আব্দুল কাদের ফেসবুকে লিখেছেন, হলে থাকার কারণে শিবিরের যে ছেলেগুলা সক্রিয়ভাবে ছাত্রলীগ করত, তারা মূলত আইডেন্টেটি ক্রাইসিস থেকে উৎরানোর জন্য কিছু ক্ষেত্রে অতি উৎসাহী কর্মকাণ্ডে জড়াত। সেটা কেবল নিজেকে লীগার প্রমাণের দায় থেকে। লীগ যে নিপীড়ন-নির্যাতন চালাত, তারা সেগুলার অংশীদার হতো, লীগের কালচার-ই চর্চা
এক বছর আগের স্মৃতি স্মরণ করিয়ে দিয়ে নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘আমরা আবার শহিদ মিনারে আপনাদের সামনে দাঁড়িয়ে একটি নতুন বাংলাদেশের, আমাদের সেকেন্ড রিপাবলিকের ২৪ দফা ইশতেহার ঘোষণা করছি।’
রয়েছে রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্ব, জাতীয় স্বার্থ, সর্বজনীন শিক্ষানীতি ও বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ সমুন্নত রাখার মতো বিষয়গুলো। রয়েছে নারীদের সমান অধিকার নিশ্চিতের অঙ্গীকারও। ফ্যাসিবাদ ও স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনেও ছাত্রদল সবসময় সক্রিয় থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে এ ৯ দফায়।
শামসুজ্জামান দুদু বলেন, আজকের সমাবেশে ছাত্রদল প্রমাণ করেছে গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে যারা ষড়যন্ত্র করবে তাদের রেহায় দেওয়া হবে না। ছাত্রদলকে যদি ছোট মনে করেন তাহলে আজকের সমাবেশ দেখে যান। এই ছাত্রদল স্বৈরাচার এরশাদ কে পতন করেছে।
তারেক রহমান বলেন, ‘তোমাদের নিজেদের মেধা-মননে, জ্ঞান-বিজ্ঞানে গড়ে তুলতে হবে। পাশাপাশি দেশকে গড়ে তুলতে হবে। সেই লক্ষে বিএনপি মানবিক রাজনীতি গড়ে তুলতে চায়। কর্মসংস্থানের রাজনীতি করতে চায়। নিরাপদ দেশের রাজনীতি করতে চায়।
ছাত্রদলকে রুখে দেওয়ার ক্ষমতা বাংলাদেশে কারও নেই উল্লেখ করে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব বলেন, যারা দেশকে অস্থিতিশীল করতে চায়, ছাত্রদল চাইলে তাদের ‘বিষ দাঁত’ উপড়ে ফেলতে পারে।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আমাদের শপথ নিতে হবে, আমরা কোনোদিনই ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে রাজনীতি করার সুযোগ দেবো না। আমরা কারও কাছে মাথা নত করবো না। আমরা আমাদের দেশকে নিজেরাই স্বয়ংসম্পূর্ণ করে গড়ে তুলবো।
নতুন বাংলাদেশ গঠনের অঙ্গীকার নিয়ে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ঘোষণা করেছে ২৪ দফার ইশতেহার। ‘সেকেন্ড রিপাবলিক’ ধারণাকে কেন্দ্র করে দলটি নতুন সংবিধান প্রণয়নের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে এবং জনগণের সরাসরি অংশগ্রহণে একটি গণতান্ত্রিক, বৈষম্যহীন ও মানবিক রাষ্ট্রব্যবস্থার রূপরেখা তুলে ধরেছে।
নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, গত ১৫ বছর ধরে দেশের মানুষ ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত। বর্তমান পরিস্থিতিতে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে চাইলে একটি দল ছাড়া অন্যদের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনই বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে।
নতুন বাংলাদেশের ইশতেহার ঘোষণা করতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সমাবেশের আয়োজন করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। সমাবেশকে কেন্দ্র করে নেতাকর্মীরা আসতে শুরু করেছেন সমাবেশস্থলে।
নতুন বাংলাদেশের ইশতেহার ঘোষণার জন্য কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সমাবেশের আয়োজন করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। সমাবেশে যোগ দিতে দেশের নানা প্রান্ত থেকে নেতাকর্মীরা ঢাকায় আসছেন। রোববার (৩ আগস্ট) বিকেল ৪টায় এ সমাবেশ শুরু হবে।
নিবন্ধন ত্রুটি নিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে বৈঠকে বসেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি- এনসিপির ৪ সদস্যের প্রতিনিধিদল। প্রতিনিধিদলের নেতৃত্বে রয়েছেন এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটোওয়ারী।
সমাবেশে যোগ দিতে রাজধানীর শাহবাগে জড়ো হচ্ছে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা। ইতোমধ্যে সমাবেশস্থলে কয়েক হাজার নেতা-কর্মী জড়ো হয়েছেন। জুলাই আগস্টের গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে মাসব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে এ সমাবেশ করছে সংগঠনটি।
বারো ভূঁইয়ারা ছিলেন এক ধরনের আঞ্চলিক ক্ষমতাবান জমিদার বা সামন্তশাসক, যারা মূলত বর্তমান বাংলাদেশের পূর্ব ও মধ্যাঞ্চলে, বিশেষ করে ঢাকার উত্তর, বিক্রমপুর, সোনারগাঁ, বাঘরাম, ময়মনসিংহ, কুমিল্লা ও সিলেট অঞ্চলে শক্তিশালী প্রভাব বিস্তার করেছিলেন। তাঁদের মধ্যে সবচেয়ে পরিচিত নামটি হলো ঈশা খাঁ।
সমাবেশ দুটি ঘিরে দুই সংগঠনের নেতাকর্মীদের মধ্যেই ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা কাজ করছে। তবে রাজধানীর প্রাণকেন্দ্রে একই দিনে এমন বড় দুটি সমাবেশ কতটা নাগরিক ভোগান্তির কারণ হয়ে দাঁড়াবে, তা নিয়ে শঙ্কায় রয়েছে ঢাকাবাসী।
তিনি বলেন, ‘গত বছরের ৩ আগস্ট শহীদ মিনার থেকেই আমরা সরকার পতনের দাবি তুলেছিলাম। আমরা বারবার বলেছি—ফ্যাসিবাদবিরোধী লড়াই এখনো শেষ হয়নি। আমাদের রাষ্ট্রচিন্তার রূপরেখা সম্পূর্ণ করব এই কর্মসূচির মধ্য দিয়ে।’
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) অনুরোধে সমাবেশের স্থান পরিবর্তন করেছে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল। আগামী রবিবার শহীদ মিনারের পরিবর্তে শাহবাগে ছাত্র সমাবেশ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংগঠনটি। এতে করে সমাবেশ ঘিরে যে কোনো ধরনের জনভোগান্তির জন্য ঢাকাবাসীর প্রতি অগ্রিম দুঃখ প্রকাশ করেছে ছাত্র সংগঠনটি।