
প্রতিবেদক, রাজনীতি ডটকম

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম জানিয়েছেন, আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তাঁর দল ৩০০ আসনে প্রার্থী দেওয়ার পরিকল্পনা করছে। নির্বাচনে তিনি ঢাকার একটি আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।
আজ রোববার রাজধানীর বাংলামোটরে এনসিপির অস্থায়ী কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা জানান।
নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘আমরা ৩০০ আসন ধরে এগোচ্ছি। প্রার্থীর তালিকা এই মাসেই দিতে পারি।’
আসন্ন নির্বাচনে কোন আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন—জানতে চাইলে এনসিপির এই নেতা বলেন, ‘আমি ঢাকার ছেলে। ঢাকা থেকেই দাঁড়াব।’
সারা দেশে সাংগঠনিক কার্যক্রম জোরদার করার লক্ষ্যে এগোচ্ছে এনসিপি। দলটির ৫০টির বেশি জেলা কমিটি ও ৩২৩টি উপজেলা কমিটি রয়েছে। এখন পর্যন্ত যেসব জেলা ও উপজেলায় কমিটি গঠন হয়নি, সেগুলোতে এই মাসের মধ্যে কমিটি ঘোষণা করা হবে বলে জানান দলের নেতারা।
বিএনপি ও জামায়াতের প্রতি ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, এক দল সংস্কার ভেস্তে দিচ্ছে, আরেক দল নির্বাচন পিছিয়ে দিচ্ছে। আমরা এর কোনোটাই চাই না। আমরা চাই, যথাসময়ে নির্বাচন হবে এবং জুলাই সনদ আইনি ভিত্তি পাবে। তাই এ দুটি দলসহ সব দলের প্রতি আমাদের আহ্বান থাকবে, তারা যেন ঐক্যবদ্ধভাবে এক জায়গায় আসে। আমরা এই পরিস্থিতির উত্তরণ ঘটাতে চাই।
নাহিদ বলেন, গণভোট নির্বাচনের দিনও হতে পারে, নির্বাচনের আগেও হতে পারে—তবে এটিই মূল বিষয় নয়। এটি আগে করলেও ভালো, কিন্তু সমস্যা থাকলে নির্বাচনের দিনও করা যেতে পারে। আদেশ জারি করা ও বাস্তবায়ন করাটা মূল বিষয়।
‘জুলাই সনদ তথাকথিত প্রেসিডেন্ট যিনি আছেন—অর্থাৎ, প্রেসিডেন্ট অফিস থেকে জারি হলে এ সনদের আইনি ও রাজনৈতিক ভিত্তি তৈরি হবে না। বরং জুলাই গণঅভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষার বিরুদ্ধে কফিনে শেষ পেরেক মারা হবে। তাই জুলাই সনদ প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে জারি করতে হবে।’
তিনি বলেন, ভারত বাংলাদেশে আওয়ামী লীগকে সমর্থন দিয়েছে। গত ১৬ বছরে আওয়ামী লীগ মানুষের ভোটাধিকার হরণ করে, নানান জুলুম করে, গণহত্যা করে ক্ষমতায় টিকে ছিল। এখানে ভারতের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সমর্থন ছিল। ভারত যদি বাংলাদেশের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক চায়, তাহলে অবশ্যই ভারতকে আওয়ামী লীগের চোখে বাংলাদেশকে দেখার নীতি থেকে সরে আসতে হবে। বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি করতে হবে।
‘বাংলাদেশে কে সরকার গঠন করলো, কে করলো না বা বাংলাদেশের রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ বা প্রভাব বিস্তারের যে চেষ্টা ভারত সবসময় করে আসে, সেই জায়গা থেকে ভারতকে ফেরত আসতে হবে। বাংলাদেশের সঙ্গে একটি সমতা ও মর্যাদার ভিত্তিতে সম্পর্ক স্থাপন করতে হবে। বাংলাদেশের সঙ্গে যে সংকটগুলো রয়েছে, নদী এবং সীমান্ত হত্যাসহ আরও কতগুলো বিষয়, সেই সংকটগুলোর সুরাহা করতে হবে।’
নাহিদ ইসলাম বলেন, সংস্কারের পক্ষে কেউ না থাকলে তাদের সঙ্গে আমাদের জোটে যাওয়া সম্ভব নয়। আমরা আমাদের মতো প্রস্তুতি নিচ্ছি। আমাদের মৌলিক দাবি, যেমন– সংস্কার ও বাংলাদেশকে নতুনভাবে গড়ে তোলা, আওয়ামী ফ্যাসিবাদ থেকে দেশকে একেবারে বের করে আনা, বৈদেশিক আধিপত্যবাদ থেকে দেশকে বের করে আনা।
তিনি বলেন, এই দাবিগুলোর সঙ্গে কাছাকাছি কেউ থাকলে আমাদের যদি ঐক্যবদ্ধ হতে হয় বা সমঝোতায় যেতে হয়, তখন সেটি আমরা বিবেচনায় রাখবো। দরজা আমাদের খোলা আছে। কিন্তু এখনো কোনো সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়নি।

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম জানিয়েছেন, আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তাঁর দল ৩০০ আসনে প্রার্থী দেওয়ার পরিকল্পনা করছে। নির্বাচনে তিনি ঢাকার একটি আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।
আজ রোববার রাজধানীর বাংলামোটরে এনসিপির অস্থায়ী কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা জানান।
নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘আমরা ৩০০ আসন ধরে এগোচ্ছি। প্রার্থীর তালিকা এই মাসেই দিতে পারি।’
আসন্ন নির্বাচনে কোন আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন—জানতে চাইলে এনসিপির এই নেতা বলেন, ‘আমি ঢাকার ছেলে। ঢাকা থেকেই দাঁড়াব।’
সারা দেশে সাংগঠনিক কার্যক্রম জোরদার করার লক্ষ্যে এগোচ্ছে এনসিপি। দলটির ৫০টির বেশি জেলা কমিটি ও ৩২৩টি উপজেলা কমিটি রয়েছে। এখন পর্যন্ত যেসব জেলা ও উপজেলায় কমিটি গঠন হয়নি, সেগুলোতে এই মাসের মধ্যে কমিটি ঘোষণা করা হবে বলে জানান দলের নেতারা।
বিএনপি ও জামায়াতের প্রতি ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, এক দল সংস্কার ভেস্তে দিচ্ছে, আরেক দল নির্বাচন পিছিয়ে দিচ্ছে। আমরা এর কোনোটাই চাই না। আমরা চাই, যথাসময়ে নির্বাচন হবে এবং জুলাই সনদ আইনি ভিত্তি পাবে। তাই এ দুটি দলসহ সব দলের প্রতি আমাদের আহ্বান থাকবে, তারা যেন ঐক্যবদ্ধভাবে এক জায়গায় আসে। আমরা এই পরিস্থিতির উত্তরণ ঘটাতে চাই।
নাহিদ বলেন, গণভোট নির্বাচনের দিনও হতে পারে, নির্বাচনের আগেও হতে পারে—তবে এটিই মূল বিষয় নয়। এটি আগে করলেও ভালো, কিন্তু সমস্যা থাকলে নির্বাচনের দিনও করা যেতে পারে। আদেশ জারি করা ও বাস্তবায়ন করাটা মূল বিষয়।
‘জুলাই সনদ তথাকথিত প্রেসিডেন্ট যিনি আছেন—অর্থাৎ, প্রেসিডেন্ট অফিস থেকে জারি হলে এ সনদের আইনি ও রাজনৈতিক ভিত্তি তৈরি হবে না। বরং জুলাই গণঅভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষার বিরুদ্ধে কফিনে শেষ পেরেক মারা হবে। তাই জুলাই সনদ প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে জারি করতে হবে।’
তিনি বলেন, ভারত বাংলাদেশে আওয়ামী লীগকে সমর্থন দিয়েছে। গত ১৬ বছরে আওয়ামী লীগ মানুষের ভোটাধিকার হরণ করে, নানান জুলুম করে, গণহত্যা করে ক্ষমতায় টিকে ছিল। এখানে ভারতের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সমর্থন ছিল। ভারত যদি বাংলাদেশের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক চায়, তাহলে অবশ্যই ভারতকে আওয়ামী লীগের চোখে বাংলাদেশকে দেখার নীতি থেকে সরে আসতে হবে। বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি করতে হবে।
‘বাংলাদেশে কে সরকার গঠন করলো, কে করলো না বা বাংলাদেশের রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ বা প্রভাব বিস্তারের যে চেষ্টা ভারত সবসময় করে আসে, সেই জায়গা থেকে ভারতকে ফেরত আসতে হবে। বাংলাদেশের সঙ্গে একটি সমতা ও মর্যাদার ভিত্তিতে সম্পর্ক স্থাপন করতে হবে। বাংলাদেশের সঙ্গে যে সংকটগুলো রয়েছে, নদী এবং সীমান্ত হত্যাসহ আরও কতগুলো বিষয়, সেই সংকটগুলোর সুরাহা করতে হবে।’
নাহিদ ইসলাম বলেন, সংস্কারের পক্ষে কেউ না থাকলে তাদের সঙ্গে আমাদের জোটে যাওয়া সম্ভব নয়। আমরা আমাদের মতো প্রস্তুতি নিচ্ছি। আমাদের মৌলিক দাবি, যেমন– সংস্কার ও বাংলাদেশকে নতুনভাবে গড়ে তোলা, আওয়ামী ফ্যাসিবাদ থেকে দেশকে একেবারে বের করে আনা, বৈদেশিক আধিপত্যবাদ থেকে দেশকে বের করে আনা।
তিনি বলেন, এই দাবিগুলোর সঙ্গে কাছাকাছি কেউ থাকলে আমাদের যদি ঐক্যবদ্ধ হতে হয় বা সমঝোতায় যেতে হয়, তখন সেটি আমরা বিবেচনায় রাখবো। দরজা আমাদের খোলা আছে। কিন্তু এখনো কোনো সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়নি।

রোববার (২ নভেম্বর) দলের সদস্য সচিব আখতার হোসেনের সই করা ওই চিঠি পাঠানো হয় আইন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার দপ্তরে। চিঠিতে উপদেষ্টার অবস্থানকে ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নিরপেক্ষতা ও দায়বদ্ধতার পরিপন্থি’ বলে আখ্যায়িত করা হয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগে
তিনি বলেন, রাজনৈতিক দলগুলার ঐক্য না হওয়ার একটা প্রধান কারণ হচ্ছে চেয়ারে কে আগে বসবে কে পেছনে বসবে। সংস্কারটা কত কঠিন বুঝতে পারছেন? অনেকে বলেন লৌকিক সংস্কারের লাভ কী? সংস্কার তো এভাবে একটা দুইটা করেই করতে হবে। দল যদি সংস্কার না হয়, রাজনীতি কীভাবে সংস্কার হবে?
৪ ঘণ্টা আগে
এতে আরো উদ্বেগ প্রকাশ করে বলা হয়, ইতোমধ্যে বিভিন্ন স্থানে বিচ্ছিন্ন ঘটনা ও আহতদের ওপর হামলার ঘটনাও ঘটছে, যা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। এ ছাড়া জুলাই হত্যাকাণ্ডের বিচারিক প্রক্রিয়া সম্পর্কেও কোনো সুস্পষ্ট রোডম্যাপ আমরা এখনও প্রত্যক্ষ করিনি।
৫ ঘণ্টা আগে
তিনি বলেন, ‘জামায়াতে ইসলামী বিএনপির সঙ্গে কোনো ঝগড়ায় লিপ্ত হতে চায় না। যা-ই করতেছেন এবার বন্ধ করুন। আসুন আমরা একসঙ্গে বসি। দেশের এই পরিস্থিতি নিয়ে খোলামেলা আলোচনা করি। বিএনপিকে আহ্বান করবো একসঙ্গে বসার। আমরা আলোচনা করবো কীভাবে সত্যিকার অর্থে একটা স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ তৈরি হবে।’
৫ ঘণ্টা আগে