রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর জাতীয় সমাবেশে যোগ দিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম। শনিবার দুপুর ২টা ৫৫ মিনিটের দিকে সমাবেশে যোগ দেন তিনি।
সাত দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সকাল থেকেই মানুষের ঢল নামে। সমাবেশ শুরুর অনেক আগেই দলটির নেতাকর্মী ও সমর্থকদের উপস্থিতিতে প্রায় কানায় কানায় পরিপূর্ণ হয়ে যায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যান। জনস্রোত ছড়িয়ে পড়ে শাহবাগ, বাংলামোটর, সায়েন্সল্যাব, রমনা পার্কসহ আশপাশের এলাকায়।
জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আব্দুল হালিম বলেন, স্বাধীনতার ৫৪ বছরে এবং বিশেষ করে ফ্যাসিবাদ আমলে দীর্ঘ প্রায় ১৭ বছর জামায়াতে ইসলামীর ওপর অসংখ্য জুলুম-অত্যাচার করা হয়েছে। এখন একটি পরিবেশ তৈরি হয়েছে। জামায়াতে ইসলামীর কথা বলার সুযোগ তৈরি হয়েছে। প্রথমবারের মতো সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে বিভিন্ন বিষয়ে যখন তীব্র বিতর্ক চলছে, সে সময়ে জামায়াতে ইসলামী ঢাকায় বিশাল সমাবেশ করতে যাচ্ছে। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের এই সমাবেশে জামায়াত স্মরণকালের সর্বোচ্চ উপস্থিতি নিশ্চিত করতে চাইছে।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর জাতীয় সমাবেশে অংশ নিতে আজ শনিবার (১৯ জুলাই) ভোর থেকেই রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জড়ো হতে শুরু করেছেন নেতাকর্মীরা।
গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) জুলাই পদযাত্রা কর্মসূচিকে ঘিরে সহিংতা ও হতাহতের ঘটনা দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনা-সমালোচনার জন্ম দিয়েছে। এই ঘটনায় সরকার ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে।
রাজধানী ঢাকায় আগামীকাল শনিবার (১৯ জুলাই) অনুষ্ঠেয় সমাবেশে নেতাকর্মীদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে ৩ জোড়া ট্রেন ভাড়া করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।
গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে অবাধ ও নিরপেক্ষ করার জন্য যে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড, রাজনৈতিক ময়দানে নির্বাচনকে নিরপেক্ষ করার প্রয়োজনে যে মাঠের সমতা প্রয়োজন সেই সমতা নেই। সেজন্য আমরা লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিতকরণের দাবি এই সমাবেশ থেকে জানাব। ’
বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘গোপালগঞ্জ বাংলাদেশ থেকে বিচ্ছিন্ন কোনো জেলা নয়। এটি বাংলাদেশেরই অংশ। সরকারকে গোপালগঞ্জসহ বাংলাদেশের সর্বত্র আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করার ক্ষেত্রে কার্যকর ভূমিকা পালন করতে হবে।’
গোপালগঞ্জের পৌরপার্কে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সমাবেশস্থলে হামলার ঘটনা ঘটেছে। হামলার পরপরই সেখানে উপস্থিত হন এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতারা। মঞ্চে উঠেই দলটির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহর ‘মুজিববাদ মুর্দাবাদ’ স্লোগানে সমাবেশস্থল উত্তাল হয়ে ওঠে।
সংস্কার ও জুলাই সনদসহ বেশ কিছু বিষয় এখনো অমীমাংসিত হলেও আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের প্রস্তুতি শেষ করতে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। প্রতিক্রিয়ায় বিএনপি তাকে ধন্যবাদ জানালেও সংস্কার আর জুলাই সনদ নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছে এনসিপি। আবার এসব বিষয়ে ইউনূসের প্রতিই আস্থা রাখছে