জাতীয় পার্টির নির্ধারিত দশম জাতীয় কাউন্সিল স্থগিত করে দলীয় গঠনতন্ত্র ও শৃঙ্খলা ভঙ্গ করার অভিযোগ তুলেছেন দলটির একাধিক প্রেসিডিয়াম সদস্য। তাঁরা দাবি করেছেন, দলীয় গঠনতন্ত্র উপেক্ষা করে চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের একক সিদ্ধান্তে কাউন্সিল স্থগিত করেছেন—যা স্বেচ্ছাচারী ও একগুয়ে আচরণ।
ফেসবুক পোস্টে নুরুল হক নুর বলেন, ‘গোলামি ও দাসত্বের রাজনীতি পরিবর্তনের জন্যই গণ অধিকার পরিষদের জন্ম। নতুন বাংলাদেশ গড়তে সংস্কারের প্রশ্নে কোনো আপস নেই।’
প্রশ্ন উঠেছে, বাংলাদেশের জাতীয় প্রতীকের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য অংশটি কোনো রাজনৈতিক দলের প্রতীক হতে পারে কি না। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শুরু হয়েছে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা। অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন— রাষ্ট্রীয় পরিচয়ের প্রতীক কীভাবে রাজনৈতিক প্রতীক হিসেবে ব্যবহৃত হতে পারে।
পার্টির সদস্য সচিব আখতার হোসেন বলেন, নিবন্ধনের জন্য যা যা করণীয় ছিল, সব করে পূর্ণাঙ্গ ফর্ম ইসিতে জমা দিয়েছে এনসিপি। তারা তিনটি প্রতীক চেয়ে আবেদন করেছে। তবে, ‘শাপলা’ প্রতীককেই তারা চান বলে জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘অনেকগুলি বিষয়ে নিজেদের অবস্থান থেকে সরে এসে একমত হচ্ছি আমরা। কিন্তু এখানে কিছু কিছু দল একবারে নিজেদের অবস্থানে অনড়। ২ থেকে ৩টি দল তাদের পার্টির কনফারমেশন নিতে হচ্ছে, দল থেকে ক্লিয়ারেন্স নিতে হচ্ছে। যদি এভাবে চলতে থাকে কিয়ামত পর্যন্ত কোনো ঐক্যের সম্ভাবনা দেখি না।’
জাতীয় ঐকমত্য কমিশন ও সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবিত ৪০০ আসনের মধ্যে ৩০০ আসনে এনসিপি জয়ী হয়ে সরকার গঠন করতে পারবে বলে দাবি করেন তিনি।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের কেউ কেউ বলছেন, রমজান শুরুর আগের সপ্তাহে নির্বাচন দেওয়া হবে— যৌথ বিবৃতিতে সুস্পষ্টভাবে এমন কথা বলা হয়নি। বিএনপি নেতাদের কেউ কেউ বিষয়টিকে ভুলভাবে ব্যাখ্যা করছেন।
এনসিপির সদস্য সচিব আখতার হোসেন জানান, জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সাধারণ সভায় কেন্দ্রীয় সদস্যদের সম্মতিক্রমে খসড়া গঠনতন্ত্র অনুমোদনক্রমে গৃহীত হয়েছে।
খসড়া গঠনতন্ত্র অনুযায়ী পার্টির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক কাউন্সিলের মাধ্যমে নির্বাচিত হবেন। তবে এক্ষেত্রে একজন ব্যক্তি সর্বোচ্চ দুইবার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে থাকতে পারবেন।
বিএনপি বলছে, এনসিসি গঠন করা হলে তার ‘জবাবদিহিতা থাকবে না’ বলে এর কোনো প্রয়োজন নেই। অন্যদিকে এটি ‘স্বৈরতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান’ হয়ে গড়ে উঠবে বলে আশঙ্কার কথা জানিয়েছে গণফোরাম। বাসদ-সিপিবিও এ প্রস্তাবকে এখনই প্রয়োজনীয় মনে করছে না।
এই বিদ্রোহে যুক্ত হয়েছেন দলের কো-চেয়ারম্যান আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, বর্তমান মহাসচিব মুজিবুল ইসলাম চুন্নু, সাবেক মহাসচিব রুহুল আমিন হাওলাদার, কাজী ফিরোজ রশীদ, সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, আবদুস সাত্তার ও কাজী মামুনুর রশীদসহ জ্যেষ্ঠ নেতাদের অনেকেই। এদের কেউ কেউ দলে ‘রওশনপন্থি’ তথা রওশন এরশাদের অনুসারী বলে পরিচি
দুই মাস ধরেই হাসপাতালে যাওয়া-আসার মধ্যে ছিলেন মন্টু। ঈদের আগে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে হাসপাতালে ভর্তি রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছিল।
এ বৈঠক নিয়ে সরকার ও বিএনপি সন্তুষ্টি জানিয়েছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরাও বৈঠককে ইতিবাচক ও রাজনীতিতে আস্থা ফেরানোর মাধ্যম হিসেবে দেখছেন। তবে জামায়াতে ইসলামী ও জাতীয় নাগরিক পার্টিসহ (এনসিপি) কয়েকটি দল এ বৈঠক নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। সংস্কার ও বিচারকে গুরুত্ব না দিয়ে এ বৈঠকের মাধ্যমে নির্বাচন ইস্যুতে একটি দলকে গ
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বৈঠকে নির্বাচনের তারিখ সংক্রান্ত আলোচনা যতটুকু গুরুত্ব পেয়েছে, অভ্যুত্থান-পরবর্তী বাংলাদেশে নাগরিকদের প্রধান দাবি তথা বিচার ও সংস্কার ততটুকু গুরুত্ব পায়নি। এটি অত্যন্ত হতাশাজনক বলে মনে করে এনসিপি। তার ওপর নির্বাচন প্রশ্নে সরকার কেবল একটি রাজনৈতিক দলের অবস্থান ও দাবিকেই বেশি প্রাধ
বৈঠক নিয়ে হতাশার কথাও জানিয়েছেন হাসনাত। লিখেছেন, হতাশার বিষয়— বৈঠকে নির্বাচনের মাস ও তারিখ যেভাবে গুরুত্ব পেয়েছে, অভ্যুত্থান-পরবর্তী বাংলাদেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ আকাঙ্ক্ষা বিচার ও সংস্কার সেভাবে প্রাধান্য পায়নি। এ সরকার শুধু নির্বাচন দেওয়ার জন্য তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কোনো রূপ নয়, বরং একটি
তিনি আরো বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সম্প্রতি যে আলোচনাগুলো হচ্ছে, আজ লন্ডনে যে বৈঠক হলো তা ইতিবাচক, আমরা এই আলোচনার উদ্যোগকে স্বাগত জানাই। ঈদের আগে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বক্তব্যের পর আমরা বলেছি, বিভিন্ন বিষয় বিবেচনায় এপ্রিলের শুরুতে নির্বাচনের সিদ্ধান্ত বাস্তবসম্মত নয়।
এনসিপির এই নেতা বলেন, ‘লন্ডনে বসে একটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সরকারের মিটিং দেশবাসীর স্বার্থ ও গণআকাঙ্ক্ষার সঙ্গে প্রতারণা। শহীদদের রক্তকে অবমাননা করে বিদেশের মাটিতে মিটিং আয়োজন কখনোই মেনে নেওয়া যায় না। দেশের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করতে হবে দেশের জনগণের মাধ্যমে, বিদেশি আলোচনায় নয়।’