অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, জুলাই অভ্যুত্থান-পরবর্তী রাজনৈতিক পরিমণ্ডলে প্রধান শক্তি হিসেবে আবির্ভূত হওয়া তিনটি রাজনৈতিক দলের দাবির মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা করতে গিয়েই প্রতিটি দলের কোনো না কোনো দাবি মেনে নিয়ে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের রূপরেখা চূড়ান্ত করেছে সরকার। কিন্তু তাতে কি শেষ রক্ষা হলো?
গোলাম পরওয়ার বলেন, একই দিনে জাতীয় নির্বাচন ও গণভোট আয়োজনের ঘোষণায় সংকটমুক্ত স্বচ্ছ নির্বাচনের সংকটটা রয়েই গেল। জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারি এবং আদেশের ওপর নভেম্বর মাসেই গণভোট আয়োজনসহ পাঁচ দফা গণদাবি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে চলমান ও ঘোষিত আট দলীয় কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।
জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বিবিসি বাংলাকে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টার ভাষণের কিছু কিছু বিষয়ে আরও ক্ল্যারিফিকেশন দরকার। আমরা নিজেরা বসে পর্যালোচনা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেব।’
এনসিপির এই নেতা আরও বলেন, যদি সরকার আবার পুলিশ দিয়ে, র্যাব দিয়ে, পেটোয়া বাহিনী দিয়ে এই আন্দোলন দমন করার চেষ্টা চালায়, রাজপথে আমরা কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে লড়াই করব। যারা আন্দোলন করছেন, আপনাদের কোনো ভয় নেই। আমরা আছি এখনো।
জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারি এবং ওই আদেশের ওপর গণভোট আয়োজন করাসহ পাঁচ দাবিতে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় যমুনার সামনে অনির্দিষ্টকালের জন্য অবস্থানের হুঁশিয়ারি দিয়েছে জামায়াতে ইসলামীসহ আন্দোলনরত ৮ দল।
তিনি আরও বলেন, জনতার ভাষা বোঝার চেষ্টা করেন, না হলে পরিণতি ভোগ করতে হবে। দাবির বিষয়ে আমরা ভদ্র ভাষায় কথা বলছি, আমরা ভদ্র ভাষাতেই কথা বলব। কিন্তু আমরা আমাদের দাবির বিষয়ে হিমালয়ের মতো অনড় থাকব। কারণ এই দাবি জনগণের দাবি, কোনো দলের দাবি নয়। যতক্ষণ না বিজয় আসছে ততক্ষণ লড়াই চলবে।
জাতীয় পার্টির মহাসচিব শামীম হায়দার পাটোয়ারী বিবিসি বাংলাকে বলেন, "জোটবদ্ধভাবে নির্বাচনে অংশ নিলে সেক্ষেত্রে জাতীয় পার্টিরও যেমন আসন সংখ্যা বাড়বে, তেমনি যে দলের সাথে জোট হবে তাদেরও আসন ও ভোট বাড়বে"।
ইসলামী আন্দোলনের আমির মুফতি সৈয়দ রেজাউল করিমের সভাপতিত্বে দুপুর ২টায় শুরু হতে যাওয়া এই সমাবেশে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, খেলাফত মজলিস, নেজামে ইসলাম পার্টি, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন, বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টি এবং জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির শীর্ষ নেত
জুলাই সনদের গণভোট জাতীয় নির্বাচনের আগেই আয়োজনসহ পাঁচ দাবিতে রাজপথের আন্দোলনে জামায়াতে ইসলামীসহ আট দল। এ দাবি না মানলে কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি। অন্যদিকে বিএনপিসহ সমমনারাও জাতীয় নির্বাচনের দিনেই গণভোট আয়োজনের বিষয়ে অনড়। এ অবস্থায় জুলাই সনদের ভবিষ্যৎ কী, জুলাই সনদ ঘিরে অনিশ্চয়তা তৈরি হলে কি জাতীয় নির্
এদিনের বৈঠকে আগামী ১১ নভেম্বর ঢাকার সমাবেশ সফল করার আহ্বান জানান আট দলের নেতারা। জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারি ও জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোটসহ পাঁচ দফা দাবিতে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। তার আগে দাবি মেনে নেওয়া না হলে সমাবেশ থেকে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলে জানানো হয়।
হামিদুর রহমান আযাদ বলেন, আমরা বিএনপির মহাসচিবের সঙ্গে আলোচনায় বসতে চেয়েছিলাম। তারা বলেছেন, আমাদের সঙ্গে আলোচনায় বসবেন না। আমরা যেকোনো সময় আলোচনায় বসতে রাজি আছি। প্রয়োজনে অন্যান্য রাজনৈতিক দলকে আলোচনায় বসতে উদ্বুদ্ধ করব।
জামায়াত আমির বলেন, ‘যে তরুণরা দুর্বার আন্দোলনের মধ্যে দিয়ে পর্বত সমান হস্তিকে দেশ থেকে তাড়িয়েছে, তারাই আগামীর বাংলাদেশ বিনির্মাণে ভূমিকা রাখবে।’
ঝিনাইদহে জামায়াত যেভাবে হিন্দু ধর্মের অনুসারীদের নিয়ে কাজ করছে, সম্প্রতি এরকম বিভিন্ন ঘটনা দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে গণমাধ্যমের খবরে এসেছে। যেগুলোতে বলা হচ্ছে, জামায়াতে ইসলামীতে সনাতন ধর্মের অনুসারীদের কেউ কেউ যোগ দিচ্ছেন। কোথাও কোথাও জামায়াতের 'সনাতনী কমিটি' গঠনের খবরও পাওয়া যাচ্ছে।
বিএনপি ও জামায়াত সূত্র জানিয়েছে, বিএনপির মহাসচিব ফোন পাওয়ার পর জামায়াত নেতা আব্দুল্লাহ তাহেরকে জানিয়েছেন, দলের নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করে তিনি এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানাবেন।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেছেন, “সোজা আঙুলে ঘি না উঠলে প্রয়োজনে আঙুল বাঁকা করতে হবে, তারপরও ঘি আমাদের লাগবেই।
দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে, জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের আদেশ জারি, নভেম্বরে গণভোট আয়োজন, অন্তর্বর্তী সরকারের সময় রাজনৈতিক হয়রানি ও গ্রেপ্তার বন্ধ, নির্বাচনে সব দলের সমান অংশগ্রহণের নিশ্চয়তা এবং ধর্মীয় স্বাধীনতা ও রাজনৈতিক সংগঠনের কার্যক্রমে বাধাহীনতা নিশ্চিত করা।
জামায়াতে ইসলামী ২০০১ সালের নির্বাচনে বিএনপির নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোটে ছিল। জোটবদ্ধ নির্বাচনের পর ওই জোট ক্ষমতায় আসলে দলটির দুজন শীর্ষ নেতা জোট সরকারের মন্ত্রীও হয়েছিলেন।