প্রতিবেদক, রাজনীতি ডটকম
রাজধানীর মতিঝিলে করিম চেম্বারে অবস্থিত পাট অধিদপ্তরের ডিজিটাল ডিসপ্লে বোর্ডে আচমকা সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ মুজিবুর রহমানের ভাষণ বাজতে শুরু হওয়ার পর ওই প্রতিষ্ঠানে অস্থিরতা চলছে।
স্থানীয় একদল জনতা অধিদপ্তরের চার কর্মীকে মারধর করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তারা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক জিনাত আরার কক্ষে গিয়ে এর প্রতিবাদ জানিয়েছেন। কর্তৃপক্ষের নির্দেশে সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে অধিদপ্তরের কর্মচারীরাই ডিসপ্লে বোর্ডটি খুলে ফেলেছেন।
সোমবার এ ঘটনার পর বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় তদন্ত কমিটি গঠন করার নির্দেশ দিয়েছে। এরই মধ্যে একটি তদন্ত কমিটি গঠনও করা হয়েছে।
জানতে চাইলে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আব্দুর রউফ মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে রাজনীতি ডটকমকে বলেন, ‘কেন এবং কীভাবে এ ঘটনা ঘটেছে, তা তদন্ত করতে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। প্রতিবেদনের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
অধিদপ্তরের একাধিক কর্মকর্তা জানান, এ পরিস্থিতিতে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। ক্ষুব্ধ জনতার রোষানলে পড়ার জন্য তারা অধিদপ্তরের মহাপরিচালককেই দুষছেন।
তারা বলছেন, ওই বোর্ডটি প্রতিষ্ঠানের প্রধান হিসেবে অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) বা তার পক্ষে দায়িত্বপ্রাপ্ত কারও নিয়ন্ত্রণে থাকার কথা। গত ৫ আগস্টের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর ছয় মাসেও এই বোর্ড কার্যকর থাকার বিষয়টি প্রশ্নবিদ্ধ। ফেব্রুয়ারি জুড়ে আওয়ামী লীগের কর্মসূচি চলার মধ্যে এ ধরনের ঘটনা প্রতিষ্ঠানটিকে বির্তকিত ও প্রশ্নবিদ্ধ করবে বলে তাদের আশঙ্কা।
মতিঝিল থানা যুবদলের আহ্বায়ক ইসমাইল হোসেন রাজনীতি ডটকমকে বলেন, ‘এমনিতেই দলের স্থানীয় নেতাকর্মীরা ক্ষুব্ধ। আকস্মিকভাবে কিছু লোকজন এসে লিফলেট বিতরণ করে চলে যাচ্ছে। এ নিয়ে কয়েকদিন ধরে এলাকায় উত্তেজনা চলছে। এরই মধ্যে পাট অধিদপ্তরের ডিসপ্লেতে শেখ মুজিবুর রহমানের ভাষণ বেজে ওঠায় দলের কিছু তরুণ কর্মী ক্ষুব্ধ হয়।’
যুবদলেরে এই নেতা জানান, অধিদপ্তরের নিরাপত্তা কর্মীর কাছে বিক্ষুব্ধ জনতা শেখ মুজিবুর রহমানের ভাষণ বাজতে চাওয়ার কারণ জানতে চান। এ নিয়ে বাগবিতণ্ডার একপর্যায়ে নিরাপত্তকর্মী শহীদসহ কয়েকজন লাঞ্ছিত হন বলে শুনেছেন তিনি।
ইসমাইল আরও বলেন, ‘তারা (পাট অধিদপ্তর) ডিজিটাল ডিসপ্লে চালু করে একদিকে অন্যায় করেছে, আবার সরি না বলে এর পক্ষে সাফাই গাওয়ার চেষ্টা করেছে। এমন পরিস্থিতিতে উত্তেজনা সৃষ্টি হয় বলে শুনেছি।’
অধিপ্তরের একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে রাজনীতি ডটকমকে বলেন, ‘সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ভবনের বাইরে সাইনবোর্ডের ওপর ডিজিটাল ডিসপ্লে আকস্মিক চলতে শুরু করায় ভেতর থেকে অনেকেই বিষয়টি বুঝতে পারেনি। জনবহুল এই এলাকায় মানুষ বাইরে থেকেই প্রথম এটি দেখেছে।’
ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘মারধরের পর তারা (মারধরকারীরা) মহাপরিচালকের সঙ্গে দেখা করে প্রতিবাদও জানিয়েছেন।’
এ ঘটনা নিয়ে পাট অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) জিনাত আরার বক্তব্য পাওয়া সম্ভব হয়নি। সোমবার বিকেল থেকে মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত অনেকবার চেষ্টা করা হলেও তার ব্যবহার করা মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। গত বছর ৫ আগস্ট জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে দেশের রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের কয়েক মাস আগে জিনাত আরা পাট অধিদপ্তরে যোগ দেন।
রাজধানীর মতিঝিলে করিম চেম্বারে অবস্থিত পাট অধিদপ্তরের ডিজিটাল ডিসপ্লে বোর্ডে আচমকা সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ মুজিবুর রহমানের ভাষণ বাজতে শুরু হওয়ার পর ওই প্রতিষ্ঠানে অস্থিরতা চলছে।
স্থানীয় একদল জনতা অধিদপ্তরের চার কর্মীকে মারধর করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তারা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক জিনাত আরার কক্ষে গিয়ে এর প্রতিবাদ জানিয়েছেন। কর্তৃপক্ষের নির্দেশে সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে অধিদপ্তরের কর্মচারীরাই ডিসপ্লে বোর্ডটি খুলে ফেলেছেন।
সোমবার এ ঘটনার পর বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় তদন্ত কমিটি গঠন করার নির্দেশ দিয়েছে। এরই মধ্যে একটি তদন্ত কমিটি গঠনও করা হয়েছে।
জানতে চাইলে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আব্দুর রউফ মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে রাজনীতি ডটকমকে বলেন, ‘কেন এবং কীভাবে এ ঘটনা ঘটেছে, তা তদন্ত করতে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। প্রতিবেদনের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
অধিদপ্তরের একাধিক কর্মকর্তা জানান, এ পরিস্থিতিতে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। ক্ষুব্ধ জনতার রোষানলে পড়ার জন্য তারা অধিদপ্তরের মহাপরিচালককেই দুষছেন।
তারা বলছেন, ওই বোর্ডটি প্রতিষ্ঠানের প্রধান হিসেবে অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) বা তার পক্ষে দায়িত্বপ্রাপ্ত কারও নিয়ন্ত্রণে থাকার কথা। গত ৫ আগস্টের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর ছয় মাসেও এই বোর্ড কার্যকর থাকার বিষয়টি প্রশ্নবিদ্ধ। ফেব্রুয়ারি জুড়ে আওয়ামী লীগের কর্মসূচি চলার মধ্যে এ ধরনের ঘটনা প্রতিষ্ঠানটিকে বির্তকিত ও প্রশ্নবিদ্ধ করবে বলে তাদের আশঙ্কা।
মতিঝিল থানা যুবদলের আহ্বায়ক ইসমাইল হোসেন রাজনীতি ডটকমকে বলেন, ‘এমনিতেই দলের স্থানীয় নেতাকর্মীরা ক্ষুব্ধ। আকস্মিকভাবে কিছু লোকজন এসে লিফলেট বিতরণ করে চলে যাচ্ছে। এ নিয়ে কয়েকদিন ধরে এলাকায় উত্তেজনা চলছে। এরই মধ্যে পাট অধিদপ্তরের ডিসপ্লেতে শেখ মুজিবুর রহমানের ভাষণ বেজে ওঠায় দলের কিছু তরুণ কর্মী ক্ষুব্ধ হয়।’
যুবদলেরে এই নেতা জানান, অধিদপ্তরের নিরাপত্তা কর্মীর কাছে বিক্ষুব্ধ জনতা শেখ মুজিবুর রহমানের ভাষণ বাজতে চাওয়ার কারণ জানতে চান। এ নিয়ে বাগবিতণ্ডার একপর্যায়ে নিরাপত্তকর্মী শহীদসহ কয়েকজন লাঞ্ছিত হন বলে শুনেছেন তিনি।
ইসমাইল আরও বলেন, ‘তারা (পাট অধিদপ্তর) ডিজিটাল ডিসপ্লে চালু করে একদিকে অন্যায় করেছে, আবার সরি না বলে এর পক্ষে সাফাই গাওয়ার চেষ্টা করেছে। এমন পরিস্থিতিতে উত্তেজনা সৃষ্টি হয় বলে শুনেছি।’
অধিপ্তরের একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে রাজনীতি ডটকমকে বলেন, ‘সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ভবনের বাইরে সাইনবোর্ডের ওপর ডিজিটাল ডিসপ্লে আকস্মিক চলতে শুরু করায় ভেতর থেকে অনেকেই বিষয়টি বুঝতে পারেনি। জনবহুল এই এলাকায় মানুষ বাইরে থেকেই প্রথম এটি দেখেছে।’
ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘মারধরের পর তারা (মারধরকারীরা) মহাপরিচালকের সঙ্গে দেখা করে প্রতিবাদও জানিয়েছেন।’
এ ঘটনা নিয়ে পাট অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) জিনাত আরার বক্তব্য পাওয়া সম্ভব হয়নি। সোমবার বিকেল থেকে মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত অনেকবার চেষ্টা করা হলেও তার ব্যবহার করা মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। গত বছর ৫ আগস্ট জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে দেশের রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের কয়েক মাস আগে জিনাত আরা পাট অধিদপ্তরে যোগ দেন।
তিনি বলেন, ‘অপশক্তি জনতার প্রতিরোধে এক বছর আগে পালিয়ে গেছে। মনে হচ্ছে এখন আমরা স্বাধীন। হাসিনার শাসনামলে আমরা বাড়িতে থাকতে পারিনি, ঘরে ঘুমাতে পারিনি। দেশে একটা বিভীষিকাময় পরিবেশ ছিল। হাসিনার পলায়নের মাধ্যমে মনে হচ্ছে আমরা নতুন করে স্বাধীনতা পেয়েছি। ড. ইউনুসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠি
২ দিন আগেরাজধানীর কাকরাইলে জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ডাকা কর্মী সমাবেশ ঘিরে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে টিয়ারশেল নিক্ষেপ করছে পুলিশ। এ সময় সমাবেশস্থলে সাউন্ড গ্রেনেডের শব্দ পাওয়া যায়। এছাড়াও পুলিশের সঙ্গে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
২ দিন আগেউত্তর কোরিয়ার সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, হোয়াসং-২০ আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র যুক্তরাষ্ট্রের যেকোনো স্থানে আঘাত হানতে সক্ষম। তবে ক্ষেপণাস্ত্রটির সক্ষমতা নিয়ে এখনো কোনো পরীক্ষা করা হয়নি।
২ দিন আগেআমীর খসরু বলেন, যারা পিআর পদ্ধতির পক্ষে তাদের উচিত হবে জনগণের কাছে গিয়ে ম্যান্ডেট আনা। কিছু রাজনৈতিক দল নিয়ে আলোচনা করে আগামীর বাংলাদেশে কী হবে- তা ঠিক করতে মানুষ দায়িত্ব দেয় নাই। তাই সনদেরও ম্যান্ডেট লাগবে।
২ দিন আগে