প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সমাবেশের মঞ্চে থাকা সাউন্ড বক্স, মাইক ও চেয়ার ভাঙচুরসহ উপস্থিত এনসিপির নেতাকর্মীদের ওপর হামলা করা হয়। এ সময় কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণের শব্দও শোনা গেছে।
জুলাই আন্দোলনে ক্ষমতাচ্যুত ও কার্যক্রম নিষিদ্ধঘোষিত আওয়ামী লীগের ‘দুর্ভেদ্য দুর্গ’ হিসেবে খ্যাত গোপালগঞ্জ। সেখানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধি রয়েছে।
নাহিদ ইসলাম বলেন, গণঅভুথ্যানের পর আমরা বলেছিলাম, মাফিয়া-দুর্নীতিবাজ সিস্টেমের বদল ঘটাতে হবে। কিন্তু আমরা দেখছি, সেই সিস্টেমকে পাহারা দেওয়ার জন্য নতুন দলের আর্বিভাব ঘটেছে। সেই সিস্টেমে চাঁদাবাজি-দুর্নীতিতে আগে একটা দল পাহারা দিত, এখন অন্য এক দল পাহারা দিচ্ছে।
নাহিদ ইসলাম বলেন, গণঅভ্যুত্থানের পর আমরা বলেছিলাম, মাফিয়া ও দুর্নীতি বন্ধ করতে হবে, কিন্তু আমরা দেখছি দুর্নীতির সেই সিস্টেমকে পাহারা দেওয়ার জন্য নতুন দলের আবির্ভাব ঘটেছে। বলেছিলাম, হাসিনার পতন চাই না, আমরা এই ফ্যাসিবাদী সিস্টেম বন্ধ করে নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত করতে চাই। যেহেতু সেই ফ্যাসিবাদী সিস্ট
নাসির উদ্দিন পাটোয়ারী বলেন, নির্বাচনের আগে ইসি পুনর্গঠন করতে হবে। আমাদের শাপলা প্রতীক পেতে আইনে কোনো বাধা নেই। শাপলা ছাড়া আমাদের বিকল্প অপশন নেই আর যদি শাপলা পেতে আমাদের বাধা দেওয়া হয় তাহলে তা আমরা রাজনৈতিকভাবে লড়াই করব।
প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) সঙ্গে দেখা করতে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে উপস্থিত হয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) একটি প্রতিনিধি দল। আগামী সংসদ নির্বাচনে ভোটের প্রতীকের তালিকায় শাপলা না রাখার সিদ্ধান্তের মধ্যেই হাসনাত-সারজিসরা সিইসির সাথে সাক্ষাৎ করতে গেলেন।
নির্বাচন কমিশনের উদ্দেশ্যে নাহিদ বলেন, ‘আমরা সংস্কার, বিচার ও নির্বাচন একসঙ্গে চাই। নির্বাচন ও ভোটাধিকারের পক্ষে সত্যিকারের লড়াই করে যাচ্ছে জাতীয় নাগরিক পার্টির নেতৃত্ব। আমরা স্বাধীনতা এনেছি। আমরা সংস্কার আনব। আমরা দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা করব।’
কোনো কোনো রাজনৈতিক দল এনসিপিকে ‘নির্বাচনবিরোধী দল’ হিসেবে ট্যাগ দেওয়ার চেষ্টা করছে উল্লেখ করে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, এনসিপি কখনোই নির্বাচনবিরোধী দল নয়। আমরাও নির্বাচন চাই। তবে বিচার, সংস্কারসহ জুলাই গণঅভ্যুত্থানের দাবির প্যাকেজ বাস্তবায়ন না হও
সংস্কার ও জুলাই সনদসহ বেশ কিছু বিষয় এখনো অমীমাংসিত হলেও আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের প্রস্তুতি শেষ করতে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। প্রতিক্রিয়ায় বিএনপি তাকে ধন্যবাদ জানালেও সংস্কার আর জুলাই সনদ নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছে এনসিপি। আবার এসব বিষয়ে ইউনূসের প্রতিই আস্থা রাখছে
এনসিপির আহ্বায়ক বলেন, ‘ভারতীয় আধিপত্যবাদের কারণে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব বারবার লঙ্ঘিত হয়েছে। আমাদের পানির ন্যায্যহিস্যা দেওয়া হয়নি। অর্থনৈতিকভাবে, সাংস্কৃতিকভাবে বারবার বাংলাদেশকে অবদমন করা হয়েছে।’