স্থানীয় সময় শুক্রবার সন্ধ্যায় মস্কোর ক্রোকাস সিটি হলে এ হামলার ঘটনা ঘটে। এ সময় বন্দুকধারীরা কনসার্ট হলে ঢুকে স্বয়ংক্রিয় রাইফেল দিয়ে ভিড়ের মধ্যে এলোপাতাড়ি গুলি চালায়। এর আগে রাশিয়ার কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা সংস্থা জানিয়েছিল, এ হামলায় অন্তত ৪০ জন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে শতাধিক মানুষ।
জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে তোলা প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেয় ১১টি দেশ। বিপক্ষে দেয় তিনটি দেশ। আর একটি দেশ ভোট দেওয়া থেকে বিরত থাকে।
রাশিয়ার কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের মতে, প্রায় ৬০ শতাংশ নির্বাচনী এলাকার ভোট গণনা শেষে পুতিন প্রায় ৮৭ শতাংশ ভোট পেয়েছেন।
আল-জাজিরা জানিয়েছে, এবারের নির্বাচনে প্রায় ৮৭ শতাংশ ভোট পড়েছে তার পক্ষে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন সদ্যসমাপ্ত নির্বাচনে বিশাল জয়ের মাধ্যমে নিজের ক্ষমতাকে আরও শক্তিশালী করেছেন।
শুক্রবার সকাল থেকে রাশিয়াজুড়ে শুরু হয়েছে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ভোট গ্রহণ; ভোট শুরুর কয়েক ঘণ্টা পর স্থানীয় সময় বেলা ১১ টার দিকে প্রথম ক্ষেপণাস্ত্রটি আঘাত হানে ওডেসায়। সেটির আঘাতের পর ইউক্রেনের জরুরি পরিষেবা বিভাগের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন।
রাশিয়া দোনেৎস্ক অঞ্চলকে সংযুক্ত করেছে বলে দাবি করলেও এটির সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ তাদের হাতে নেই এবং আঞ্চলিক এই রাজধানী বারবার গোলাবর্ষণের শিকার হতে দেখা যায়।
এবারের নির্বাচনে পুতিনের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ডানপন্থি লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপিআর) প্রধান লিওনিড স্লুটস্কি, কমিউনিস্ট প্রার্থী নিকোলে খারিতোনভ এবং উদার মধ্যপন্থি নিউ পিপলের প্রতিনিধিত্বকারী ভ্লাদিস্লাভ দাভানকভ।
ফাউন্ডেশনের জরিপ প্রতিবেদনে বলা হয়, এতে অংশ নেওয়া ৮৩ শতাংশ উত্তরদাতা বলেছেন, তারা পুতিনের প্রচেষ্টাকে ইতিবাচকভাবে মূল্যায়ন করেন। পুতিনের প্রতি রাশিয়ার প্রায় ৮২ শতাংশ মানুষের আস্থা রয়েছে।
সেদিন রুশ বাহিনীর হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত বন্দরনগরী ওদেসা পরিদর্শনে গিয়েছিলেন জেলেনস্কি। গ্রিক প্রধানমন্ত্রী মিৎসোতাকিসকে সঙ্গে নিয়ে ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়ার হামলায় নিহতদের প্রতি ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো শেষে যৌথ সংবাদ সম্মেলনের সময় এ হামলার ঘটনা ঘটে
এ বিষয়ে ইউক্রেনের নৌবাহিনীর মুখপাত্র দিমিত্রো প্লেটেনচুক সিএনএনকে জানান, ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় পাঁচজন নিহত এবং অনেকে আহতও হয়েছেন। হামলায় জেলেনস্কি ও গ্রিসের প্রধানমন্ত্রী কেউই আহত হননি। তবে জেলেনস্কি জানিয়েছেন, তিনি ক্ষেপণাস্ত্র এতটাই কাছে ছিলেন যে এটির জোরালো শব্দ তিনি শুনতে পেয়েছেন।
সংস্থাটির এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘যারা ভাষণটি অনুসরণ করেছেন তাদের মধ্যে ৮৫ শতাংশ বলেছেন, দেশের উন্নয়নের জন্য পুতিনের একটি সুস্পষ্ট পরিকল্পনা এবং একটি কৌশল রয়েছে।
‘তিন লাখ বা দেড় লাখ নয়, কিংবা পুতিন এবং তার মিথ্যাবাদী চক্র যা বলুক না কেন এই যুদ্ধে ৩১ হাজার ইউক্রেনীয় সৈন্য মারা গেছে। কিন্তু এই প্রতিটি মৃত্যু আমাদের জন্য একটি বিশাল ক্ষতি।’