আইয়ুব খানের পর জেনারেল ইয়াহিয়া খান ৯ মাস যুদ্ধ করেও ‘ফিল্ড মার্শাল’ হতে পারেননি। কারণ হাতেনাতে ধরা খেয়ে পরাজয় স্বীকার করে নিয়েছেন। জেনারেল জিয়াউল হক, জেনারেল পারভেজ মোশাররফরাও ‘ফিল্ড মার্শাল’ হতে পারেননি। কিন্তু বাজিমাৎ করে দিলেন পাকিস্তানের বর্তমান সেনাপ্রধান জেনারেল সৈয়দ আসিম মুনির।
ইন্টারনেটের ব্যবহার সহজ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দেশে সোস্যাল মিডিয়ার ব্যবহারেও অনেকটা বিপ্লবই ঘটে গেছে। বিপুল জনগোষ্ঠী সোস্যাল মিডিয়া ব্যবহার করেন। আর অনলাইন নিউজ পোর্টলগুলোও বিভিন্ন সোস্যাল মিডিয়ার সঙ্গে সংযুক্ত হয়েছে। সংযুক্ত হতে হয়েছে ফেসবুকের সঙ্গেও। দ্রুত ও বেশি পাঠকের কাছে পৌঁছানোর জন্য নিউজ পোর্টা
নৈতিক শিক্ষার প্রাথমিক মাধ্যম হলো পরিবার। কারণ একটি শিশু তার শৈশবে পরিবারের সঙ্গে সময় অতিবাহিত করে এবং তার জীবনের বাস্তব ঘটনাগুলো পরিবারের মাধ্যমেই অভিজ্ঞতা হিসেবে পায়। শিশু যদি নিজের চিন্তা, ভাবনা ও আদর্শ অনুসারে জীবনযাপন করতে চায়, তবে তার নিজ পরিবারকে এ বিষয়ে আগে থেকেই সচেতন হতে হবে।
সাম্প্রতিক সময়ের ছাত্রদল নেতা সাম্যের মৃত্যু আমাদের সামনে এমনই এক সাংস্কৃতিক সংঘাতের নির্মম প্রতিচ্ছবি তুলে ধরে। সাম্যর মৃত্যু কেবল রাজনৈতিক হত্যা নয়, এটি এক ভয়াবহ মানসিক ও সাংস্কৃতিক বিনাশের দৃষ্টান্ত। তরুণদের চিন্তা, মত, অবস্থান, এমনকি অস্তিত্ব যদি সহ্য না হয়, তাহলে আমাদের সমাজ কোন পথে যাচ্ছে, তা
বিপুলসংখ্যক জামায়াত-শিবির, ডানপন্থি ও পাকিস্তানপন্থি মাহফুজকে ‘ধুয়ে’ দিয়েছে। তারা বলেছে, দেশটা মাহফুজের বাবার না। মাহফুজের নামে গরুর নামকরণ করে গরুটিকে কুরবানি দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে আরেক গ্রুপ।
আমার সঙ্গে তার সম্পর্ক ছিল শ্রদ্ধা, স্নেহ ও ভালোবাসার। বেতারে তিনি অনুষ্ঠানের পর আমার কাছে আসতেন। একান্ত অনেক কথা হতো ডিউটি রুমে। আমি তার কাছে বসে বসে সেই কথাগুলো প্রাণভরে শুনতাম। গান গেয়ে বেড়ে ওঠা, পরিবারের কথা, শিল্পী জীবনের কথা।
যুদ্ধের বিভীষিকা মানব ইতিহাসের এক পুনরাবৃত্তিমূলক ট্র্যাজেডি। প্রায়ই রাজনৈতিক মতাদর্শ, আঞ্চলিক বিরোধ ও নিরাপত্তা উদ্বেগের নিরিখে একে ব্যাখ্যা করা হয়। তবে এই আখ্যানগুলোর গভীরে অর্থনৈতিক প্রণোদনা ও নির্ভরশীলতার এক জটিল জাল বিস্তৃত। আধুনিক সংঘাত ও তাদের দীর্ঘস্থায়ী পরিণতিগুলোর একটি সামগ্রিক ধারণা লা
গাছের গোড়ায় পানি না দিয়ে, মানে সমস্যা সমাধান না করে মন্ত্রী, উপদেষ্টা, সচিব, নীতিনির্ধারকরা নিজেদের ত্রুটি না দেখে মাঠে-প্রান্তরে, সভা-সমাবেশে সর্বত্র নতুন সুরে গান গেয়ে বেড়াচ্ছেন— ‘প্রাথমিক বিদ্যালয়ে লেখাপড়া হয় না’, ‘প্রাথমিক শিক্ষকরা লেখাপড়া করান না’। এ যেন সেই প্রবাদের পুনরাবৃত্তি— ‘যত দোষ নন্দ ঘ
দক্ষিণ এশিয়ার দুই পরমাণু শক্তিধর দেশের এমন টানাপোড়েন এ অঞ্চলের সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ দেশ হিসেবে বাংলাদেশের জন্য বড় কৌশলগত চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াতে পারে। তাই বাংলাদেশকে কূটনৈতিক ভারসাম্য রক্ষা, অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা সতর্কতা এবং রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়া ব্যবস্থাপনায় এখনই সংবেদনশীল ও দূরদর্শী ভূমিকা নিতে হবে।
কাশ্মির ইস্যু ভারত-পাকিস্তান বিরোধের মূল উৎস। উভয় দেশই সম্পূর্ণ কাশ্মিরকে নিজেদের দাবি করে থাকে। যদিও ভারত অধিকাংশ ভূখণ্ড নিয়ন্ত্রণে রেখেছে, পাকিস্তান নিয়ন্ত্রণ করে আজাদ কাশ্মির ও গিলগিট-বালতিস্তান অঞ্চল।
একবিংশ শতকের এই ঢাকায়, সেই ঐতিহ্যবাহী মসলিনের শহরে আবারও যেন ফিরে এলো দ্রৌপদীর বস্ত্রহরণের উপাখ্যান। প্রযুক্তির কল্যাণে সেই দৃশ্য এখন ছড়িয়ে পড়েছে বিশ্বময়। দুঃখজনকভাবে দেখা যাচ্ছে, নারীর প্রতিকৃতিকে অবমাননার ঘটনায় অংশ নিয়েছে নারীরাও, যারা ফ্যাসিস্ট মনোভাব নিয়ে এমন ঘটনার পক্ষে জোর সুর তুলেছেন।
সোভিয়েত রাশিয়ার তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী আলেক্সি কোসিগিনের মধ্যস্থতায় পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট জেনারেল আইয়ুব খান ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী লাল বাহাদুর শাস্ত্রী বৈঠকে বসে চুক্তি করলেন, তারা আর যুদ্ধ করবেন না। ১৭ দিন স্থায়ী যুদ্ধের পর দুদেশ যার যার আগের অবস্থানে ফিরে গেল।
আইনের শাসন বলতে বোঝায় রাষ্ট্রের প্রতিটি নাগরিক— হোক না সে সাধারণ মানুষ বা শাসকগোষ্ঠীর কেউ— সবার জন্য একই আইন, একই বিচারপ্রক্রিয়া এবং সমান দায়বদ্ধতা থাকবে। এ ধারণা মূলত উঠে এসেছে প্রাচীন গ্রিস ও রোমান সভ্যতা থেকে। তবে আধুনিক ধারণাটি ব্রিটিশ চিন্তাবিদ এ ভি ডাইসির মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত হয়।
এই আন্দোলনের পেছনে যে আশা-আকাঙ্ক্ষা, যে স্বপ্নের জোয়ার তা কেবল ক্ষণস্থায়ী উত্তেজনায় সীমাবদ্ধ নয়; বরং এটি একটি সুদূরপ্রসারী সামাজিক, রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক পরিবর্তনের সংকেত। কিন্তু এখন প্রশ্ন হলো— এই জাগরণকে টেকসই পরিবর্তনে রূপান্তরিত করতে হলে কী করণীয়? আমরা কোন পথে হাঁটব? এবং কাদের চিন্তা-চেতনা গ্রহণয
আন্তর্জাতিক দারিদ্র্যসীমা ব্যবহার করে বিশ্বব্যাংক এই পূর্বাভাস দিয়েছে। বিশ্বব্যাংকের হিসাবে, একজন মানুষের দৈনিক আয় ২ দশমিক ১৫ ডলারের কম হলে তাকে অতি দরিদ্র হিসেবে বিবেচনা করা হয়। সমাজে দরিদ্র মানুষের সংখ্যা বেড়ে যাওয়া অর্থ আর্থসামাজিক বৈষম্য আরও বাড়বে। বৈষম্য নির্ণয় সম্পর্কিত জিনি অনুপাত ৩৫ দশমিক ৫
পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের আলোচনার সবচেয়ে সংবেদনশীল দিক ১৯৭১ সালের অমীমাংসিত ইতিহাস, যা এখনো এই সম্পর্কের কূটনৈতিক পরিধি নির্ধারণ করে চলেছে। বাংলাদেশের দাবি— একাত্তরের জন্য পাকিস্তানের আনুষ্ঠানিক ক্ষমা প্রার্থনা, আনুমানিক ৪ দশমিক ৫২ বিলিয়ন ডলার আর্থিক ক্ষতিপূরণ এবং আটকে পড়া পাকিস্তানিদের প্রত্যাবাসন।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) ‘লেবার ফোর্স সার্ভে ২০২২’ অনুযায়ী, দেশের মোট শ্রমশক্তির প্রায় ৮৫ শতাংশ অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতে নিয়োজিত। এই বিপুলসংখ্যক কর্মজীবী দরিদ্র ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জন্য জীবিকার প্রধান উৎস। এই খাতটি বিশেষত নারী, অভিবাসী ও তরুণদের জন্য কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করে, যা দারি