তিনি বলেন, গাইবান্ধার মানুষের একটি দাবি হচ্ছে ইপিজেড নির্মাণ। ইপিজেড একটি জেলা ও উপজেলার মানুষের ভাগ্য বদলে দিতে পারে। এর জন্য সরকারের যেমন দায়িত্ব রয়েছে, তেমনি স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদেরও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে।
বিএনপি বা অন্য কোনো দলের সাথে আসন ভাগাভাগির সমঝোতার দাবি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলে জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ।
তিনি বলেন, গাইবান্ধার মানুষের একটি দাবি হচ্ছে ইপিজেড নির্মাণ। ইপিজেড একটি জেলা ও উপজেলার মানুষের ভাগ্য বদলে দিতে পারে। এর জন্য সরকারের যেমন দায়িত্ব রয়েছে, তেমনি স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদেরও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে।
জোটের নেতারা বলেন, একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনই দেশের মুক্তি ও উন্নয়নের একমাত্র পথ। অতীতে বারবার তা প্রমাণিত হয়েছে।
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম ও জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্যসচিব তাসনিম জারার সঙ্গে বুধবার (২৮ মে) বৈঠক করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক।
মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মৃত্যুদণ্ডসহ বিভিন্ন মেয়াদের কারাদণ্ড পাওয়া জামায়াত নেতা এ টি এম আজহারুল ইসলাম কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন। বুধবার সকাল ৯টা ৫ মিনিটে বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিরত অবস্থায় কেরানীগঞ্জে অবস্থিত ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে তাকে মুক্তি দেওয়া হয়।
আপিল বিভাগের রায়ের মাধ্যমে একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত থাকার দায়ে মৃত্যুদণ্ড সাজাপ্রাপ্ত এ টি এম আজহারুল ইসলাম মিথ্যা মামলা থেকে মুক্তি পেয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন সারজিস আলম।
হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ৫ আগস্টের আগে এনবিআর, কাস্টমসসহ নানা সরকারি প্রতিষ্ঠান দুর্নীতির আখড়ায় পরিণত হয়েছিল। সেসব প্রতিষ্ঠানে সংস্কার করা জরুরি হয়ে পড়েছে। সরকার সংস্কার কার্যক্রম শুরু করেছে। এতে সচিবালয়সহ কেউ বাধা তৈরি করলে তা সহ্য করা হবে না। সংস্কার কাজে বাধা এলে দেশের মানুষকে নিয়ে তা কঠোরভাবে প্
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকী বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যবস্থা করেই তাকে (ড. ইউনূস) যেতে হবে। নানা ধরনের অনাস্থা তৈরি হচ্ছে, এরমধ্য দিয়ে দূরত্ব তৈরি হচ্ছে। এই জায়গাটা দূর করতে হবে বলেও তিনি বৈঠকে জানিয়েছেন। তিনি বলেন, জনগন দৃশ্যমান বিচার দেখতে চায়। বিচারের আন্তর্জাতিক মান যাতে
জোনায়েদ সাকি বলেন, ড. ইউনুসকে যেহেতু জনগণ একটা ভরসার জায়গায় রেখেছে, সে কারণেই তাকে এই দায়িত্ব পালন করতে হবে। তার ওপর যত চাপই থাকুক না কেন, তিনি যেন তার ঐতিহাসিক দায়িত্ব পালন করে একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন, যা বাংলাদেশের ইতিহাসে অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবে।
এবি পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, প্রধান উপদেষ্টা কেন পদত্যাগ করতে চেয়েছিলেন—জানতে চাইলে তিনি বলেছেন, ‘সুষ্ঠু নির্বাচন হওয়া নিয়ে তিনি শঙ্কায় ছিলেন। আমরা বলেছি, রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সমন্বয় করা ও বিশেষ করে বিএনপির সঙ্গে দূরত্ব কমানোর কথা। সেই সঙ্গে সংস্কার ও নির্বাচনের কথা বলে এসেছি।’
শনিবার (২৪ মে) প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে তিন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা পৃথক পৃথক বৈঠকে এসব দাবি-দাওয়ার কথা জানিয়েছে। এসব বৈঠক শেষে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, সবগুলো রাজনৈতিক দলই প্রধান উপদেষ্টাকে আকুণ্ঠ সমর্থন জানিয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জাতীয় নাগরিক পার্টির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল আজ রাত ৮:৩০ টায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অন্তর্বতী সরকারের মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের আমন্ত্রণে তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন।
নাহিদ ইসলাম বলেন, আমরা মনে করি, এই অন্তর্বর্তী সরকার একটি গণঅভ্যুত্থানের পরিপ্রেক্ষিতে তৈরি হয়েছে। ফলে সেই আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নের দায়বদ্ধতা রয়েছে। শুধু নির্বাচন আয়োজন নয়, বরং জুলাই গণহত্যাসহ বিগত সময়ের অপরাধসমূহের বিচার, রাষ্ট্রের মৌলিক সংস্কার মধ্য দিয়েই সরকারকে নির্বাচনের দিকে যেতে হবে।
নাহিদ ইসলাম বলেন, দুই উপদেষ্টার সঙ্গে সম্পর্ক না থাকার পরও তাদের এনসিপির সঙ্গে সংযুক্ত করে এক ধরনের অপপ্রচার এবং তাদের হেয় করার চেষ্টা করা হচ্ছে। আমরা বলব, এটি খুবই উদ্দেশ্যমূলক। গণঅভ্যুত্থানের প্রতিনিধি হিসেবে তারা সরকারে রয়েছেন। সরকার থেকে তারা আদৌ বের হবেন কি না, সেটি একান্তই তাদের সিদ্ধান্ত
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার পর থেকে আবারো দিল্লী থেকে ছঁক আকা হচ্ছে দেশে অস্থিতিশীলতা তৈরি করার, দেশকে বিভাজিত করার। গণতান্ত্রিক রুপান্তরকে বাধাগ্রস্ত করে আরেকটা এক-এগারোর বন্দোবস্ত করার পাঁয়তারা চলছে।
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের পদত্যাগের আগ্রহ প্রকাশকে কেন্দ্র করে জাতির মধ্যে যে উদ্বেগ, উৎকণ্ঠা, অনিশ্চয়তা ও জটিল পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে- তার প্রেক্ষিতে এই জরুরি সংবাদ সম্মেলন ডাকা হয়।