ক্যারল অ্যান ডাফির কবিতা— রাষ্ট্র/ভোজ

সজীব রহমান
আপডেট : ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৩: ৪২
ক্যারল অ্যান ডাফির কবিতা রাষ্ট্র/ভোজ। গ্রাফিক্স: রাজনীতি ডটকম

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের যুক্তরাজ্য সফরে তার সম্মানে দেওয়া হয়েছে রাজকীয় ভোজ। যুক্তরাজ্যে ১৫০ বিলিয়ন পাউন্ড বিনিয়োগের চুক্তিও করেছেন ট্রাম্প। কিন্তু দেশে দেশে চলমান যুদ্ধ নিয়ে ট্রাম্পের পাশাপাশি মুখ খোলেননি ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ের স্টারমারও।

প্রভাবশালী ব্রিটিশ গণমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান তাদের বৃহস্পতিবার প্রথম পাতা সাজিয়েছে ট্রাম্পের সফর নিয়েই। সেখানে মূল সংবাদের পাশেই স্থান পেয়েছে ব্রিটিশ ‘পোয়েট লরিয়েট’ তথা রাষ্ট্রীয়ভাবে নিযুক্ত কবি ক্যারল অ্যান ডাফির কবিতা STATE/BANQUET। বিশ্বব্যবস্থা যে রাজনৈতিক বাস্তবতার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে, তারই এক মূর্ত রূপ যেন ডাফির এই কবিতাটি।

Op-Ed UK Tour Of Donald Trump And The Guardian 19-09-2025 (3)

দ্য গার্ডিয়ানে ছাপানো কবিতা স্টেট/ব্যাংকুয়েট, ডানে কবি ক্যারল অ্যান ডাফি

রাজনীতি ডটকমের পাঠকদের জন্য থাকছে ‘রাষ্ট্র/ভোজ’ শিরোনামে থাকছে ক্যারল অ্যান ডাফির কবিতাটির ভাবানুবাদ—

সে এক রাজকীয় ভোজসভা— ঝলমলে আর দীপ্যমান,

সাজানো পাথুরে ধ্বংসস্তূপে অশ্বক্ষুরাকৃতি টেবিলে,

সাজানো ৬টি করে স্ফটিকের পেয়ালায়।

ফিনফিনে স্বর্ণের প্রলেপে মোড়ানো রুপার তৈজস,

চকচকে— আট আটজন ভৃত্যের ৩ সপ্তাহের শ্রম আর ঘামে,

কংক্রিট থেকে ধুলো ওড়ে বাতাসে,

তাও যেন ঝলমল করে ওঠে।

.

সেখানে পতপত করে উড়ছে যে পতাকা, গণতন্ত্রের নামে,

তাতে থরে থরে সাজানো ধ্বংসাবশেষ।

.

ভোজের শুরু মুখরোচক ডোভার মাছে,

ভেতরে স্যামনের ক্রিম, সাজানো পেঁয়াজ পাতায়,

সঙ্গে হোয়াইট ওয়াইন সস।

থাকবে ট্রাফল দিয়ে রান্না করা স্যান্ড্রিংহ্যামের হরিণের মাংস।

শেষ পাতে কাগজি লেবুর পাই, সঙ্গে

ফরাসি রেড ওয়াইন— পিচন কমটেস, ১৯৯০।

প্রতিটি পদেই জিভে জল।

.

বোমায় বোমায় ধ্বংসস্তূপ যে জনপদ, সেখানে বাজাও ডঙ্কা—

যেখানে সযতনে পথ খুঁজে নেন হর্তাকর্তারা,

যেখানে দেয়ালের গায়ে গায়ে বুলেটের ছেঁদা,

তার ওপারে বুভুক্ষু শিশুর চোখ।

ad
ad

সাত-পাঁচ থেকে আরও পড়ুন

বুদ্ধিজীবীদের রক্ত, গভর্নর হাউজে বোমার ভূমিকম্প আর ‘টাইগার’ এখন খাঁচাবন্দি!

এই ভয়াল ট্র্যাজেডির পাশাপাশি এ দিনই শুরু হয় আত্মসমর্পণের আনুষ্ঠানিক নাটকীয়তাও। ভারতীয় সেনাপ্রধান জেনারেল মানেকশের চরমপত্রের পর ১৩ ডিসেম্বর রাতে জেনারেল নিয়াজি মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলেন। ১৪ ডিসেম্বর ছিল সেই দিন, যেদিন নিয়াজির আত্মসমর্পণের সেই ঐতিহাসিক সিগন্যালটি দিল্লি থেকে ঢাকায় পৌঁছায়।

১২ দিন আগে

বিজয়ের ৪৮ ঘণ্টা আগে যেভাবে ‘মগজশূন্য’ করা হয় জাতিকে

একাত্তরের ডিসেম্বরের শুরু থেকেই যখন রণাঙ্গনে পাকিস্তানি বাহিনীর পরাজয় নিশ্চিত হয়ে আসছিল, তখনই গভর্নর হাউসের অন্দরমহলে মেজর জেনারেল রাও ফরমান আলী এক ভয়ংকর নীলনকশা চূড়ান্ত করেন। তাঁর ডায়েরিতেই পাওয়া যায় সেই মৃত্যু-তালিকা, যেখানে লেখা ছিল দেশের প্রথিতযশা শিক্ষক, চিকিৎসক, সাংবাদিক ও সাহিত্যিকদের নাম।

১২ দিন আগে

ঢাকার গলায় ‘ফাঁস’, শিরোমণির ট্যাংক যুদ্ধ এবং বুদ্ধিজীবী হত্যার ছক!

১৩ ডিসেম্বর ঢাকার আকাশ, বাতাস এবং মাটি সব কিছুই যেন পাকিস্তানি জেনারেলদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করেছিল। জেনারেল নিয়াজি তার ক্যান্টনমেন্টের সুরক্ষিত ভূগর্ভস্থ বাঙ্কারে বসে ম্যাপের দিকে তাকিয়ে দেখছিলেন যে, পালানোর আর কোনো রাস্তা খোলা নেই।

১২ দিন আগে

পাকিস্তানিদের শেষ ভরসা সপ্তম নৌ বহরও পরিণত মরীচিকায়

পরাশক্তিদের দ্বন্দ্বে বাংলাদেশের মুক্তিকামী মানুষ ও প্রবাসী সরকার ছিল অটল। প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ ১২ ডিসেম্বর এক বেতার ভাষণে বলেন, ‘সপ্তম নৌ বহর আমাদের স্বাধীনতা আটকাতে পারবে না। প্রয়োজনে আমরা ১০০ বছর যুদ্ধ করব, তবু বিদেশিদের কাছে মাথা নত করব না।’

১৩ দিন আগে