প্রাথমিক তথ্য

সবচেয়ে বেশি ভোট পড়েছে কার্জনে ৮৭.৩%, ইউল্যাবে সর্বনিম্ন ৬৩%

ঢাবি প্রতিনিধি
আপডেট : ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২০: ০৮
ডাকসু নির্বাচনে ভোট দিচ্ছেন একজন ভোটার। ছবি: ফোকাস বাংলা

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্রসংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে আটটি কেন্দ্রের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ভোট পড়েছে কার্জন হল কেন্দ্রে। বিজ্ঞানের তিনটি হলের শিক্ষার্থীদের ৮৭ দশমিক ৩ শতাংশ এ কেন্দ্রে ভোট দিয়েছেন।

এ নির্বাচনে সবচেয়ে কম ভোট পড়েছে ইউনিভার্সিটি ল্যাবরেটরি স্কুল কেন্দ্রে, যেখানে শামসুন নাহার হলের শিক্ষার্থীরা ভোট দিয়েছেন। এ কেন্দ্রে ভোটের হার ৬৩ শতাংশ।

মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৪টায় ডাকসু নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শেষে রিটার্নিং কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য জানা গেছে।

এ নির্বাচনে ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) কেন্দ্রে ভোট দিয়েছেন রোকেয়া হলের শিক্ষার্থীরা। এ কেন্দ্রে মোট ভোটার পাঁচ হাজার ৬৬৫ জন। কেন্দ্রপ্রধান শামসুন নাহার হলের প্রভোস্ট নাসরীন সুলতানা বলেছেন, এখানে ভোট দিয়েছেন তিন হাজার ৯০৭ জন, যা প্রায় ৬৯ শতাংশ।

নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে বিজয় একাত্তর হল, স্যার এ এফ রহমান হল, হাজী মুহম্মদ মুহসীন হল ও বিজয় একাত্তর হলের শিক্ষার্থীরা ভোট দিয়েছেন। এ কেন্দ্রের মোট ভোটার চার হাজার ৮৩০ জন।

কেন্দ্রের পোলিং অফিসার অধ্যাপক আইনুল ইসলাম বলেন, বিজয় একাত্তর হলে ৮৫ শতাংশ, এ এফ রহমান হলে ৮৩ দশমিক ৫০ শতাংশ ও মুহসীন হলে ৮৩ দশমিক ৩৭ শতাংশ ভোটার ভোট দিয়েছেন। সব হল মিলিয়ে এ কেন্দ্রে ৮৪ শতাংশ ভোট কাস্ট হয়েছে।

ইউল্যাব স্কুল কেন্দ্রে ভোট দিয়েছেন শামসুন নাহার হলের শিক্ষার্থীরা। এ কেন্দ্রে মোট ভোটার চার হাজার ৯৬ জন। কেন্দ্রপ্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তা শহিদুল জাহিদ বলেন, কেন্দ্রটিতে ৬৩ শতাংশ ভোট পড়েছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্লাব কেন্দ্রে ভোট দিয়েছেন বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী হল ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের শিক্ষার্থীরা। এ কেন্দ্রে মোট ভোটার সংখ্যা চার হাজার ৭৫৫। কেন্দ্র প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তা অধ্যাপক শারমীন কবীর বলেন, তার কেন্দ্রে ৭০ শতাংশের কাছাকাছি ভোট কাস্ট হয়েছে।

কার্জন হলে ভোট দেন ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ হল, অমর একুশে হল ও ফজলুল হক মুসলিম হলের শিক্ষার্থীরা। এ কেন্দ্রে মোট ভোটার পাঁচ হাজার ৭৭ জন।

কার্জন হল কেন্দ্রের রিটার্নিং অফিসার এম এম মহিউদ্দীন বলেছেন, ফজলুল হক মুসলিম হলে এক হাজার ৪৪৩ জন, শহীদুল্লাহ হলে এক হাজার ৯০৯ জন ও অমর একুশে হলে এক হাজার ৮৩ জন ভোট দিয়েছেন। সব মিলিয়ে এ কেন্দ্রে ভোটের হার ৮৭ দশমিক ৩৪ শতাংশ, যা অন্য সব হলের চেয়ে বেশি।

উদয়ন স্কুল কেন্দ্রে সূর্যসেন হল, মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হল, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল ও কবি জসীম উদ্দীন হলের শিক্ষার্থীরা ভোট দিয়েছেন। এ কেন্দ্রে মোট ভোটার ছিলেন ছয় হাজার ১৫৫ জন।

কেন্দ্রের রিটার্নিং কর্মকর্তা অধ্যাপক শামীম রেজা বলেন, সূর্যসেন হলের এক হাজার ৪৯৮ জন ভোটারের মধ্যে এক হাজার ৩১৬ জন (প্রায় ৮৮ শতাংশ), জসীম উদ্দিন হলের এক হাজার ৩০৩ জনের মধ্যে এক হাজার ১১৭ জন (৮৬ শতাংশ), জিয়া হলের এক হাজার ৭৫৩ জন ভোটারের মধ্যে এক হাজার ৩১৫ জন (প্রায় ৭৫ শতাংশ) ও মুজিব হলের এক হাজার ৬০৯ জনের মধ্যে এক হাজার ৩৯৩ জন (৮৭ শতাংশ) ভোটার ভোট দিয়েছেন। সার্বিকভাবে কেন্দ্রের ভোটের হার প্রায় ৮৩ শতাংশ।

ভূতত্ত্ব বিভাগ কেন্দ্রে সুফিয়া কামাল হলের চার হাজার ৪৪৩ শিক্ষার্থী ভোট দিয়েছেন। কেন্দ্র প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তা কাজী মারুফুল ইসলাম বলেছেন, কেন্দ্রটিতে দুই হাজার ৯৪৭ জন ভোট দিয়েছেন। ভোটের হার ৬৬ দশমিক ৪৮ শতাংশ।

শারীরিক শিক্ষা কেন্দ্রে ভোট দিয়েছেন জগন্নাথ হল, শহিদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল ও সলিমুল্লাহ মুসলিম হলের শিক্ষার্থীরা। কেন্দ্রটিতে মোট ভোটার চার হাজার ৮৫৩ জন।

কেন্দ্রের প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তা কাজী মোস্তাক গাউসুল হক বলেন, এ কেন্দ্রে ভোট দিয়েছেন চার হাজার ৪৪ জন, যা মোট ভোটারের প্রায় ৮৩ শতাংশ।

এই তিন হলের মধ্যে জগন্নাথ হলে দুই হাজার ২২২ জন ভোটারের বিপরীতে ভোট দিয়েছেন এক হাজার ৮৩১ জন (৮২ দশমিক ৪ শতাংশ)। জহুরুল হক হলে এক হাজার ৯৬৩ জন ভোটারের মধ্যে ভোট দিয়েছেন এক হাজার ৬৬০ জন (৮৪ দশমিক ৫ শতাংশ)। আর স্যার সলিমুল্লাহ মুসলিম হলে ৬৬৯ জন ভোটারের মধ্যে ভোট দিয়েছেন ৫৫৩ জন (৮২ দশমিক ৭ শতাংশ)।

ad
ad

রাজনীতি থেকে আরও পড়ুন

এনসিপির কেন্দ্রীয় নির্বাচন সেলে যুক্ত হলেন যারা

সেলগুলোর মধ্যে রয়েছে- আইটি সেল, প্রচার ও প্রকাশনা সেল, দপ্তর সেল, মিডিয়া সেল, অর্থ সেল এবং বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক।

২ ঘণ্টা আগে

কারো দলীয় স্বার্থ বাস্তবায়ন করা এই সরকারের কাজ নয় : তারেক রহমান

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, “ফ্যাসিবাদী শাসনামলে ফ্যাসিবাদের রোষানল থেকে বাঁচতে ফ্যাসিবাদবিরোধীদের কেউ কেউ ‘গুপ্ত কৌশল’ অবলম্বন করেছিল।’ একইভাবে পতিত-পরাজিত ফ্যাসিবাদী অপশক্তিও বর্তমানে ‘গুপ্ত কৌশল’ অবলম্বন করে দেশের গণতন্ত্রে উত্তরণের পথকে বাধাগ্রস্ত করে কি না, সে ব্যাপারে সজাগ দৃষ্টি রাখার

২ ঘণ্টা আগে

জামায়াতসহ ৮ দলের কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি

এদিনের বৈঠকে আগামী ১১ নভেম্বর ঢাকার সমাবেশ সফল করার আহ্বান জানান আট দলের নেতারা। জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারি ও জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোটসহ পাঁচ দফা দাবিতে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। তার আগে দাবি মেনে নেওয়া না হলে সমাবেশ থেকে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলে জানানো হয়।

২ ঘণ্টা আগে

'জামায়াতের সঙ্গে আলোচনায় বসতে রাজি না বিএনপি'

হামিদুর রহমান আযাদ বলেন, আমরা বিএনপির মহাসচিবের সঙ্গে আলোচনায় বসতে চেয়েছিলাম। তারা বলেছেন, আমাদের সঙ্গে আলোচনায় বসবেন না। আমরা যেকোনো সময় আলোচনায় বসতে রাজি আছি। প্রয়োজনে অন্যান্য রাজনৈতিক দলকে আলোচনায় বসতে উদ্বুদ্ধ করব।

২ ঘণ্টা আগে