বর্তমানে বৃটেনে সফররত জামায়াতের আমীর ডা. শফিকুর রহমান আরও বলেন, “দ্বীন সবার। সুতরাং আমরা সবাইকে নিয়ে দ্বীনের জন্য লড়াই চালিয়ে যাব। কেউ আমাদের স্বীকৃতি বা মর্যাদা দিল কি না আমরা তার পরোয়া করব না। আমরা সবাইকে ভাই ও বন্ধু মনে করে সামনে আগানোর চেষ্টা করব, ইনশাআল্লাহ।
অন্তর্বতী সরকারের উদ্দেশ্য তিনি বলেন এদেশের মানুষ আন্দোলন করে জীবন দিয়েছে। আর উপদেষ্টা বানানো হচ্ছে বিদেশি চাটুকারদের। যারা ইসলাম ও দেশের দুশমন। যা দেশের সাধারণ মানুষ মেনে নিবে না।
শেখ হাসিনার কড়া সমালোচনা করে অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, এমন হত্যা, নারকীয় তাণ্ডব চালানো নিষ্ঠুর বর্বর খুনি শাসককে দেশের মানুষ আর ক্ষমতায় বসতে দেবে না। তাদের রাজনীতি আর নির্বাচনে আসার নৈতিক অধিকার নেই। আওয়ামী লীগ শুধু ফ্যাসিস্টই নয়, স্যাডিস্ট।
নির্বাচনের পরিবেশ তৈরিতে অন্তর্বর্তী সরকারকে যৌক্তিক সময় দিতে চায় জামায়াতে ইসলামী। এ ব্যাপারে জামায়াত-বিএনপি ঐক্যবদ্ধ আছে বলে জানিয়েছেন দলটির আমির ডা. শফিকুর রহমান।
আগামী নির্বাচনে ৩০০ আসনেই প্রার্থী দেবে জামায়াত। এখন থেকে সব পর্যায়ে তৎপরতা হবে মাঠ পর্যায়ে। কোনো জায়গা বাদ যাবে না। হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান, পলিটিক্যাল ননপলিটিক্যাল সবার কাছে দাওয়াত পৌঁছাতে হবে বলে জানিয়েছেন দলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও মিডিয়া সেক্রটারি অ্যাডভোকেট মতিউর রহমান আকন্
১৯৭৫ সালের জুনে আওয়ামী ফ্যাসিবাদী সরকার দেশের সব রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ ঘোষণা করে একদলীয় বাকশালী শাসন প্রতিষ্ঠা করেছিল। রাষ্ট্রায়ত্ত মাত্র ৪টি পত্রিকা বাদে সব গণমাধ্যমের ডিক্লারেশন বাতিল করে গণমানুষের কন্ঠরোধ করেছিল।’
বিবৃতিতে তিনি বলেন, গত ৫ নভেম্বরের নির্বাচনে যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ায় আমি ডোনাল্ড ট্রাম্প ও তার দেশের জনগণকে অভিনন্দন জানাচ্ছি।
জামায়াতের আমির বলেন, এই নির্মমতার ধারাবাহিকতা ২০২৪ সালের ৫ অক্টোবর পর্যন্ত অব্যাহত ছিল। মূলত, ছাত্র-জনতার ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মাধ্যমেই এক নতুন বাংলাদেশ পেয়েছি; ফ্যাসিবাদের পতন হয়েছে।
তিনি বলেন, শুধু জুলাই-আগস্টে দেড় হাজারের অধিক মানুষকে অন্যায়ভাবে হত্যা করা হয়েছে। আরও অসংখ্য মানুষ গুমের শিকার হয়েছেন। তাদের পরিবার-পরিজনদের কাছে মরদেহের কোনো হদিস নেই। এভাবেই স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের ক্ষমতার মসনদ আঁকড়ে ধরে রাখতে চেয়েছিলেন।
শেখ হাসিনার সরকার গায়ের জোরে জামায়াতের নিবন্ধন এবং প্রতীক কেড়ে নিয়েছিল উল্লেখ করে ডা. শফিকুর রহমান বলেন, সাড়ে ১৩ বছর আমরা অফিসে বসে কোন কাজ করতে পারিনি। জামায়াতের কেন্দ্রীয় অফিসসহ সারাদেশের সকল অফিস বন্ধ করেছিল। বুলডোজার দিয়ে আমাদের বাড়ি-ঘর মাটির সাথে মিশিয়ে দিয়েছিল।
তিনি আরো বলেন, জুলাই আন্দোলনে যারা জীবন দিয়েছেন, তারা আমাদের কলিজার টুকরা। তাদের দাবি ছিল, ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’, অর্থাৎ আমরা সুবিচার চাই। সুবিচার যে সমাজে প্রতিষ্ঠিত হবে, সেখানে ডাকাত এবং চোরের কোনো জায়গা নেই। সেখানে সম্পদ লুট করে বিদেশে পাচারের কোনো সুযোগ নেই। যেখানে সুবিচার প্রতিষ্ঠিত হবে সেখানে ঘু
বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক বলেছেন, সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করে প্রমাণ করেছে আওয়ামী লীগ এবং তাদের রাজনীতি ছিল সন্ত্রাসনির্ভর রাজনীতি। তাই শুধু ছাত্রলীগ নয়, আওয়ামী লীগকেও বাংলাদেশের রাজনীতি থেকে নিষিদ্ধ করতে হবে।
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের দ্রুত অপসারণ দাবি করেছে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ। একই সঙ্গে গণহত্যার দায়ে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করাও দাবি জানিয়েছে দলটি। হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমীর মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী ও মহাসচিব সাজেদুর রহমান মঙ্গলবার রাতে এক বিবৃতিতে এই দাবি জানান।
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করে প্রদত্ত আপিল বিভাগের রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ আবেদন দায়ের করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার।
নেতারা আরো বলেন, ফ্যাসিস্টদের বানানো জাতীয় দিবস ৭ মার্চ ও ১৫ আগস্ট বাতিল করায় অন্তর্বর্তী সরকারকে সাধুবাদ জানাচ্ছি। রক্তাক্ত জনযুদ্ধের মধ্য দিয়ে একাত্তরে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার পিতা একদলীয় স্বৈরাচারী শাসন কায়েম করেন।
জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমানের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়ক গোয়েন লুইস ও জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক উপদেষ্টা হুমা খান।
রাজনৈতিক দল হিসেবে জামায়াতে ইসলামীর বাতিল হওয়া নিবন্ধন ফিরে পেতে খারিজ হওয়া আপিল পুনরুজ্জীবিত করে দিয়েছেন দেশের সর্বোচ্চ আদালতের আপিল বিভাগ। মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে আপিল বিভাগের বেঞ্চে আপিল আবেদন গ্রহণ করেন। সকালে আপিল আবেদনের শুনানি শুরু হয়। ব্যারিস্টার ইমর