
প্রতিবেদক, রাজনীতি ডটকম

প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় ইসলামী ছাত্রশিবিরকে দায় দেওয়ার অপচেষ্টা চলছে বলে মনে করছে সংগঠনটি। এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে ছাত্রশিবির বলছে, তাদের রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) দুই শীর্ষ নেতার এ ধরনের বক্তব্য ‘ব্যক্তিগত’ এবং এগুলো ‘স্লিপ অব টাং’ ছিল, যা উল্লেখ করে তারা দুঃখ প্রকাশ করেছেন।
রোববার (২১ ডিসেম্বর) এক যৌথ বিবৃতিতে ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম ও সেক্রেটারি জেনারেল নূরুল ইসলাম সাদ্দাম এ প্রতিবাদ জানান।
বিবৃতিতে ছাত্রশিবিরের সভাপতি ও সেক্রেটারি বলেন, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির সবসময় গণমাধ্যম ও স্বাধীন সাংবাদিকতার প্রতি শ্রদ্ধাশীল। আমরা মনে করি, গণমাধ্যমের ওপর যেকোনো ধরনের হামলা মতপ্রকাশের স্বাধীনতার ওপর সরাসরি আঘাত। এ ধরনের কর্মকাণ্ড ছাত্রশিবির কখনোই সমর্থন করে না।
শিবিরের শীর্ষ দুই নেতা অভিযোগ করে বলেন, অত্যন্ত উদ্বেগের বিষয় হলো— একটি স্বার্থান্বেষী মহল পরিকল্পিতভাবে ডেইলি স্টার ও প্রথম আলো কার্যালয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের দায় ছাত্রশিবিরের ওপর চাপিয়ে দিয়ে প্রকৃত ঘটনা আড়াল করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। আমরা এই উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অপপ্রচার, ষড়যন্ত্র ও অপরাজনীতির তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার রাতে ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদির মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে তাৎক্ষণিকভাবে আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে বক্তব্য রাখেন রাকসুর সহসভাপতি (ভিপি) ও রাবি শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি মোস্তাকুর রহমান। তিনি বলেন, ‘আমরা আজকের এই প্রোগ্রাম থেকে ঘোষণা দিচ্ছি— প্রথম আলো, ডেইলি স্টারসহ এসব সুশীল সংবাদ পত্রিকাকে অবশ্যই বন্ধ করতে হবে। আমরা মনে করি, এই প্রোগ্রামে যদি প্রথম আলো, ডেইলি স্টার পত্রিকার কোনো সাংবাদিক আসেন, তাহলে এখনই এখান থেকে চলে যাবেন।’
কাছাকাছি সময়ে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়েও বিক্ষোভ মিছিল হয়। মিছিল-পরবর্তী সমাবেশ হয় সেখানকার শহিদ মিনারে। সেখানে জাবি ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘রাজনৈতিক লড়াই করে বাংলাদেশের প্রকৃত স্বাধীনতা অর্জন করা সম্ভব নয়। আমাদের লড়াই শুরু হবে শহিদ ওসমান হাদির ইনকিলাব মঞ্চের সাংস্কৃতিক লড়াইয়ের মধ্য দিয়ে। আগামীকাল (শুক্রবার) বাম, শাহবাগি, ছায়ানট, উদীচীকে তছনছ করে দিতে হবে, তাহলেই বাংলাদেশের প্রকৃত স্বাধীনতা অর্জিত হবে।’
ওই রাতেই প্রথমে কারওয়ান বাজারে প্রথম আলো কার্যালয় ও সেখান থেকে ফার্মগেট এলাকায় ডেইলি কার্যালয়ে হামলা চালানো হয়। ভাঙচুর করে দুটি গণমাধ্যমেই আগুন দেওয়া হয়। পরে ধানমন্ডিতে ছায়ানটের প্রধান ভবনেও হামলা ও ব্যাপক ভাঙচুর চালানো হয়।
শিবিরের দায়িত্বশীল এ দুই নেতার বক্তব্য ‘ব্যক্তিগত’ উল্লেখ করে সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সেক্রেটারি বিবৃতিতে বলেন, ‘তাদের ব্যক্তিগত বক্তব্যকে কেন্দ্র করে ছাত্রশিবিরের ওপর দায় চাপানোর অপচেষ্টা চালানো হয়। সংশ্লিষ্ট বক্তব্যগুলো ছিল সম্পূর্ণ তাদের ব্যক্তিগত। এরই মধ্যে সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীলরা নিজ নিজ বক্তব্যের বিষয়ে ব্যাখ্যা দিয়েছেন এবং বক্তব্যের ক্ষেত্রে অনিচ্ছাকৃত ‘স্লিপ অব টাং’য়ের বিষয়ে দুঃখ প্রকাশ করেছেন।’
তারা বিবৃতিতে আরও বলেন, ‘এটা ছাত্রশিবিরের কোনো অফিশিয়াল বক্তব্য বা অবস্থান নয়। আমরা স্পষ্ট ঘোষণা করছি, গণমাধ্যমে কিংবা কোনো সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানে হামলার সঙ্গে ছাত্রশিবির দূরতম কোনো সম্পর্ক নেই। পাশাপাশি এ ধরনের হামলার ঘটনা কোনোভাবেই সমর্থনযোগ্য নয়। আশা করি অপপ্রচারের কারণে সৃষ্ট ভুল বোঝাবুঝি অবসান হবে।’
এসব হামলা-ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনার ‘নিরপেক্ষ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য তদন্ত’ দাবি করেছে ছাত্রশিবির। একই সঙ্গে গণমাধ্যম ও জনমনে বিভ্রান্তি ছড়ানো থেকে বিরত থাকতে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জাহিদুল ইসলাম ও সেক্রেটারি জেনারেল নূরুল ইসলাম সাদ্দাম।

প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় ইসলামী ছাত্রশিবিরকে দায় দেওয়ার অপচেষ্টা চলছে বলে মনে করছে সংগঠনটি। এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে ছাত্রশিবির বলছে, তাদের রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) দুই শীর্ষ নেতার এ ধরনের বক্তব্য ‘ব্যক্তিগত’ এবং এগুলো ‘স্লিপ অব টাং’ ছিল, যা উল্লেখ করে তারা দুঃখ প্রকাশ করেছেন।
রোববার (২১ ডিসেম্বর) এক যৌথ বিবৃতিতে ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম ও সেক্রেটারি জেনারেল নূরুল ইসলাম সাদ্দাম এ প্রতিবাদ জানান।
বিবৃতিতে ছাত্রশিবিরের সভাপতি ও সেক্রেটারি বলেন, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির সবসময় গণমাধ্যম ও স্বাধীন সাংবাদিকতার প্রতি শ্রদ্ধাশীল। আমরা মনে করি, গণমাধ্যমের ওপর যেকোনো ধরনের হামলা মতপ্রকাশের স্বাধীনতার ওপর সরাসরি আঘাত। এ ধরনের কর্মকাণ্ড ছাত্রশিবির কখনোই সমর্থন করে না।
শিবিরের শীর্ষ দুই নেতা অভিযোগ করে বলেন, অত্যন্ত উদ্বেগের বিষয় হলো— একটি স্বার্থান্বেষী মহল পরিকল্পিতভাবে ডেইলি স্টার ও প্রথম আলো কার্যালয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের দায় ছাত্রশিবিরের ওপর চাপিয়ে দিয়ে প্রকৃত ঘটনা আড়াল করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। আমরা এই উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অপপ্রচার, ষড়যন্ত্র ও অপরাজনীতির তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার রাতে ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদির মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে তাৎক্ষণিকভাবে আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে বক্তব্য রাখেন রাকসুর সহসভাপতি (ভিপি) ও রাবি শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি মোস্তাকুর রহমান। তিনি বলেন, ‘আমরা আজকের এই প্রোগ্রাম থেকে ঘোষণা দিচ্ছি— প্রথম আলো, ডেইলি স্টারসহ এসব সুশীল সংবাদ পত্রিকাকে অবশ্যই বন্ধ করতে হবে। আমরা মনে করি, এই প্রোগ্রামে যদি প্রথম আলো, ডেইলি স্টার পত্রিকার কোনো সাংবাদিক আসেন, তাহলে এখনই এখান থেকে চলে যাবেন।’
কাছাকাছি সময়ে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়েও বিক্ষোভ মিছিল হয়। মিছিল-পরবর্তী সমাবেশ হয় সেখানকার শহিদ মিনারে। সেখানে জাবি ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘রাজনৈতিক লড়াই করে বাংলাদেশের প্রকৃত স্বাধীনতা অর্জন করা সম্ভব নয়। আমাদের লড়াই শুরু হবে শহিদ ওসমান হাদির ইনকিলাব মঞ্চের সাংস্কৃতিক লড়াইয়ের মধ্য দিয়ে। আগামীকাল (শুক্রবার) বাম, শাহবাগি, ছায়ানট, উদীচীকে তছনছ করে দিতে হবে, তাহলেই বাংলাদেশের প্রকৃত স্বাধীনতা অর্জিত হবে।’
ওই রাতেই প্রথমে কারওয়ান বাজারে প্রথম আলো কার্যালয় ও সেখান থেকে ফার্মগেট এলাকায় ডেইলি কার্যালয়ে হামলা চালানো হয়। ভাঙচুর করে দুটি গণমাধ্যমেই আগুন দেওয়া হয়। পরে ধানমন্ডিতে ছায়ানটের প্রধান ভবনেও হামলা ও ব্যাপক ভাঙচুর চালানো হয়।
শিবিরের দায়িত্বশীল এ দুই নেতার বক্তব্য ‘ব্যক্তিগত’ উল্লেখ করে সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সেক্রেটারি বিবৃতিতে বলেন, ‘তাদের ব্যক্তিগত বক্তব্যকে কেন্দ্র করে ছাত্রশিবিরের ওপর দায় চাপানোর অপচেষ্টা চালানো হয়। সংশ্লিষ্ট বক্তব্যগুলো ছিল সম্পূর্ণ তাদের ব্যক্তিগত। এরই মধ্যে সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীলরা নিজ নিজ বক্তব্যের বিষয়ে ব্যাখ্যা দিয়েছেন এবং বক্তব্যের ক্ষেত্রে অনিচ্ছাকৃত ‘স্লিপ অব টাং’য়ের বিষয়ে দুঃখ প্রকাশ করেছেন।’
তারা বিবৃতিতে আরও বলেন, ‘এটা ছাত্রশিবিরের কোনো অফিশিয়াল বক্তব্য বা অবস্থান নয়। আমরা স্পষ্ট ঘোষণা করছি, গণমাধ্যমে কিংবা কোনো সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানে হামলার সঙ্গে ছাত্রশিবির দূরতম কোনো সম্পর্ক নেই। পাশাপাশি এ ধরনের হামলার ঘটনা কোনোভাবেই সমর্থনযোগ্য নয়। আশা করি অপপ্রচারের কারণে সৃষ্ট ভুল বোঝাবুঝি অবসান হবে।’
এসব হামলা-ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনার ‘নিরপেক্ষ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য তদন্ত’ দাবি করেছে ছাত্রশিবির। একই সঙ্গে গণমাধ্যম ও জনমনে বিভ্রান্তি ছড়ানো থেকে বিরত থাকতে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জাহিদুল ইসলাম ও সেক্রেটারি জেনারেল নূরুল ইসলাম সাদ্দাম।

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বগুড়া-৭ (গাবতলী-শাজাহানপুর) আসনে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া এবং বগুড়া-৬ (সদর) আসনে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষে মনোনয়ন সংগ্রহ করা হয়েছে।
৯ ঘণ্টা আগে
গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করার জন্য বিএনপি সবার সহযোগিতা চায়। তবে এ সহযোগিতা কোনো ব্যক্তি বা দলের জন্য নয় বলে জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ।
১০ ঘণ্টা আগে
মির্জা আব্বাস বলেন, অস্থিতিশীল করার মতো ঘটনা আমরা ঢাকা শহরে হতে দেবো না। যারা করতে আসবে তাদের ইনশাআল্লাহ আমরা প্রতিহত করবো। আমাদের নেতা তারেক রহমান যখন বাংলাদেশে আসবেন…, ঘোষণার পরে একটা হত্যাকাণ্ড হলো, পরপর কয়েকটা ধারাবাহিক ঘটনা ঘটলো; এটার মানে হলো এটা একটা সাজানো ছক।
১ দিন আগে
এতে বলা হয়, জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব ও সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির কেন্দ্রীয় সংসদের সকল পর্যায়ের নেতাদের নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে উপস্থিত থাকার জন্য নির্দেশনা প্রদান করেছেন।
১ দিন আগে