প্রভাবশালী ব্রিটিশ গণমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান তাদের বৃহস্পতিবার প্রথম পাতা সাজিয়েছে ট্রাম্পের সফর নিয়েই। সেখানে মূল সংবাদের পাশেই স্থান পেয়েছে ব্রিটিশ ‘পোয়েট লরিয়েট’ তথা রাষ্ট্রীয়ভাবে নিযুক্ত কবি ক্যারল অ্যান ডাফির কবিতা STATE/BANQUET। বিশ্বব্যবস্থা যে রাজনৈতিক বাস্তবতার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে, তারই এক মূর্ত
বাংলাদেশের স্থাপত্য ইতিহাসে যে কটি নিদর্শন সবচেয়ে বেশি গৌরবের সঙ্গে উচ্চারিত হয়, তার মধ্যে খুলনার বাগেরহাটের ষাট গম্বুজ মসজিদ অন্যতম। এই মসজিদ শুধু একটি ধর্মীয় উপাসনালয় নয়, বরং বাংলার অতীত ইতিহাস, ইসলামি স্থাপত্যশৈলী ও স্থানীয় সংস্কৃতির এক অনন্য মিলনের দৃষ্টান্ত। ষাট গম্বুজ মসজিদকে কেন্দ্র করে যে কি
জীবনের অর্থ কখনো স্থির নয়। কখনো এটি আনন্দের মায়াজাল, কখনো বেদনার অন্ধকারে নিমজ্জিত। কেউ বলে “জীবন হলো সংগ্রাম” (ফরাসি দার্শনিক রুশো)।কেউ বলে “জীবন হলো আনন্দের উৎসব” (ভারতীয় ভাবধারা)।অর্থাৎ জীবনকে বোঝার একক সূত্র নেই। এটি বহুমাত্রিক, পরিবর্তনশীল এবং জিজ্ঞাসার শিখরে স্থিত।
মোগল আমলে ঢাকা ছিল বাংলার রাজধানী। সম্রাট আওরঙ্গজেবের শাসনামলে তাঁর জামাতা সুবাদার মুজাফফর হোসেন শায়েস্তা খানের পুত্র মুহাম্মদ আজম শাহ ১৬৭৮ সালে এখানে কেল্লার নির্মাণকাজ শুরু করেন। আজম শাহ ছিলেন মোগল সিংহাসনের উত্তরাধিকারী এবং পরবর্তীতে তিনি সম্রাট হয়েছিলেন।
সোমপুর বিহারের মূল স্থাপনাটি আয়তাকার, যার মাঝখানে আছে একটি বিশাল স্তূপ। চারপাশে ঘিরে রয়েছে ১৭৭টি কক্ষ, যেগুলোতে ভিক্ষুরা থাকতেন। অনেকেই এটিকে প্রাচীন বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে উল্লেখ করেছেন। এখানে শুধু ধর্মগ্রন্থ পাঠ নয়, চিকিৎসা, জ্যোতির্বিদ্যা, দর্শন, গণিত ও শিল্পকলার শিক্ষা হতো। অর্থাৎ এটি ছিল এক ধরনের
সময় প্রতিদিন আসে ঋণদাতার বেশে, ক্যালেন্ডারের পাতায় লিখে যায় তাগিদ: আজও বেঁচে আছ, কালও বাঁচতে হবে— কিন্তু কোথা থেকে আনবে আলো,
মহাস্থানগড়ের নামকরণের পেছনেও রয়েছে ইতিহাসের গন্ধ। "মহাস্থান" শব্দের অর্থ হলো মহৎ স্থান, আর "গড়" মানে দুর্গ। সত্যিই এটি ছিল এক শক্তিশালী দুর্গনগরী, যার চারদিকে উঁচু প্রাচীর ও প্রবেশপথ ছিল। নগরীর ভেতরে ছিল প্রাসাদ, প্রশাসনিক ভবন, ধর্মীয় স্থাপনা এবং সাধারণ মানুষের বসবাসের জায়গা। এই নগরকে ঘিরে বহু কিংবদ
সাংবাদিকতার ভুবনেই বিভুরঞ্জন সরকার হয়ে ওঠেন সর্বাধিক পরিচিত। যদিও সাধারণভাবে তাঁকে আমরা কলামিস্ট হিসেবে জানি, তাঁর ভূমিকা এর চেয়ে অনেক বিস্তৃত। তিনি শুধু কলাম লিখতেন না—তিনি ছিলেন সংবাদপত্র সংগঠনের অন্যতম কারিগর। আজকের পত্রিকা প্রতিষ্ঠার সময় তাঁর সক্রিয় ভূমিকা ছিল।
কলকাতার মাটিতে জন্ম হলেও, তার হৃদয় ও আত্মা ছিল বাংলাদেশের মাটির সঙ্গে নিবিড়ভাবে জড়িত। শৈশব থেকেই জ্ঞানের প্রতি অদম্য তৃষ্ণা ও সমাজের প্রতি গভীর দায়বদ্ধতা তাঁকে এক অনন্য ব্যক্তিত্বে পরিণত করে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞানের ছাত্রী হয়েও তিনি কেবল বিজ্ঞানেই সীমাবদ্ধ থাকেন নি; জ্ঞানের প্রতিটি শাখা
অচ্যুত পোতদারের অভিনয়জীবন ছিল চার দশকেরও বেশি। তিনি ১২৫টির বেশি হিন্দি ও মারাঠি ছবিতে কাজ করেছেন। হিন্দি ও মারাঠি চলচ্চিত্র অঙ্গনে তাঁর মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। সহকর্মী, ভক্ত ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা সামাজিক মাধ্যমে তাঁকে শেষ শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন। বাস্তব জীবনেও তিনি ছিলেন নম্র, অমায়িক এবং বহুমুখী প্রতিভ
পূর্ণিমার আলোতে আমার হাতের রেখাগুলো শুকনো নদীর তলদেশের মতো ফেটে গেছে।
এই গ্রন্থটি এটি সপ্তম শতকের ভারতবর্ষের একটি জীবন্ত দলিল। প্রায় ১৭ বছর ধরে ভারত ও দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন অঞ্চল ঘুরে, নিজ চোখে দেখা ও অভিজ্ঞতা অর্জন করে হিউয়েন সাং এই গ্রন্থ রচনা করেন।
১ আগস্ট ২০২৫, শুক্রবার বিকেলে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হলো ‘কাঁচামিঠে ফলের ছড়া’ বইয়ে প্রকাশনা উৎসব। আনন্দমুখর এই আয়োজনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বহুপ্রজ সাহিত্যিক রফিকুর রশীদ।
৬০২ খ্রিষ্টাব্দে চীনের হেনান প্রদেশে জন্ম নেওয়া হিউয়েন সাং ছোটবেলা থেকেই বৌদ্ধধর্মের প্রতি গভীর আগ্রহী ছিলেন। বড় হয়ে তিনি 'তাং' (Tang) সাম্রাজ্যের বিখ্যাত বৌদ্ধ সন্ন্যাসী হয়ে ওঠেন। সে সময় চীনে পালি ও সংস্কৃত ভাষার বহু বৌদ্ধ গ্রন্থ অনুবাদিত হলেও, তাঁদের অনেকগুলোতেই অস্পষ্টতা ও ভুল ছিল। সেই সমস্যাগুলো
তাঁর বর্ষার গানগুলোতে প্রকৃতি নিজেই যেন একটি জীবন্ত চরিত্র হয়ে ওঠে। শ্রাবণ-ভাদ্র মাসের আকাশ, মাঠে জমে থাকা জল, ছায়া মাখানো পথঘাট, ঝরঝর বৃষ্টি, পলিফাটা মেঘ—সবই যেন তাঁর গানের অনুষঙ্গ। কিন্তু এসব কেবল চিত্রায়ন নয়, বরং এগুলোর মধ্যে রবীন্দ্রনাথ খুঁজে পান মানুষের গভীর অনুভব, ভালোবাসা, নির্জনতা ও চিরপ্রত্
আপাত দৃষ্টিতে মনে হয়, টাইমস স্কয়ার নিউইয়র্ক সিটির বুকে গড়ে ওঠা একটি চত্বর। কিন্তু এই চত্বটিই আধুনিক সভ্যতার মূর্ত প্রতীক। দিনরাত েস্রাতের মতো মানুষ আসছে যােচ্ছে এখানে পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে। শহরের যে প্রাণ থাকে, প্রাণস্পন্দন থাকে এখানে এলে বোঝা যায়। শহর যে শুধু ইট কাঠ কংক্রিট-সর্বস্ব নয়, শহরের