নুরুল হক নুর বলেন, ‘আগামী নির্বাচন ইতিহাসের সেরা নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হবে। রাজনৈতিক দলের নেতাদের বলব আওয়ামী লীগ থেকে শিক্ষা নিন। গণ-অভ্যুত্থানকে পুঁজি করে কোনো দল যদি লুটপাট করার জন্য দেশটাকে নিজের সম্পতি মনে করে সেটাও ভুল হবে।
তিনি আরও বলেন, ‘চোর-পুলিশ, ডাকাত-পুলিশ চলবে না। থানার দালালরা ধরে ধরে মানুষকে মামলা দেয়, সেই মামলার ওপর পুলিশ কাজ করে। সরকার যদি ভালো না হয়, তাহলে সরকারি কর্মকর্তারা সবাই চোর হবে। সরকারি যদি বলে, আমি গদিতে থাকবো, তখন পুলিশ ডেকে ডেকে বলে সরকার বদলালেও আমরা আছি, পিঠের চামড়া রাখবো না।’
নির্বাচন বা ক্ষমতার জন্য নয়, দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায়, রাষ্ট্র বিনির্মাণে ও দেশ পুনর্গঠনে অগ্রণী ভূমিকা পালনের প্রত্যয় নিয়ে আত্মপ্রকাশ করেছে নতুন রাজনৈতিক দল ‘বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক শক্তি’।
আদালত প্রাঙ্গণে দলীয় রাজনীতি বন্ধ করতে হবে। মিছিল, মিটিং, স্লোগান, ব্যানার, পোস্টারিং করে আদালতের ভাবমূর্তি হেয় করার সংস্কৃতি থেকে বের হয়ে আসতে হবে। সেক্ষেত্রে প্রত্যেক বারকে বিচারিক আদালতের সীমানা থেকে আলাদা করার ব্যবস্থা করতে হবে বলে অভিমত জানিয়েছেন তিনি।
জোটের শীর্ষ নেতারা বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার ফ্যাসিবাদ মুক্ত বাংলাদেশ বিনির্মাণে বিভিন্ন সংস্কার কমিশন গঠন করেছে। তারই ধারাবাহিকতায় গণমাধ্যম সংস্কার কমিটির নামে যে কমিটি গঠন করা হয়েছে তা ফ্যাসিবাদ বিরোধী চেতনার সম্পূর্ণ পরিপন্থি।
তিনি বলেন, ‘একটি সংগ্রামের ইতিহাসের মধ্যে দিয়ে গণ অধিকার পরিষদ রাজনৈতিক ভিত্তি গড়েছে। আমরা অনেক আগেই বলেছি, একই ব্যক্তি দুইবারের বেশি প্রধানমন্ত্রী থাকতে পারবে না। এখন সংস্কার কমিশনের একই সিদ্ধান্ত আমরা সাধুবাদ জানাই। আমরা ভারসাম্যমূলক সংসদ ও সংখ্যানুপাতিক নির্বাচনের কথা বলেছি। যা নিয়ে এখন আলোচনা চল
সাইফুল হক বলেন, ‘বিপ্লবের পেছনে যেমন প্রতিবিপ্লব থাকে, তেমনি গণঅভ্যুত্থানের পেছনেও প্রতিঅভ্যুত্থানের ঝুঁকি থাকে। সে কারণে গণঅভ্যুত্থানের সব পক্ষকে রাজনৈতিক বিতর্কের মাঝেও নিজেদের মধ্যকার সাধারণ বোঝাপড়া অব্যাহত রাখতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী যিনি ছিলেন তিনি বলতেন দেশের কী উন্নতি হচ্ছে দেখছেন না। আমার পিয়নও ৪০০ কোটি টাকার মালিক। সেই প্রধানমন্ত্রী কাছে আপনারা জানতে চাইবেন না, কীভাবে আপনার পিয়ন ৪০০ কোটি টাকার মালিক হলো?
শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) বিকেলে জাতীয় জাদুঘরের সামনে ‘মার্চ ফর ইউনিটি অ্যান্ড জাস্টিস’ শিরোনামে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে এক সমাবেশে নাসির উদ্দিন পাটোয়ারী এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, সংস্কারের পক্ষ নিয়ে কেউ যদি নির্বাচনকে বিলম্বিত করার কথা বলে, সেটাও মানুষ নিবে না। আবার নির্বাচনের কথা বলে সংস্কার যদি আড়াল হয়ে যায়, সেটাও মানুষ গ্রহণ করবে না। আমরা সংস্কারও চাই আবার নির্বাচনও চাই। এই কাজ করতে হলে আমাদেরকে নূন্যতম ঐক্যমতে দাঁড়াত হবে। নূন্যতম জাতীয় ঐক্যবদ্ধ হতে না পারলে, অ
'হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ট্রাস্ট’ সংক্রান্ত অনিয়ম নিরসনে প্রশাসনিক হস্তক্ষেপ চেয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীকে চিঠি দিয়েছেন সাবেক প্রেসিডেন্ট হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের ছেলে শাহাতা জারাব এরিক এরশাদ।
নুর বলেন, আওয়ামী লীগকে আর রাজনীতি করার সুযোগ দেয়া যাবে না। তারা যদি আবার কোনোভাবে ফিরে আসে তাহলে ২০০৮ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত যে নারকীয় তাণ্ডব করেছে সেটি শুরু হবে। ফের হাসিনাবাদ কায়েম হবে।
তিনি আরও বলেন, ‘বাণিজ্য উপদেষ্টা বশিরউদ্দিন দায়িত্ব গ্রহণের শুরুতেই সয়াবিন তেলের কালোবাজারি সিন্ডিকেটের কাছে নতিস্বীকার করে প্রতি লিটারে ৮ টাকা মূল্যবৃদ্ধি করে সাধারণ মানুষের হাজার হাজার কোটি টাকা লোপাটে সহযোগিতা করেছেন।’
জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ডাকা সর্বদলীয় বৈঠকে অংশ নেবে না সাবেক সেনাকর্মকর্তা অলি আহমদের নেতৃত্বাধীন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি)।
দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বাংলাদেশ ঐক্য পার্টির ভাইস-চেয়ারম্যান ও মুখপাত্র মুহাম্মদ আবদুর রহীম চৌধুরী বলেন, আওয়ামী লীগ আমলের মতো এখনও বিভাজনের রাজনীতি চলছে। ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন সরকার লুটপাটের স্রোত কমিয়ে আনাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সফল হলেও সেটা কাঙ্ক্ষিত পর্যায়ে নয়। অথচ দেশবাসীর
তিনি আরও বলেন, বিএনপির বিকল্প যদি কোনো শক্তিশালী রাজনৈতিক দল গড়ে না ওঠে, আবারও আওয়ামী লীগের আসার সুযোগ থাকবে। আওয়ামী লীগকে কামব্যাক করানোর জন্য ভারত হাজার হাজার কোটি টাকা ইনভেস্ট করবে। কাজেই, আওয়ামী লীগের বিচারের দাবিতে সবাইকে সোচ্চার হতে হবে। আওয়ামী লীগকে এদেশে মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে দেয়া যাবে না।
রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের পদ্ধতি এবং তার ক্ষমতার বিষয় নিয়ে বেশ কিছু প্রস্তাবনা উপস্থাপন করেছে জাতীয় নাগরিক কমিটি। মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) প্রস্তাবনায় বলা হয়, রাষ্ট্রপতি জনগণের সরাসরি ভোটে নির্বাচিত হবেন এবং একজন ব্যক্তি দুই বারের অধিক রাষ্ট্রপতি হিসেবে নির্বাচিত হতে পারবেন না।