রাজনৈতিক দলগুলো বলছে, জুলাই সনদে কিছুটা ঐক্য এলেও সনদ বাস্তবায়নের সুপারিশে তার প্রতিফলন নেই। বিএনপির পক্ষ থেকে সরাসরি একে ‘অনৈক্য’ তৈরির প্রয়াস বলেই অভিহিত করা হয়েছে। বিশ্লেষকরাও বলছেন, সনদ বাস্তবায়নের সুপারিশ খুব বাস্তবসম্মত হয়নি।
২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর আওয়ামী লীগের লগি-বৈঠার তাণ্ডবে সংঘটিত নারকীয় হত্যাকাণ্ডের বিচারের দাবিতে জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের উদ্যোগে মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) বিকেলে বিক্ষোভ মিছিল-পূর্ব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা চাই নির্বাচন কমিশন জনগণের আস্থা ফিরে পাক। এজন্য প্রশাসন, নির্বাচনকর্মী ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সম্পূর্ণ নিরপেক্ষতা জরুরি। আমরা যে প্রস্তাবগুলো দিয়েছি, সেগুলো বাস্তবায়িত হলে একটি বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন সম্ভব হবে।’
সবশেষ জামায়াতের বর্তমান আমীর শফিকুর রহমান ১৯৪৭ সাল থেকে এখন পর্যন্ত তাদের দ্বারা কেউ কষ্ট পেয়ে থাকলে, বিনাশর্তে মাফ চেয়েছেন। কিন্তু ১৯৭১ সাল বা স্বাধীনতা যুদ্ধের প্রসঙ্গ সুনির্দিষ্টভাবে তার বক্তব্যে আসেনি।
শফিকুর রহমান বলেন, ‘আমরা ক্ষমতায় গেলে ইনশাআল্লাহ তাদের কর্মঘণ্টা কমিয়ে দেবো, মা হিসেবে সন্তানের হক আদায় করার জন্য এবং মা হিসেবে তাকে সম্মান করার জন্য। আমরা যদি আট ঘণ্টার জায়গায় পাঁচ ঘণ্টা করি, তাহলে মায়েরা এতই কমিটেড যে তারা চিন্তা করবে সরকার যে সম্মান আমাদের দিয়েছে, আমাদের উচিত আট ঘণ্টার কাজ পা
গোলাম পরওয়ার বলেন, “এ সময় নানা পরাশক্তি ও গোয়েন্দা সংস্থা বিভিন্ন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হবে। ফ্যাসিবাদমুক্ত নতুন বাংলাদেশ গঠনের পথে অনেক বাধা আসতে পারে। তবে জাতীয় নির্বাচনের দিকে যে অভিযাত্রা শুরু হয়েছে, সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে তা এগিয়ে নিতে হবে।”
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে দেখা করে বিএনপি সুনির্দিষ্ট কয়েকজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে।
তিনি বলেছেন, ‘১৯৭১ সালসহ ১৯৪৭ সাল থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত জামায়াতের কারণে কেউ কষ্ট পেয়ে থাকলে তাদের কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা চাই।’
জামায়াতের জ্যেষ্ঠ এই নেতা এ প্রসঙ্গে আরও বলেন, ‘আমরা বলেছি, আপনার (প্রধান উপদেষ্টা) প্রতি আমাদের আস্থা আছে। কিন্তু আপনার কিছু লোক আপনার পাশে থেকে আপনাকে বিভ্রান্ত করে এবং ওরা কোনো একটা দলের পক্ষে কাজ করে আমরা মনে করি। তাদের ব্যাপারে আপনার হুঁশিয়ার থাকা দরকার।’
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আমাদের নিরপেক্ষতা নিয়ে আপনারা নিশ্চিন্ত থাকতে পারেন। একটি অবাধ, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনে আমরা এরই মধ্যে নানা পদক্ষেপ নিয়েছি। সামনে আরও অনেক উদ্যোগ আপনারা দেখতে পাবেন।
তিনি বলেন, দীর্ঘ আলোচনার পর ৮০টির উপরে বিষয়ে একমত হয়েছি এবং সেইসব বিষয়কে দ্রুত আইনি ভিত্তি দেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছি। বিশেষ করে আগামী জাতীয় নির্বাচনের জন্য যে বিষয়গুলো প্রয়োজন, সেগুলোকে দ্রুত বাস্তবায়নের ঘোষণা দাবি করেছি।
জামায়াতের নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহেরের নেতৃত্বে ৫ সদস্যের প্রতিনিধিদলে রয়েছেন, জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এটিএম মাসুম, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল রফিকুল ইসলাম খান ও সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদ।
দেশের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে শীর্ষ রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বৈঠক করছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এরই ধারাবাহিকতায় আজ এনসিপি ও জামায়াতের সঙ্গে বৈঠক করার কথা রয়েছে।
এনসিপির শীর্ষ পর্যায়ের বেশ কয়েকজনের সাথে কথা বলে জানা গেছে, বিএনপি ও জামায়াত দুইটি জোটের সাথে নির্বাচনী জোট বা সমঝোতায় যাওয়ার ক্ষেত্রে লাভ-ক্ষতির হিসাব কষছে দলটি।
পরে জামায়াতে ইসলামী এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, বুধবার বিকেলে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মাদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহেরের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল ভবন যমুনায় যাবে।
এনসিপির আরেক নেতা নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী ফেসবুক স্ট্যাটাসে জামায়াতের তীব্র সমালোচনা করেছেন ‘তাদের রাজনৈতিক দর্শন ও অতীত আচরণ বাংলাদেশের স্বাধীনতা, মানচিত্র ও জাতীয় চেতনার পরিপন্থি’ হিসেবে। বলেছেন, জামায়াতের রাষ্ট্রক্ষমতায় যাওয়ার প্রশ্নই আসে না।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ ইতিবাচক পরিবর্তনের দিকে এগোচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতির ক্ষমতার ভারসাম্য, বিচার বিভাগ, নির্বাচনব্যবস্থা, দুর্নীতি দমন কমিশনসহ ছয়টি রাষ্ট্রীয় অঙ্গ নতুনভাবে সাজানো হয়েছে, যাতে আগামী সরকার স্বৈরতান্ত্রিক বা ফ্যাসিবাদী না হয়ে জনগণের জন্য কাজ করবে।’