
প্রতিবেদক, রাজনীতি ডটকম

সংসদীয় আসন ভাগাভাগি ও মন্ত্রিসভায় সদস্য থাকা নিয়ে বিএনপির সঙ্গে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মধ্যে সমঝোতা নিয়ে প্রথম আলোতে প্রকাশিত সংবাদের তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী।
এনসিপির কেন্দ্রীয় এই নেতা এ ধরনের সংবাদ প্রকাশকে ‘অপসাংবাদিকতা’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন। বলেছেন, প্রথম আলো সম্পাদক সাংবাদিকতা ছেড়ে রাজনীতি করতে পারেন, প্রয়োজনে এনসিপি তাকে সংসদ নির্বাচনে নিজেদের দল থেকে মনোনয়ন দেবে।
বুধবার (৫ নভেম্বর) রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে গণতন্ত্র মঞ্চের আমন্ত্রণে কয়েকটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৈঠক শেষে এ কথা বলেন তিনি।
এ দিন প্রথম আলোতে ‘বিএনপির কাছে ২০ আসন চায় এনসিপি, চায় মন্ত্রিসভায়ও হিস্যা’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। নাসীর এ প্রতিবেদনকে ‘ভুয়া’ ও ‘মিথ্যা’ বলে অভিহিত করেন। এনসিপির পক্ষ থেকে বিবৃতি দিয়েও এ খবরকে ‘ভিত্তিহীন’ ও ‘উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ আখ্যা দেওয়া হয়েছে।
নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, ‘প্রথম আলোর মতি ভাইকে বলব— হয় আপনি সাংবাদিকতা করেন, না হয় রাজনীতি করেন। প্রয়োজনে এনসিপি থেকে আমরা আপনাকে মনোনয়ন দেবো, তাও অপসাংবাদিকতা বন্ধ করেন।’

এনসিপির এই মুখ্য সমন্বয়ক আরও বলেন, ‘২০টি আসন ও তিনজন মন্ত্রীর প্রস্তাব সম্পূর্ণ ভুয়া ও মিথ্যা। প্রথম আলো, ডেইলি স্টারকে ভয় পাবার দিন আর নেই।’
নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারীর এই বক্তব্য এনসিপির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহও তার নিজের ফেসবুক প্রোফাইলে শেয়ার করেছেন।
বুধবার বিকেল পৌনে ৫টার দিকে এক বিবৃতিতে প্রথম আলোর ওই প্রতিবেদনের প্রতিবাদ জানিয়েছে। দলটির যুগ্ম সদস্য সচিব ও মিডিয়া সেল সম্পাদক মুশফিক উস সালেহীন বিবৃতিতে সই করেছেন।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, প্রতিবেদনে বিএনপির সঙ্গে আসন সমঝোতা ও মন্ত্রিসভায় হিস্যা চাওয়ার খবর সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। জাতীয় নাগরিক পার্টি কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে জোট, আসন সমঝোতা বা ক্ষমতা ভাগাভাগি বিষয়ে কোনো আলোচনা বা সিদ্ধান্ত নেয়নি। এমন কোনো প্রস্তাবও দলের নীতি নির্ধারণী পর্ষদে কখনো গৃহীত হয়নি।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, এনসিপি বিশ্বাস করে, দেশের ভবিষ্যৎ রাজনীতি হবে জনগণের অধিকার, জবাবদিহিতা, সংস্কার ও গণতান্ত্রিক পুনর্গঠনের রাজনীতি। সে লক্ষ্যেই দলটি সারা দেশে সাংগঠনিক প্রস্তুতি ও প্রার্থী যাচাই প্রক্রিয়া চালিয়ে যাচ্ছে।
প্রথম আলোর প্রতিবেদনে উল্লিখিত তথাকথিত ‘সূত্র’ সম্পূর্ণ অনুমাননির্ভর ও সাংবাদিকতার মৌলিক নীতির পরিপন্থি উল্লেখ করে এনসিপি বলছে, এতে জনগণ বিভ্রান্ত হয়েছে এবং দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হয়েছে। জাতীয় নাগরিক পার্টি প্রথম আলোকে অবিলম্বে প্রকাশ্যে দুঃখপ্রকাশ ও সংশোধনী প্রকাশের আহ্বান জানাচ্ছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, আমরা পুনরায় স্পষ্ট করছি, এনসিপি কোনো দলের কাছে আসন বা মন্ত্রিসভায় অংশগ্রহণের দাবি তোলেনি। আমরা জনগণের আস্থায় একটি বাংলাদেশপন্থি, দায়িত্বশীল ও স্বতন্ত্র রাজনৈতিক শক্তি গড়ে তুলতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

সংসদীয় আসন ভাগাভাগি ও মন্ত্রিসভায় সদস্য থাকা নিয়ে বিএনপির সঙ্গে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মধ্যে সমঝোতা নিয়ে প্রথম আলোতে প্রকাশিত সংবাদের তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী।
এনসিপির কেন্দ্রীয় এই নেতা এ ধরনের সংবাদ প্রকাশকে ‘অপসাংবাদিকতা’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন। বলেছেন, প্রথম আলো সম্পাদক সাংবাদিকতা ছেড়ে রাজনীতি করতে পারেন, প্রয়োজনে এনসিপি তাকে সংসদ নির্বাচনে নিজেদের দল থেকে মনোনয়ন দেবে।
বুধবার (৫ নভেম্বর) রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে গণতন্ত্র মঞ্চের আমন্ত্রণে কয়েকটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৈঠক শেষে এ কথা বলেন তিনি।
এ দিন প্রথম আলোতে ‘বিএনপির কাছে ২০ আসন চায় এনসিপি, চায় মন্ত্রিসভায়ও হিস্যা’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। নাসীর এ প্রতিবেদনকে ‘ভুয়া’ ও ‘মিথ্যা’ বলে অভিহিত করেন। এনসিপির পক্ষ থেকে বিবৃতি দিয়েও এ খবরকে ‘ভিত্তিহীন’ ও ‘উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ আখ্যা দেওয়া হয়েছে।
নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, ‘প্রথম আলোর মতি ভাইকে বলব— হয় আপনি সাংবাদিকতা করেন, না হয় রাজনীতি করেন। প্রয়োজনে এনসিপি থেকে আমরা আপনাকে মনোনয়ন দেবো, তাও অপসাংবাদিকতা বন্ধ করেন।’

এনসিপির এই মুখ্য সমন্বয়ক আরও বলেন, ‘২০টি আসন ও তিনজন মন্ত্রীর প্রস্তাব সম্পূর্ণ ভুয়া ও মিথ্যা। প্রথম আলো, ডেইলি স্টারকে ভয় পাবার দিন আর নেই।’
নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারীর এই বক্তব্য এনসিপির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহও তার নিজের ফেসবুক প্রোফাইলে শেয়ার করেছেন।
বুধবার বিকেল পৌনে ৫টার দিকে এক বিবৃতিতে প্রথম আলোর ওই প্রতিবেদনের প্রতিবাদ জানিয়েছে। দলটির যুগ্ম সদস্য সচিব ও মিডিয়া সেল সম্পাদক মুশফিক উস সালেহীন বিবৃতিতে সই করেছেন।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, প্রতিবেদনে বিএনপির সঙ্গে আসন সমঝোতা ও মন্ত্রিসভায় হিস্যা চাওয়ার খবর সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। জাতীয় নাগরিক পার্টি কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে জোট, আসন সমঝোতা বা ক্ষমতা ভাগাভাগি বিষয়ে কোনো আলোচনা বা সিদ্ধান্ত নেয়নি। এমন কোনো প্রস্তাবও দলের নীতি নির্ধারণী পর্ষদে কখনো গৃহীত হয়নি।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, এনসিপি বিশ্বাস করে, দেশের ভবিষ্যৎ রাজনীতি হবে জনগণের অধিকার, জবাবদিহিতা, সংস্কার ও গণতান্ত্রিক পুনর্গঠনের রাজনীতি। সে লক্ষ্যেই দলটি সারা দেশে সাংগঠনিক প্রস্তুতি ও প্রার্থী যাচাই প্রক্রিয়া চালিয়ে যাচ্ছে।
প্রথম আলোর প্রতিবেদনে উল্লিখিত তথাকথিত ‘সূত্র’ সম্পূর্ণ অনুমাননির্ভর ও সাংবাদিকতার মৌলিক নীতির পরিপন্থি উল্লেখ করে এনসিপি বলছে, এতে জনগণ বিভ্রান্ত হয়েছে এবং দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হয়েছে। জাতীয় নাগরিক পার্টি প্রথম আলোকে অবিলম্বে প্রকাশ্যে দুঃখপ্রকাশ ও সংশোধনী প্রকাশের আহ্বান জানাচ্ছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, আমরা পুনরায় স্পষ্ট করছি, এনসিপি কোনো দলের কাছে আসন বা মন্ত্রিসভায় অংশগ্রহণের দাবি তোলেনি। আমরা জনগণের আস্থায় একটি বাংলাদেশপন্থি, দায়িত্বশীল ও স্বতন্ত্র রাজনৈতিক শক্তি গড়ে তুলতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

তবে ওই ফাঁকা আসনগুলোতে সবাই যে জোটের প্রার্থী হবে সেটির নিশ্চয়তা নেই। তবে বিএনপি যে সব আসন ফাঁকা রেখেছে তার মধ্যে কিছু আসনে মিত্র জোটের প্রার্থীরা বিএনপির 'গ্রিন সিগনাল' নিয়ে মাঠের প্রচারণায় নেমেও পড়েছে।
১০ ঘণ্টা আগে
বিভিন্ন গণমাধ্যমের খবরে উঠে এসেছে, দেশের অন্তত ১৩টি সংসদীয় আসনে মনোনয়নবঞ্চিত প্রার্থীদের কর্মী-অনুসারীরা ব্যাপক বিক্ষোভ করেছেন। অনেক এলাকাতেই তারা সড়ক-মহাসড়ক অবরোধ করেছেন। কোথাও কোথাও ঘটেছে সংঘর্ষের ঘটনাও।
২০ ঘণ্টা আগে