ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) ছাত্রশিবির সমর্থিত ‘ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোটে’র প্রার্থীরা বিপুল ব্যবধানে জয় পেয়েছেন। এই প্যানেল থেকেই ডাকসুতে সহসভাপতি (ভিপি) পদে সাদিক কায়েম, সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে এস এম ফরহাদ হোসেন ও সহসাধারণ সম্পাদক (এজিএস) পদে মো. মহিউদ্দীন খান নির্বাচিত হয়েছ
ভোট গ্রহণ শেষ হওয়ার আট ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও ডাকসু নির্বাচনের ফলের জন্য অপেক্ষার প্রহর যেন ফুরোচ্ছে না। বিকেল ৪টায় ভোট শেষে এখন মধ্যরাতে সবাই ভিড় জমিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে। নানা স্লোগান আর করতালিতে সেখানে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে।
এদিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ ভোটগ্রহণ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেছেন ছাত্রশিবির সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোটের ভিপি প্রার্থী আবু সাদিক কায়েম ও একই জোটের জিএস পদপ্রার্থী এস এম ফরহাদ।
বিকেল ৪টায় শেষ হয়েছে ভোট গ্রহণ। এরপর পেরিয়ে গেছে পাঁচ ঘণ্টা। কিন্তু ডাকসু নির্বাচনে ফলাফলের কোনো আভাস এখনো পাওয়া যায়নি। কেন্দ্রে কেন্দ্রে এখনো চলছে ভোট গণনা। ফল ঘোষণা করতে আরও কত সময় লাগতে পারে, সে বিষয়ে তথ্য মেলেনি দায়িত্বশীল কারও কাছে।
কাদেরের অভিযোগ, একদিকে জামায়াত, অন্যদিকে বিএনপি— দুটি দল মিলে ঢাবিতে ক্ষমতা ভাগাভাগি করে চলেছে। একটি দল প্রক্টরিয়াল বডিতে থাকলে আরেকটি দল থাকছে ডিনস প্যানেলে। ডাকসু নির্বাচনেও ছাত্রদল ও ছাত্রশিবিরের পরস্পরকে করা পালটাপালটি অভিযোগের চিত্রকে ক্ষমতা ভাগাভাগির লড়াই হিসেবেই দেখছেন তিনি।
ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) হামলার তথ্য নিশ্চিত করে বিবৃতি দিয়েছে। তবে তারা কাতারের নাম উল্লেখ করেনি। আইডিএফ বলেছে, “ইসরায়েলের ওপর ৭ অক্টোবর হামলার মূল পরিকল্পনাকারী এবং এ হামলার জন্য দায়ী, এমন বেশ কয়েকজন শীর্ষস্থানীয় নেতার ওপর বিমান হামলা চালানো হয়েছে। এসব নেতা বেশ কয়েক বছর ধরে সন্ত্রাসী
এরপর বেশির ভাগ কেন্দ্রেই ভোট গণনা শুরু হতে হতে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সময় লেগেছে। কেন এত দেরি হয়েছে ভোট গণনা শুরু করতে, সে বিষয়ে কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে কোনো জবাব মেলেনি।
তিনি লিখেন, ‘ভোট গণনা চলছে, এরপরই ফলাফল। শিক্ষার্থীরাসহ সারা দেশ এই ফলাফলের দিকে তাকিয়ে আছে। একটা অভ্যুত্থানের ফসল এই ডাকসু। শুধু রাজনৈতিক কামড়াকামড়ি আর জেতা-হারার ভয়ে ডাকসুটা যেন নষ্ট না হয়। যদি এটা হয়, তাহলে যাদের কারণে এটা হবে তারা এর দায় কখনো এড়াতে পারবে না এবং এই দায়ের বোঝা নিয়ে সামনে
এসময় ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব উপাচার্যকে বলেন, ‘আমরা আজকের পর আনুষ্ঠানিকভাবে আপনাকে ‘জামায়াতি প্রশাসন’ হিসেবে আখ্যা দিলাম। আমরা আজ থেকে আপনাদের বিষয়ে কোনো সহযোগিতা করবো না। যদি আপনি এর বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা না নেন তাহলে আমরা আর আপনাকে কোনো সহযোগিতা করবো না।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্রসংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে আটটি কেন্দ্রের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ভোট পড়েছে কার্জন হল কেন্দ্রে। বিজ্ঞানের তিনটি হলের শিক্ষার্থীদের ৮৭ দশমিক ৩ শতাংশ এ কেন্দ্রে ভোট দিয়েছেন।
তাহমিনা বলেন, ‘নির্বাচনে ভোট কারচুপি ও দলীয় আধিপত্য লক্ষ্য করছি। অমর একুশে হলে এক শিক্ষার্থীর পক্ষে পোলিং অফিসার ব্যালট পেপার পূরণ করে দিয়েছেন। অন্যদিকে আমাদের ছয়জন পোলিং এজেন্ট রাখার জন্য আগেই তথ্য দেওয়া হয়েছিল, কিন্তু কর্তৃপক্ষ একজনকেও অনুমোদন দেননি।’
আবিদ বলেন, ‘গত সোমবার যেভাবে সাইবার হামলা হয়েছে, তেমনি আজ সকাল থেকেই নির্বাচন আচরণবিধি লঙ্ঘনের অপপ্রচার চালানো হয়েছে।’ প্রার্থীদের কেন্দ্রে ঢোকার অনুমতি থাকলেও রিটার্নিং কর্মকর্তারাও এমন অপ্রচারে জড়িত ছিলেন বলে অভিযোগ করেন তিনি।
প্যানেলের সদস্যরা বলেন, এখন পর্যন্ত আমরা চারটি কেন্দ্রে ভোট কারচুপির অভিযোগ পেয়েছি এবং সেগুলোর সত্যতাও মিলেছে। একজন পোলিং অফিসারকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। এটাই প্রমাণ করে যে এখানে আসলেই ভোট কারচুপি হয়েছে।
তিনি বলেন, এই নির্বাচন কমিশন এখনো একটি পক্ষের হয়ে কাজ করছে। এখানে আগে থেকে যাদের শিক্ষক আছে, কর্মকর্তা-কর্মচারী আছে, তারাই হয়তো নিয়ন্ত্রণ করছে এবং একেকটা অংশে কাজ করছে। এ জন্য এখানে মাল্টি-টাইপের অভিযোগ শোনা যাচ্ছে।
ডাকসু নির্বাচন নিয়ে কোনো শঙ্কা নেই জানিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেলের জয়ের ব্যাপারে বিএনপি আশাবাদী। ছাত্রসমাজ সচেতন রয়েছে বলেও জানান তিনি।
এরই মধ্যে এই নির্বাচনের আলোচিত প্রার্থীদের প্রায় সবাই নানা অভিযোগের কথা তুলে ধরেছেন। এর মধ্যে এসেছে প্রার্থীর বিরুদ্ধে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ। এসব অভিযোগ ও অব্যবস্থাপনা নিয়ে প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগও এসেছে। ঢাবি কর্তৃপক্ষ আবার ব্যালটে কারচুপির অভিযোগের কথা বলেছে ছাত্রশিবিরের বিরুদ্ধে।
সহকারী প্রক্টর একে এম নুরে আলম বলেন, দুজন প্রার্থীর নামে টিক দেওয়া ব্যালট পেয়েছেন বলে এক শিক্ষার্থী অভিযোগ করেছিল। তাকে পরে আরেকটি ব্যালট পেপার দেওয়া হয়েছে।