প্রতিবেদক, রাজনীতি ডটকম
ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বারবার আশ্বস্ত করলেও রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচনি পরিবেশ নিয়ে আশ্বস্ত হতে পারছে না। প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে তার কাছে এ নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছে কয়েকটি রাজনৈতিক দল।
পাশাপাশি নির্বাচনি পরিবেশ তৈরির জন্য সরকারকে আরও কঠোর হতে পরামর্শ দিয়েছেন এসব দলের নেতারা। কেউ কেউ কথা বলেছেন নির্বাচন পদ্ধতি নিয়ে। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলের চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও দোসরদের গ্রেপ্তার এবং প্রশাসনের দলবাজদের চাকরিচ্যুত করার বিষয়টিও জোর দিয়ে বলেন তারা।
মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) বিকেলে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সাতটি রাজনৈতিক দল ও একটি সংগঠন এ দিন প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক করে।
বৈঠক শেষে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি সাংবাদিকদের বলেন, বৈঠকে দুটি বিষয় প্রধান উপদেষ্টাকে বলা হয়েছে— একটি হলো নির্বাচনি পরিবেশ, অন্যটি বিচার ও সংস্কার।
সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোকে পুনর্গঠন করতে পারেনি উল্লেখ করে জোনায়েদ সাকি বলেন, এ কারণে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও প্রতিষ্ঠানগুলোর ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। এতে নির্বাচনি পরিবেশ নিয়ে রাজনৈতিক মহলে অনিশ্চয়তা তৈরি হচ্ছে, উদ্বেগ তৈরি হচ্ছে।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনে অংশ নেওয়া রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিনিধি ও নির্বাচন কমিশনের প্রতিনিধিদের নিয়ে নির্বাচনের পরিবেশ সমন্বয় করার জন্য প্রধান উপদেষ্টাকে একটি কমিটি গঠনের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে বৈঠকে— এমনটিই জানান গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী।
বিচার ও সংস্কার বিষয়ে তিনি বলেন, বিচার দৃশ্যমান করা যেমন জরুরি, তেমনি সংস্কার বাস্তবায়নের রূপরেখাও জরুরি। যেসব বিষয় সংবিধানসংশ্লিষ্ট না হলেও দলগুলো একমত হয়েছে, সেগুলো বর্তমান সরকারকে অধ্যাদেশের মাধ্যমে কার্যকর করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, পরের সংসদ এ অধ্যাদেশের বৈধতা দিতে পারে।
এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, আমরা বলেছি— সরকারের কার্যক্রমে সুশৃঙ্খলতার অভাব দেখতে পাচ্ছি। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনায় সরকার ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মধ্যে সমন্বয়হীনতা দেখা গেছে। এটা ঠিক না হলে নির্বাচন নিয়ে সংশয় কাটবে না। এসব ঘটনায় সরকারের গ্রহণযোগ্যতা প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে।
মঞ্জু আরও বলেন, জাতীয় ও জেলা-উপজেলা পর্যায়ে একটি সমন্বিত কমিটি করার কথা বলেছি, যেন আসনভিত্তিক সংকট সমাধানে তারা ভূমিকা রাখতে পারে। প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, তাদের পুরো টিমে নিরপেক্ষ নির্বাচনের অভিজ্ঞতার একজনেরও নেই।
এবি পার্টির এই নেতা বলেন, যাদের আগে নিরপেক্ষ নির্বাচনের অভিজ্ঞতা আছে, তাদের চুক্তিভিত্তিক হলেও নিয়োগ দেওয়ার কথা আমরা বলেছি। প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, নির্বাচন যে চ্যালেঞ্জ, এটা সবাই মিলে ফেস করা ছাড়া কোনো উপায় নেই।
গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান বলেন, আমরা বলেছি— যারা এখন প্রশাসন ও বিভিন্ন বাহিনীর প্রধান, তারা কি আপনার সরকারে আনুগত্য প্রকাশ করছে? সহযোগিতা করছে? আমরা দেখছি, করছে না। তাই আমরা বলেছি, এখানে দুটি সরকার কাজ করছে— একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার, আরেকটি অদৃশ্য সরকার।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রেসিডিয়াম সদস্য আশরাফ আলী আকন বলেন, আজ বৈঠক ছিল দেশ ও জাতির ক্রান্তিলগ্নে। আমরা উপদেষ্টামণ্ডলীকে ধন্যবাদ জানিয়েছি। স্বাধীনতার পর থেকে যারাই ক্ষমতায় ছিল তারা জনপ্রত্যাশা পূরণ করতে পারেনি। যে লাউ সেই কদু করে নির্বাচন দিলে এবারও জাতির প্রত্যাশা পূরণ হবে না।
তিনি আরও বলেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি পুরোপুরি ভেঙে পড়েছে। এখনই সন্ত্রাস বন্ধ করতে না পারলে যখন ৩০০ আসনে নির্বাচন হবে, তখন সন্ত্রাস-জালভোট কীভাবে বন্ধ করবে? লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড কীভাবে হবে?
হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব আজিজুর রহমান ইসলামাবাদী বলেন, আমরা সংবিধানে আল্লাহর ওপর আস্থা ও বিশ্বাস পুনর্বহালের দাবি জানিয়েছি। শাপলা চত্বরে যে গণহত্যা হয়েছে, তা জুলাই সনদে অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানিয়েছি।
তিনি বলেন, আমরা বলেছি, আওয়ামী ফ্যাসিবাদী সরকারের চিহ্নিত ক্রিমিনাল, দোসর তাদের গ্রেপ্তার করুন। প্রশাসনের মধ্যে যারা আছে তাদের বহিষ্কার করুন।
লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) সেক্রেটারি জেনারেল রেদোয়ান আহমেদ বলেন, প্রধান উপদেষ্টা নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য কী কী পদক্ষেপ নিতে পারেন, এসব জানতে চেয়েছেন। আমরা বলেছি, আমাদের প্রশাসনিক ব্যবস্থার উন্নতি করতে সরকার কোনো ব্যবস্থা নিতে পারেনি। বিগত সরকার তাদের লোক এমনভাবে বসিয়েছে যে প্রশাসনের ওপর থেকে নিচ পর্যন্ত আছে। এটা নিরপেক্ষ করার জন্য সরকারের পদক্ষেপ নেওয়া দরকার।
দেশের রাজনৈতিক ও সমসাময়িক অন্যান্য বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে প্রধান উপদেষ্টা এসব রাজনৈতিক দল ও সংগঠনকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। এর আগে গত রোববার প্রধান উপদেষ্টা বসেছিলেন বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপির নেতাদের সঙ্গে।
ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বারবার আশ্বস্ত করলেও রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচনি পরিবেশ নিয়ে আশ্বস্ত হতে পারছে না। প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে তার কাছে এ নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছে কয়েকটি রাজনৈতিক দল।
পাশাপাশি নির্বাচনি পরিবেশ তৈরির জন্য সরকারকে আরও কঠোর হতে পরামর্শ দিয়েছেন এসব দলের নেতারা। কেউ কেউ কথা বলেছেন নির্বাচন পদ্ধতি নিয়ে। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলের চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও দোসরদের গ্রেপ্তার এবং প্রশাসনের দলবাজদের চাকরিচ্যুত করার বিষয়টিও জোর দিয়ে বলেন তারা।
মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) বিকেলে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সাতটি রাজনৈতিক দল ও একটি সংগঠন এ দিন প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক করে।
বৈঠক শেষে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি সাংবাদিকদের বলেন, বৈঠকে দুটি বিষয় প্রধান উপদেষ্টাকে বলা হয়েছে— একটি হলো নির্বাচনি পরিবেশ, অন্যটি বিচার ও সংস্কার।
সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোকে পুনর্গঠন করতে পারেনি উল্লেখ করে জোনায়েদ সাকি বলেন, এ কারণে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও প্রতিষ্ঠানগুলোর ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। এতে নির্বাচনি পরিবেশ নিয়ে রাজনৈতিক মহলে অনিশ্চয়তা তৈরি হচ্ছে, উদ্বেগ তৈরি হচ্ছে।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনে অংশ নেওয়া রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিনিধি ও নির্বাচন কমিশনের প্রতিনিধিদের নিয়ে নির্বাচনের পরিবেশ সমন্বয় করার জন্য প্রধান উপদেষ্টাকে একটি কমিটি গঠনের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে বৈঠকে— এমনটিই জানান গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী।
বিচার ও সংস্কার বিষয়ে তিনি বলেন, বিচার দৃশ্যমান করা যেমন জরুরি, তেমনি সংস্কার বাস্তবায়নের রূপরেখাও জরুরি। যেসব বিষয় সংবিধানসংশ্লিষ্ট না হলেও দলগুলো একমত হয়েছে, সেগুলো বর্তমান সরকারকে অধ্যাদেশের মাধ্যমে কার্যকর করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, পরের সংসদ এ অধ্যাদেশের বৈধতা দিতে পারে।
এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, আমরা বলেছি— সরকারের কার্যক্রমে সুশৃঙ্খলতার অভাব দেখতে পাচ্ছি। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনায় সরকার ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মধ্যে সমন্বয়হীনতা দেখা গেছে। এটা ঠিক না হলে নির্বাচন নিয়ে সংশয় কাটবে না। এসব ঘটনায় সরকারের গ্রহণযোগ্যতা প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে।
মঞ্জু আরও বলেন, জাতীয় ও জেলা-উপজেলা পর্যায়ে একটি সমন্বিত কমিটি করার কথা বলেছি, যেন আসনভিত্তিক সংকট সমাধানে তারা ভূমিকা রাখতে পারে। প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, তাদের পুরো টিমে নিরপেক্ষ নির্বাচনের অভিজ্ঞতার একজনেরও নেই।
এবি পার্টির এই নেতা বলেন, যাদের আগে নিরপেক্ষ নির্বাচনের অভিজ্ঞতা আছে, তাদের চুক্তিভিত্তিক হলেও নিয়োগ দেওয়ার কথা আমরা বলেছি। প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, নির্বাচন যে চ্যালেঞ্জ, এটা সবাই মিলে ফেস করা ছাড়া কোনো উপায় নেই।
গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান বলেন, আমরা বলেছি— যারা এখন প্রশাসন ও বিভিন্ন বাহিনীর প্রধান, তারা কি আপনার সরকারে আনুগত্য প্রকাশ করছে? সহযোগিতা করছে? আমরা দেখছি, করছে না। তাই আমরা বলেছি, এখানে দুটি সরকার কাজ করছে— একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার, আরেকটি অদৃশ্য সরকার।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রেসিডিয়াম সদস্য আশরাফ আলী আকন বলেন, আজ বৈঠক ছিল দেশ ও জাতির ক্রান্তিলগ্নে। আমরা উপদেষ্টামণ্ডলীকে ধন্যবাদ জানিয়েছি। স্বাধীনতার পর থেকে যারাই ক্ষমতায় ছিল তারা জনপ্রত্যাশা পূরণ করতে পারেনি। যে লাউ সেই কদু করে নির্বাচন দিলে এবারও জাতির প্রত্যাশা পূরণ হবে না।
তিনি আরও বলেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি পুরোপুরি ভেঙে পড়েছে। এখনই সন্ত্রাস বন্ধ করতে না পারলে যখন ৩০০ আসনে নির্বাচন হবে, তখন সন্ত্রাস-জালভোট কীভাবে বন্ধ করবে? লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড কীভাবে হবে?
হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব আজিজুর রহমান ইসলামাবাদী বলেন, আমরা সংবিধানে আল্লাহর ওপর আস্থা ও বিশ্বাস পুনর্বহালের দাবি জানিয়েছি। শাপলা চত্বরে যে গণহত্যা হয়েছে, তা জুলাই সনদে অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানিয়েছি।
তিনি বলেন, আমরা বলেছি, আওয়ামী ফ্যাসিবাদী সরকারের চিহ্নিত ক্রিমিনাল, দোসর তাদের গ্রেপ্তার করুন। প্রশাসনের মধ্যে যারা আছে তাদের বহিষ্কার করুন।
লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) সেক্রেটারি জেনারেল রেদোয়ান আহমেদ বলেন, প্রধান উপদেষ্টা নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য কী কী পদক্ষেপ নিতে পারেন, এসব জানতে চেয়েছেন। আমরা বলেছি, আমাদের প্রশাসনিক ব্যবস্থার উন্নতি করতে সরকার কোনো ব্যবস্থা নিতে পারেনি। বিগত সরকার তাদের লোক এমনভাবে বসিয়েছে যে প্রশাসনের ওপর থেকে নিচ পর্যন্ত আছে। এটা নিরপেক্ষ করার জন্য সরকারের পদক্ষেপ নেওয়া দরকার।
দেশের রাজনৈতিক ও সমসাময়িক অন্যান্য বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে প্রধান উপদেষ্টা এসব রাজনৈতিক দল ও সংগঠনকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। এর আগে গত রোববার প্রধান উপদেষ্টা বসেছিলেন বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপির নেতাদের সঙ্গে।
আগামীকাল বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে আপিল বিভাগের ফুলকোর্ট তথা পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানির পর এ বিষয়ে আদেশ আসবে।
১০ ঘণ্টা আগেবিক্ষোভ মিছিলে ‘এসো ভাই এসো বোন, গড়ে তুলি আন্দোলন’, ‘আলী হুসেনের ছাত্রত্ব, বাতিল করো করতে হবে’, ‘নিপীড়কের ঠিকানা, এই ক্যাম্পাসে হবে না’সহ নানা স্লোগান দেন নেতাকর্মীরা। বিক্ষোভ মিছিলে ছাত্রদলের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ও হল শাখা ছাত্রদলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী অংশগ্রহণ করেন।
১১ ঘণ্টা আগে