রাজনীতির মধ্যে না ঢুকে আইন-কানুন মেনে কমিশন একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টি করতে চায় বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন। তিনি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের ঘোষণা করা সময়সীমা মাথায় রেখে নির্বাচন কমিশন (ইসি) নির্বাচনের জন্য ক
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, জুলাই ঘোষণাপত্র ঐক্যবদ্ধভাবে দেয়া গেলে সবার মনে সাহসের সঞ্চার হবে এবং দেশ চমকে উঠবে। অন্যথায় এর উদ্দেশ্য ব্যাহত হবে। তাহলে ঘোষণাপত্র দেয়ার আর দরকার নেই।
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র চূড়ান্ত করতে বিকেলে বিএনপি, জামায়াতসহ অভ্যুত্থানের পক্ষের সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৈঠক করবেন প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস।
পুলিশের বল প্রয়োগের সীমা নির্ধারণ, পরোয়ানা ছাড়া গ্রেপ্তার ও আসামিকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের ক্ষেত্রেও সুনির্দিষ্ট সুপারিশ রয়েছে কমিশনের প্রতিবেদনে। রয়েছে প্রতিটি থানায় একটি করে নারী ডেস্ক রাখার সুপারিশ।
ক্ষমতার অপব্যবহার ঠেকাতে সাংবিধানিক অঙ্গীকার ছাড়াও দুর্নীতিবিরোধী কৌশলপত্র প্রণয়নের সুপারিশ রয়েছে তাদের প্রতিবেদনে।
‘জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র’ প্রণয়নের দায়িত্ব ছাত্রদের বদলে নিজেদের হাতে তুলে নিয়েছিল অন্তর্বর্তী সরকার। বলেছিল, সব দলের ঐকমত্যের ভিত্তিতেই এই ঘোষণাপত্র প্রণয়ন করা হবে। তার জন্য সব রাজনৈতিক দল ও অংশীজনদের নিয়ে বৈঠক করা হবে।
‘না ভোটে’র বিধান রাখা, বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচন বন্ধ করা, কোনো আসনে ৪০ শতাংশের কম ভোট পড়লে নির্বাচন বাতিল, সংসদে নারীর প্রতিনিধিত্ব বাড়ানো, ন্যূনতম ৫০০ ভোটারের সই থাকলেই স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ভোট করার যোগ্য হওয়া— এমন নানা সুপারিশ উঠে এসেছে এই কমিশনের প্রতিবেদনে।
দেশের সাংবিধানিক নাম পরিবর্তন, নতুন রাষ্ট্রীয় মূলনীতি সংযোজন, রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতায় ভারসাম্যসহ বিভিন্ন সুপারিশ রেখে প্রতিবেদন জমা দিয়েছে সংবিধান সংস্কার কমিশন। দুই কক্ষের সংসদ, জাতীয় সাংবিধানিক কাউন্সিল গঠনসহ আরও নানা সুপারিশ রয়েছে এই প্রতিবেদনে।
‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সরকার পরিবর্তনের কারণে বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কে হোঁচট খাবে না’ বলে অভিমত ব্যক্ত করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন।
সংস্কার প্রতিবেদন থেকে হবে নতুন বাংলাদেশের চার্টার, তার ভিত্তিতেই নির্বাচন হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বুধবার (১৫ জানুয়ারি) সকালে তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে চারটি সংস্কার কমিশনের হস্তান্তর করেন কমিশনের সদস্যরা। এ সময় তাদের উদ্দেশে দেওয়া বক্তব্যে ড. মুহাম্মদ
আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল জানিয়েছেন, বিচার করতে না পারলে আমাদের বেঁচে থাকার অধিকার নেই। যত দ্রুত সম্ভব বিচার করবো। বুধবার (১৫ জানুয়ারি) সকালে বাংলা একাডেমিতে এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা জানান।
জুলাই-আগস্টের আন্দোলনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের বাড়াবাড়ি এবং গুলি চালানোর ঘটনায় তাদের সবাইকে ধরা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। তিনি আরও বলেন, তদন্তের মাধ্যমে আরো অনেককে গ্রেপ্তার করা হবে।
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে সংস্কার প্রস্তাব জমা দিয়েছে চার কমিশন। বুধবার (১৫ জানুয়ারি) তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে কমিশন প্রধানরা এসব প্রতিবেদন জমা দেন। বিকাল ৩টায় সংবাদ সম্মেলন করে এ বিষয়ে গণমাধ্যমকে সরকারের পক্ষ থেকে বিস্তারিত জানানোর কথা রয়েছে।
বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের (ডব্লিউইএফ) বার্ষিক সম্মেলনে অংশ নিতে সুইজারল্যান্ড যাচ্ছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা এবং নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস। সব ঠিক থাকলে ২০ জানুয়ারি দিবাগত রাতে তিনি ঢাকা ত্যাগ করবেন।
যে চারটি সংস্কার কমিশন আজ প্রতিবেদন জমা দেবে সেগুলো হলো— পুলিশ সংস্কার, দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সংস্কার, নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার ও সংবিধান সংস্কার কমিশন। প্রথম ধাপে গঠিত ছয় সংস্কার কমিশনের মধ্যে বিচার বিভাগ ও জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের মেয়াদ ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।
বিবৃতিতে প্রধান উপদেষ্টার প্রেসউইং বলেছে, আমরা জবাবদিহিতা ও ন্যায়বিচারের প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং জনগণের কাছ থেকে চুরি যাওয়া অর্থ দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন অংশীজনদের সঙ্গে কাজ করছি।
দেশে আর যেন কোনো ফ্যাসিস্ট সরকার আসতে না পারে সে লক্ষ্যে এগোচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার। এরই অংশ হিসেবে সংবিধান সংস্কার কমিশন বুধবার (১৫ জানুয়ারি) প্রধান উপদেষ্টাকে প্রতিবেদন জমা দেবে। কমিশনের সুপারিশে রয়েছে ভবিষ্যতে ফ্যাসিস্ট ঠেকানোর বেশ কিছু সংস্কার। একাধিক বিশেষ সূত্রে এসব তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে।