিত করতে আগামী ২৪ ঘণ্টার জন্য বিশেষ বিচারিক ট্রাইব্যুনাল গঠনের জোর দাবি জানান আব্দুল্লাহ আল জাবের বলেন, ট্রাইব্যুনাল গঠন করুন। দেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, গোয়েন্দা সংস্থা যদি না পারে, তাহলে এফবিআই (যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি গোয়েন্দা সংস্থা ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন) ও স্কটল্যান্ড ইয়ার্ডের (যুক্তরাজ্যের লন্ডনের নগর পুলিশের সদর দপ্তর) সহায়তা নিতে হবে। কিন্তু খুনিদের গ্রেপ্তার করতেই হবে।
বিকেলে বিক্ষোভের কথা জানিয়ে ইনকিলাব মঞ্চের এই সদস্য সচিব বলেন, আমরা ওসমান হাদি ভাইয়ের হত্যার বিচারের দাবিতে বিকেল ৩টায় বিক্ষোভ মিছিল করব। সেখান থেকে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। তবে ওসমান হাদি ভাইয়ের খুনি ও তার মদতদাতাদের গ্রেপ্তার না করা পর্যন্ত আমরা রাজপথে থাকব।
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৮ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চেয়েছিলেন ওসমান হাদি। এ আসনে ইনকিলাব মঞ্চের পক্ষ থেকে কেউ প্রার্থী হবেন কি না— এ প্রশ্নের জবাবে আব্দুল্লাহ আল জাবের বলেন, ‘ইনকিলাব মঞ্চ এখনো এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি। কোনো আলোচনাও হয়নি। শিগগিরই আমরা আলোচনায় বসব এবং যেকোনো সিদ্ধান্ত হলে সবাইকে জানাব। ওসমান হাদি লুকোচুরি পছন্দ করতেন না। আমরাও লুকোচুরি করব না।’

বিবৃতিতে আরও বলেন, ‘এটা ছাত্রশিবিরের কোনো অফিশিয়াল বক্তব্য বা অবস্থান নয়। আমরা স্পষ্ট ঘোষণা করছি, গণমাধ্যমে কিংবা কোনো সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানে হামলার সঙ্গে ছাত্রশিবির দূরতম কোনো সম্পর্ক নেই। পাশাপাশি এ ধরনের হামলার ঘটনা কোনোভাবেই সমর্থনযোগ্য নয়। আশা করি অপপ্রচারের কারণে সৃষ্ট ভুল বোঝাবুঝি অবসান হবে।’
১৭ ঘণ্টা আগে
বক্তব্যের শুরুতেই শহীদ ওসমান হাদির স্মৃতিচারণা করে তারেক রহমান বলেন, ‘ওসমান হাদি ছিলেন গণতন্ত্রের অকুতোভয় সৈনিক। তিনি ভোটের রাজনীতিতে বিশ্বাস করতেন বলেই নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছিলেন।’ জুলাই আন্দোলনের শহীদ ও যোদ্ধাদের পাশাপাশি ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের সম্মান অক্ষুণ্ণ রাখতে দেশ গড়ার কা
১৯ ঘণ্টা আগে
জামায়াতের সেক্রেটারি বলেন, ‘গুলির পর ৬ ঘণ্টা পরে কেন সীমান্ত সিলগালা করা হয়েছে? গোয়েন্দাদের অভ্যন্তরে লুকিয়ে থাকা ফ্যাসিস্ট ও আধিপত্যবাদের দোসররা লুকিয়ে থেকে খুনিকে পালানোর সুযোগ করে দিয়েছে।’
২০ ঘণ্টা আগে
তিনি বলেন, “আমি যা বলি, আমি তাই করি। এটা ভালো হলে ভালো, মন্দ হলে আমার কিছু করার নাই। আপনারা যদি আমার পাশে থাকেন, ইনশাল্লাহ মার্কা যা-ই হোক, নির্বাচন করব আমি সরাইল–আশুগঞ্জ থেকেই।”
১ দিন আগে