
প্রতিবেদক, রাজনীতি ডটকম

তিন কিশোর গোয়েন্দাকে নিয়ে লেখা জনপ্রিয় সিরিজ ‘তিন গোয়েন্দা’র স্রষ্টা রকিব হাসান মারা গেছেন। তার বয়স হয়েছিল ৭৫ বছর। শামসুদ্দীন নওয়াব নামেও তিনি বেশকিছু বই অনুবাদ করেছেন।
বুধবার (১৫ অক্টোবর) রাজধানীর গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়েছে তার। দীর্ঘ দিন ধরে কিডনির জটিলতায় ভুগছিলেন তিনি। তার দুটি কিডনিই বিকল হয়ে পড়েছিল, মাসে চারটি করে ডায়ালাইসিস করতে হতো।
সেবা প্রকাশনীর উপদেষ্টা মাসুমা মায়মূর এক ফেসবুক পোস্টে জানিয়েছেন, বুধবার কিডনির ডায়ালাইসিস করতে গিয়ে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে রকিব হাসানের জীবনাবসান ঘটেছে।
গণস্বাস্থ্য সমাজভিত্তিক মেডিকেল কলেজের উপাধ্যক্ষ ডা. মহিবুল্লাহ খন্দকার গণমাধ্যমকে বলেন, রকিব হাসান আমাদের হাসপাতালে নিয়মিত কিডনি ডায়ালাইসিস করতেন। আজও তিনি ডায়ালাইসিস করতে এসেছিলেন। ডায়ালাইসিস শুরুর কিছুক্ষণ আগে তিনি মৃত্যুবরণ করেছেন।
রকিব হাসান লেখালেখি করেছেন ছাত্রজীবন থেকেই। তবে তার লেখকজীবনের সূচনা সেবা প্রকাশনীর মাধ্যমে। শুরুর দিকে বিশ্বের বিভিন্ন ভাষার বিখ্যাত বই, বিশেষ করে কিশোর ক্লাসিক অনুবাদ করতেন তিনি। পরে তিন গোয়েন্দা সিরিজের মাধ্যমেই সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়তা পান তিনি। আশির দশক থেকে কয়েক প্রজন্মের কিশোরদের সঙ্গী এই সিরিজটি, যা এখনো পাঠকপ্রিয়তা ধরে রেখেছে।

মার্কিন লেখক রবার্ট আর্থারের ‘থ্রি ইনভেস্টিগেটরস’ সিরিজ অবলম্বনে ‘তিন গোয়েন্দা’ সিরিজ লিখতে শুরু করেন রকিব হাসান। ‘তিন গোয়েন্দা’ নামেই এই সিরিজের প্রথম বই প্রকাশিত হয় ১৯৮৫ সালের আগস্টে। এরপর একে একে এই সিরিজের ১৫৮টি বই লিখেছেন তিনি।
তিন গোয়েন্দা সিরিজের বইগুলোর মধ্যে তিন গোয়েন্দা, রুপালি মাকড়সা, সাগর সৈকত, ছুটি, জিনার সেই দ্বীপ, টক্কর, ঢাকায় তিন গোয়েন্দা, কক্সবাজারে তিন গোয়েন্দা, কঙ্কাল দ্বীপ, খেপা কিশোর, কাকাতুয়া রহস্য, গরমের ছুটি, হারানো উপত্যকা, দক্ষিণ যাত্রা, অথৈ সাগর, ভয়াল গিরি, ঘড়ির গোলমাল, পোচার, নকল কিশোর উল্লেখযোগ্য।
বাঙালি আমেরিকান কিশোর পাশা এবং তার দুই বন্ধু আইরিশ-আমেরিকান রবিন মিলফোর্ড আর আফ্রিকান-আমেরিকান মুসা আমানকে নিয়ে এই সিরিজের কাহিনী সাজান রকিব হাসান। থ্রি ইনভেস্টিগেটরস ছাড়াও বিভিন্ন বিদেশি গোয়েন্দা কাহিনী অবলম্বনে তিন গোয়েন্দার গল্প পাঠককে শুনিয়েছেন তিনি।
আমেরিকার অধিবাসী ও বেশির ভাগ গল্প সেখানকার প্রেক্ষাপটে হলেও রকিব হাসানের লেখনীতে কিশোর-মুসা-রবিন বাংলাদেশের লাখো কিশোর-কিশোরীর কাছে একান্ত আপনজনে পরিণত হয়। মিলেনিয়াল, জেন-জি পেরিয়ে আলফা প্রজন্মের কিশোর-কিশোরীদের হাতেও টিকে রয়েছে এই সিরিজটি।
তিন গোয়েন্দাকে একাধিক গল্পে অবশ্য বাংলাদেশেও এনেছেন রকিব হাসান, যেগুলো পাঠকদের কাছে আরও আপন করে তুলেছে এই সিরিজকে। প্রথম আলো পরিচালিত এক জরিপে উঠে আসে, দেশের কিশোর-কিশোরীদের পঠিত গল্পের বইয়ের মধ্যে ‘তিন গোয়েন্দা’ই সবচেয়ে জনপ্রিয়। কিশোর-কিশোরীদের মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় চরিত্র হিসেবেও উঠে এসেছে যথাক্রমে কিশোর পাশা, রবিন মিলফোর্ড আর মুসা আমানের নাম।
নিজ নামে লেখার পাশাপাশি একাধিক ছদ্মনামেও লেখালেখি করেছেন রকিব হাসান। রাজুসহ সাত গোয়েন্দাকে নিয়ে লেখা গোয়েন্দা রাজু সিরিজটিও জনপ্রিয় হয়েছিল, যেটি তিনিই লিখেছিলেন আবু সাঈদ ছদ্মনামে। আবার শামসুদ্দীন নওয়াব নামে তিনি অনুবাদ করেছিলেন জুল ভার্নের বইগুলো। এই নামে অবশ্য আরও একাধিক লেখক বিভিন্ন সিরিজ লিখেছেন ও অনুবাদ করেছেন।
রকিব হাসানের জন্ম ১৯৫০ সালের ১২ ডিসেম্বর কুমিল্লায়। তার শৈশব কেটেছে বাবার কর্মস্থল ফেনীতে। সেখানে স্কুলজীবন শেষ করে তিনি ভর্তি হন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজে। পড়ালেখা শেষ করে একাধিক অফিসে চাকরি করেছেন তিনি। তবে চাকরিতে টিকতে পারেননি তিনি।
শেষ পর্যন্ত সেবা প্রকাশনীর প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত কাজী আনোয়ার হোসেনের সঙ্গে পরিচয়ের সূত্র ধরে রকিব হাসান যুক্ত হয়ে পড়েন লেখালেখিতে, হয়ে পড়েন পেশাদার লেখক। সেবা প্রকাশনীর রহস্য পত্রিকার সহকারী সম্পাদকও ছিলেন তিনি। তারপর তিন গোয়েন্দার স্রষ্টা হিসেবেই নিজেকে সুপ্রতিষ্ঠিত করেছেন তিনি।

তিন কিশোর গোয়েন্দাকে নিয়ে লেখা জনপ্রিয় সিরিজ ‘তিন গোয়েন্দা’র স্রষ্টা রকিব হাসান মারা গেছেন। তার বয়স হয়েছিল ৭৫ বছর। শামসুদ্দীন নওয়াব নামেও তিনি বেশকিছু বই অনুবাদ করেছেন।
বুধবার (১৫ অক্টোবর) রাজধানীর গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়েছে তার। দীর্ঘ দিন ধরে কিডনির জটিলতায় ভুগছিলেন তিনি। তার দুটি কিডনিই বিকল হয়ে পড়েছিল, মাসে চারটি করে ডায়ালাইসিস করতে হতো।
সেবা প্রকাশনীর উপদেষ্টা মাসুমা মায়মূর এক ফেসবুক পোস্টে জানিয়েছেন, বুধবার কিডনির ডায়ালাইসিস করতে গিয়ে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে রকিব হাসানের জীবনাবসান ঘটেছে।
গণস্বাস্থ্য সমাজভিত্তিক মেডিকেল কলেজের উপাধ্যক্ষ ডা. মহিবুল্লাহ খন্দকার গণমাধ্যমকে বলেন, রকিব হাসান আমাদের হাসপাতালে নিয়মিত কিডনি ডায়ালাইসিস করতেন। আজও তিনি ডায়ালাইসিস করতে এসেছিলেন। ডায়ালাইসিস শুরুর কিছুক্ষণ আগে তিনি মৃত্যুবরণ করেছেন।
রকিব হাসান লেখালেখি করেছেন ছাত্রজীবন থেকেই। তবে তার লেখকজীবনের সূচনা সেবা প্রকাশনীর মাধ্যমে। শুরুর দিকে বিশ্বের বিভিন্ন ভাষার বিখ্যাত বই, বিশেষ করে কিশোর ক্লাসিক অনুবাদ করতেন তিনি। পরে তিন গোয়েন্দা সিরিজের মাধ্যমেই সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়তা পান তিনি। আশির দশক থেকে কয়েক প্রজন্মের কিশোরদের সঙ্গী এই সিরিজটি, যা এখনো পাঠকপ্রিয়তা ধরে রেখেছে।

মার্কিন লেখক রবার্ট আর্থারের ‘থ্রি ইনভেস্টিগেটরস’ সিরিজ অবলম্বনে ‘তিন গোয়েন্দা’ সিরিজ লিখতে শুরু করেন রকিব হাসান। ‘তিন গোয়েন্দা’ নামেই এই সিরিজের প্রথম বই প্রকাশিত হয় ১৯৮৫ সালের আগস্টে। এরপর একে একে এই সিরিজের ১৫৮টি বই লিখেছেন তিনি।
তিন গোয়েন্দা সিরিজের বইগুলোর মধ্যে তিন গোয়েন্দা, রুপালি মাকড়সা, সাগর সৈকত, ছুটি, জিনার সেই দ্বীপ, টক্কর, ঢাকায় তিন গোয়েন্দা, কক্সবাজারে তিন গোয়েন্দা, কঙ্কাল দ্বীপ, খেপা কিশোর, কাকাতুয়া রহস্য, গরমের ছুটি, হারানো উপত্যকা, দক্ষিণ যাত্রা, অথৈ সাগর, ভয়াল গিরি, ঘড়ির গোলমাল, পোচার, নকল কিশোর উল্লেখযোগ্য।
বাঙালি আমেরিকান কিশোর পাশা এবং তার দুই বন্ধু আইরিশ-আমেরিকান রবিন মিলফোর্ড আর আফ্রিকান-আমেরিকান মুসা আমানকে নিয়ে এই সিরিজের কাহিনী সাজান রকিব হাসান। থ্রি ইনভেস্টিগেটরস ছাড়াও বিভিন্ন বিদেশি গোয়েন্দা কাহিনী অবলম্বনে তিন গোয়েন্দার গল্প পাঠককে শুনিয়েছেন তিনি।
আমেরিকার অধিবাসী ও বেশির ভাগ গল্প সেখানকার প্রেক্ষাপটে হলেও রকিব হাসানের লেখনীতে কিশোর-মুসা-রবিন বাংলাদেশের লাখো কিশোর-কিশোরীর কাছে একান্ত আপনজনে পরিণত হয়। মিলেনিয়াল, জেন-জি পেরিয়ে আলফা প্রজন্মের কিশোর-কিশোরীদের হাতেও টিকে রয়েছে এই সিরিজটি।
তিন গোয়েন্দাকে একাধিক গল্পে অবশ্য বাংলাদেশেও এনেছেন রকিব হাসান, যেগুলো পাঠকদের কাছে আরও আপন করে তুলেছে এই সিরিজকে। প্রথম আলো পরিচালিত এক জরিপে উঠে আসে, দেশের কিশোর-কিশোরীদের পঠিত গল্পের বইয়ের মধ্যে ‘তিন গোয়েন্দা’ই সবচেয়ে জনপ্রিয়। কিশোর-কিশোরীদের মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় চরিত্র হিসেবেও উঠে এসেছে যথাক্রমে কিশোর পাশা, রবিন মিলফোর্ড আর মুসা আমানের নাম।
নিজ নামে লেখার পাশাপাশি একাধিক ছদ্মনামেও লেখালেখি করেছেন রকিব হাসান। রাজুসহ সাত গোয়েন্দাকে নিয়ে লেখা গোয়েন্দা রাজু সিরিজটিও জনপ্রিয় হয়েছিল, যেটি তিনিই লিখেছিলেন আবু সাঈদ ছদ্মনামে। আবার শামসুদ্দীন নওয়াব নামে তিনি অনুবাদ করেছিলেন জুল ভার্নের বইগুলো। এই নামে অবশ্য আরও একাধিক লেখক বিভিন্ন সিরিজ লিখেছেন ও অনুবাদ করেছেন।
রকিব হাসানের জন্ম ১৯৫০ সালের ১২ ডিসেম্বর কুমিল্লায়। তার শৈশব কেটেছে বাবার কর্মস্থল ফেনীতে। সেখানে স্কুলজীবন শেষ করে তিনি ভর্তি হন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজে। পড়ালেখা শেষ করে একাধিক অফিসে চাকরি করেছেন তিনি। তবে চাকরিতে টিকতে পারেননি তিনি।
শেষ পর্যন্ত সেবা প্রকাশনীর প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত কাজী আনোয়ার হোসেনের সঙ্গে পরিচয়ের সূত্র ধরে রকিব হাসান যুক্ত হয়ে পড়েন লেখালেখিতে, হয়ে পড়েন পেশাদার লেখক। সেবা প্রকাশনীর রহস্য পত্রিকার সহকারী সম্পাদকও ছিলেন তিনি। তারপর তিন গোয়েন্দার স্রষ্টা হিসেবেই নিজেকে সুপ্রতিষ্ঠিত করেছেন তিনি।

পাকিস্তানি ১২ ফ্রন্টিয়ার ফোর্সের অধিনায়ক লেফট্যানেন্ট কর্নেল কামাল ও তার সৈন্যরা এই প্রচণ্ড আক্রমণের মুখে টিকতে না পেরে বিপুল অস্ত্রশস্ত্র ফেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার দিকে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়। আখাউড়া স্টেশনের দখল নেয় মুক্তিবাহিনী।
২ দিন আগে
কামালপুর কেবল একটি বিওপি বা বর্ডার আউটপোস্ট ছিল না, এটি ছিল পাকিস্তানি বাহিনীর অহংকারের প্রতীক এবং ঢাকা বিজয়ের চাবিকাঠি। এ যুদ্ধের কাহিনি কোনো সাধারণ যুদ্ধের বিবরণ নয়; বারুদ, কাদা, রক্ত ও মানুষের অকল্পনীয় জেদের এক মহাকাব্যিক উপাখ্যান।
৩ দিন আগে
সব প্রস্তুতি শেষ হলে আজ মধ্যরাত অথবা শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকালের মধ্যে খালেদা জিয়াকে লন্ডনে নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য প্রফেসর ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন।
৩ দিন আগে
সারা রাত ধরে চলা গুলিবিনিময় ও আর্টিলারি হামলার পর পাকিস্তানি সৈন্যরা ছত্রভঙ্গ হয়ে পড়ে। পলায়নপর অনেক পাকিস্তানি সৈন্য তিতাস নদীতে ঝাঁপ দেয়। শীতের রাতে ভারী বুট ও ইউনিফর্ম পরিহিত অবস্থায় নদী পার হতে গিয়ে তাদের অনেকের সলিল সমাধি ঘটে। যারা বেঁচে ছিলেন, তারা রেললাইন ধরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার দিকে পালিয়ে যান।
৩ দিন আগে