পূর্ণিমার আলোতে আমার হাতের রেখাগুলো শুকনো নদীর তলদেশের মতো ফেটে গেছে।
এই গ্রন্থটি এটি সপ্তম শতকের ভারতবর্ষের একটি জীবন্ত দলিল। প্রায় ১৭ বছর ধরে ভারত ও দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন অঞ্চল ঘুরে, নিজ চোখে দেখা ও অভিজ্ঞতা অর্জন করে হিউয়েন সাং এই গ্রন্থ রচনা করেন।
১ আগস্ট ২০২৫, শুক্রবার বিকেলে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হলো ‘কাঁচামিঠে ফলের ছড়া’ বইয়ে প্রকাশনা উৎসব। আনন্দমুখর এই আয়োজনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বহুপ্রজ সাহিত্যিক রফিকুর রশীদ।
৬০২ খ্রিষ্টাব্দে চীনের হেনান প্রদেশে জন্ম নেওয়া হিউয়েন সাং ছোটবেলা থেকেই বৌদ্ধধর্মের প্রতি গভীর আগ্রহী ছিলেন। বড় হয়ে তিনি 'তাং' (Tang) সাম্রাজ্যের বিখ্যাত বৌদ্ধ সন্ন্যাসী হয়ে ওঠেন। সে সময় চীনে পালি ও সংস্কৃত ভাষার বহু বৌদ্ধ গ্রন্থ অনুবাদিত হলেও, তাঁদের অনেকগুলোতেই অস্পষ্টতা ও ভুল ছিল। সেই সমস্যাগুলো
তাঁর বর্ষার গানগুলোতে প্রকৃতি নিজেই যেন একটি জীবন্ত চরিত্র হয়ে ওঠে। শ্রাবণ-ভাদ্র মাসের আকাশ, মাঠে জমে থাকা জল, ছায়া মাখানো পথঘাট, ঝরঝর বৃষ্টি, পলিফাটা মেঘ—সবই যেন তাঁর গানের অনুষঙ্গ। কিন্তু এসব কেবল চিত্রায়ন নয়, বরং এগুলোর মধ্যে রবীন্দ্রনাথ খুঁজে পান মানুষের গভীর অনুভব, ভালোবাসা, নির্জনতা ও চিরপ্রত্
আপাত দৃষ্টিতে মনে হয়, টাইমস স্কয়ার নিউইয়র্ক সিটির বুকে গড়ে ওঠা একটি চত্বর। কিন্তু এই চত্বটিই আধুনিক সভ্যতার মূর্ত প্রতীক। দিনরাত েস্রাতের মতো মানুষ আসছে যােচ্ছে এখানে পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে। শহরের যে প্রাণ থাকে, প্রাণস্পন্দন থাকে এখানে এলে বোঝা যায়। শহর যে শুধু ইট কাঠ কংক্রিট-সর্বস্ব নয়, শহরের
জসীমউদ্দীন ছিলেন গ্রামবাংলার প্রকৃত কবি। তিনি গ্রামের মানুষ যেমন দেখেছেন, তাঁদের মনের ভেতরটায় পর্যন্ত ঢুকে গিয়ে দৃশ্যকল্প এঁকেছেন তাঁরা কবিতার ছত্রে ছত্রে। ‘পল্লীবর্ষা’ কবিতায় তিনি বর্ষার ছবি এঁকেছেন, তা নিছক প্রকৃতির বর্ণনা নয়, বরং তার ভেতরে আছে জীবন, আবেগ, কষ্ট, আনন্দ, আতঙ্ক, প্রেম ও নিঃসঙ্গতা। এই
হামিদুজ্জামান খান শুধু একজন শিল্পী ছিলেন না; তিনি ছিলেন এক নিবেদিত শিক্ষকও। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদে শিক্ষকতা করেছেন বহু বছর। তাঁর হাত ধরে অনেক নতুন ভাস্কর ও শিল্পীর জন্ম হয়েছে। তিনি শিল্পশিক্ষাকে শুধু কারিগরি দক্ষতার মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখেননি, বরং চিন্তা, অনুভব ও ইতিহাসের গভীর পাঠের মধ
ইংরেজিতে দেশটির নাম "ইউনাইটেড স্টেটস অব আমেরিকা"। এই নামের মধ্যে “আমেরিকা” শব্দটি মূলত একটি মহাদেশের নাম। আমেরিকা বলতে বোঝানো হয় উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকা দুই মহাদেশকে মিলিয়ে। কাজেই “আমেরিকা” শুধু একটি দেশের নাম নয়, একটি মহাদেশের নাম। কিন্তু যখন “ইউনাইটেড স্টেটস অব আমেরিকা” বলা হয়, ত
প্রাচীন কবি-গান থেকে শুরু করে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, কাজী নজরুল ইসলাম, অতুল প্রসাদ সেন, দ্বিজেন্দ্রলাল রায় থেকে আধুনিক যুগের সলিল চৌধুরী, হেমন্ত মুখোপাধ্যায়, মান্না দে, রুনা লায়লা কিংবা বর্তমান প্রজন্মের অনুপম রায়, শিলাজিৎ—সবাই বর্ষার রোমান্টিকতায় মজেছেন।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর উপন্যাসে বর্ষাকে কখনো কাব্যিক আবহে তুলে ধরেছেন, কখনোবা ব্যবহার করেছেন মনোজাগতিক উত্তরণের প্রতীক হিসেবে।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, বাংলা ছোটগল্পের প্রথম বিশিষ্ট রূপকার, তাঁর বহু গল্পেই বর্ষাকে রেখেছেন এক আবেগঘন পটভূমি হিসেবে।
বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে ঢাকার তাজিয়া মিছিলের সূচনা ঘটে মুঘল আমলে, ষোড়শ শতাব্দীর শেষদিকে। সেই সময় ঢাকায় শাসন করতেন সুবাদারদের প্রতিনিধি হিসেবে আগত মুঘল আমলারা। তাঁদের মধ্যে ছিলেন এমন অনেকেই, যারা শিয়া মতাবলম্বী ছিলেন।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় আমেরিকান কবি ক্যার্ল স্যান্ডবার্গ তাঁর গ্রাস (Grass) কবিতায় ইতিহাসের বিখ্যাত যুদ্ধক্ষেত্রগুলোর কথা বলেন—ওয়াটারলু, গেটিসবার্গ, ভারডান।
বিশ্বসাহিত্যে এমন অসংখ্য উপন্যাস রয়েছে, যেগুলো যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে লেখা হলেও তা শুধুই রাজনীতি বা কৌশলের গল্প নয়, বরং মানুষের গল্প।