নাহিদ বলেন, চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানকে ব্যর্থ করতে সব ধরনের আয়োজন সম্পন্ন হয়েছে। তবে সমীকরণ এখনো শেষ হয়নি। যারা এখনই সমীকরণ মিলিয়ে ফেলছে, তারা ভুল পথে হাঁটছে। গত এক বছর ছাড় দিয়েছি, জুলাই ঘোষণাপত্রে ছাড় দিয়েছি, কিন্তু জুলাই সনদে এক শতাংশও ছাড় দেওয়া হবে না।
নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, যদি ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হয় তাহলে আমার যেই ভাইয়েরা শহীদ হয়েছিল, সংস্কারের জন্য একটি নতুন সংবিধানের জন্য রক্ত দিয়েছিল সেই মরদেহটা সরকারের ফেরত দিতে হবে।
প্রধান উপদেষ্টা ও সিইসির এ ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়েছে বিএনপিসহ সমমনা দলগুলো। অন্যদিকে আরও কিছু দল নির্বাচনের ঘোষণাকে স্বাগত জানালেও জুড়ে দিচ্ছে নানা শর্ত। জামায়াত ইসলামী, এনসিপি, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ও বাম ঘরোনার কিছু দল বলছে, নির্বাচনের আগেই এসব শর্ত পূরণ করতে হবে। জুলাই সনদসহ যেসব শর্ত দেওয়া হচ্ছ
‘ঘুরতে যাওয়া অপরাধ নয়’ উল্লেখ করে নাসির লিখেছেন, কেবল দলীয় বৈঠকে নয়, নির্জন ঘর বা সাগরপারেও ইতিহাস জন্ম নিতে পারে।
হাসনাতের অভিযোগ, ঘোষণাপত্রের খসড়ায় এমন কিছু ‘ভুল ও বিভ্রান্তিকর’ ব্যাখ্যা রয়েছে, যা অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষার সঙ্গে সাংঘর্ষিক। তিনি বিশেষভাবে উল্লেখ করেন, ঘোষণাপত্রে সংবিধান সংস্কারের দায়িত্ব ভবিষ্যতের নির্বাচিত সরকারের ওপর ছেড়ে দেওয়ার প্রস্তাব ‘অসত্য ও বিপজ্জনক’।
রাশেদ খাঁন বলেন, ‘জুলাইয়ের শহিদদের সংখ্যা নিয়েও রাজনীতি করব? কেন ৬ জন শহিদের মরদেহ এক বছর ধরে ঢাকা মেডিকেলে পড়ে থাকে? কেন গণকবর দেওয়া শহিদদের পরিচয় আজও চিহ্নিত করা গেল না?’
দলীয় অনুমতি না নিয়ে কক্সবাজার সফরে যাওয়ায় জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)–এর পাঁচ শীর্ষ নেতার বিরুদ্ধে কারণ দর্শানোর নোটিশ জারি করেছে দলটি। বুধবার (৬ আগস্ট) যুগ্ম সদস্য সচিব (দপ্তর) সালেহ উদ্দিন সিফাত স্বাক্ষরিত পৃথক চিঠিতে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সশরীরে উপস্থিত হয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।
দলের সদস্য সচিব আখতার হোসেন বলেন, নির্বাচনের আগে বিচারকে দৃশ্যমান করা এবং সংস্কার করা এটি এই সরকারের কর্তব্য। মাঠ প্রশাসনের নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করা, লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করে নির্বাচনের প্রস্তুতির নিশ্চয়তা আমাদের দিতে হবে।
এর আগে জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় জুলাই ঘোষণাপত্র পাঠ করেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানকে রাষ্ট্রীয় ও সাংবিধানিক স্বীকৃতির ঘোষণা দেওয়া হয় জুলাই ঘোষণাপত্রে।
পদযাত্রাতে টায়ার্ড হয়ে গেছিলাম। কারো সঙ্গে দেখা করতে নয়, জাস্ট একটু সাগর পাড়ে ঘুরতে আসছি বলে দাবি করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী।
মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) দুপুরে এনসিপির পাঁচ নেতার কক্সবাজারে অবস্থানের খবর জানা যায়। এই পাঁচ নেতা হলেন— এনসিপির উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলের দুই মুখ্য সংগঠক সারজিস আল ও হাসনাত আব্দুল্লাহ, মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী, যুগ্ম আহ্বায়ক খালেদ সাইফুল্লাহ ও সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব তাসনিম জারা।
এক বছর আগের স্মৃতি স্মরণ করিয়ে দিয়ে নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘আমরা আবার শহিদ মিনারে আপনাদের সামনে দাঁড়িয়ে একটি নতুন বাংলাদেশের, আমাদের সেকেন্ড রিপাবলিকের ২৪ দফা ইশতেহার ঘোষণা করছি।’
নতুন বাংলাদেশ গঠনের অঙ্গীকার নিয়ে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ঘোষণা করেছে ২৪ দফার ইশতেহার। ‘সেকেন্ড রিপাবলিক’ ধারণাকে কেন্দ্র করে দলটি নতুন সংবিধান প্রণয়নের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে এবং জনগণের সরাসরি অংশগ্রহণে একটি গণতান্ত্রিক, বৈষম্যহীন ও মানবিক রাষ্ট্রব্যবস্থার রূপরেখা তুলে ধরেছে।
নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, গত ১৫ বছর ধরে দেশের মানুষ ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত। বর্তমান পরিস্থিতিতে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে চাইলে একটি দল ছাড়া অন্যদের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনই বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে।
নতুন বাংলাদেশের ইশতেহার ঘোষণা করতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সমাবেশের আয়োজন করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। সমাবেশকে কেন্দ্র করে নেতাকর্মীরা আসতে শুরু করেছেন সমাবেশস্থলে।
নতুন বাংলাদেশের ইশতেহার ঘোষণার জন্য কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সমাবেশের আয়োজন করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। সমাবেশে যোগ দিতে দেশের নানা প্রান্ত থেকে নেতাকর্মীরা ঢাকায় আসছেন। রোববার (৩ আগস্ট) বিকেল ৪টায় এ সমাবেশ শুরু হবে।
নিবন্ধন ত্রুটি নিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে বৈঠকে বসেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি- এনসিপির ৪ সদস্যের প্রতিনিধিদল। প্রতিনিধিদলের নেতৃত্বে রয়েছেন এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটোওয়ারী।