তিনি বলেন, অন্তর্বতীকালীন সরকারকে ব্যর্থ করে দেয়ার ষড়যন্ত্র ক্রমাগত অব্যাহত রয়েছে। পলাতক স্বৈরাচারের দোসর নানা কৌশলে পুনরায় মাথাচাড়া দিয়ে ওঠার অপচেষ্টায় প্রতিনিয়ত লিপ্ত। জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের দ্বারা, জনগণের প্রতি দায়বদ্ধ সংসদ ও সরকার যতক্ষণ না পর্যন্ত গঠিত হবে ততদিন পর্যন্ত
এখানে এসে দেখে মনে হচ্ছে যেন, কোনো ইউনিয়ন পরিষদ কিংবা জাতীয় নির্বাচনের ভোট হচ্ছে। নেতাকর্মীরা উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট দিচ্ছে। কোনো কলহ, হট্টগোল নেই। বিএনপির দেশের পাশাপাশি দলের মধ্যে গণতন্ত্র চর্চা করে থাকে।
ঢাকার মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে তরুণদের নতুন রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টির আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে এসেছেন বিএনপির দুই সদস্যের প্রতিনিধিদল। প্রতিনিধিদলে রয়েছেন, বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এবং দলের যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি।
মঈন খান বলেন, বাংলাদেশের জনগণ যদি আমাদের সরকারে নির্বাচিত করে, আমরা অত্যন্ত সানন্দে এ প্রকল্পের জন্য চীনের সহায়তা গ্রহণ করতে এবং একটি পূর্ণাঙ্গ তিস্তা ব্যারাজ নির্মাণে চুক্তি সই করতে প্রস্তুত থাকব।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, গণতন্ত্রকামী জনগণ মনে করে স্থানীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে সেটি হবে সারাদেশে পলাতক স্বৈরাচারের দোসরদের পুনর্বাসনের একটি প্রক্রিয়া যা সরাসরি গণঅভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষাবিরোধী। গণহত্যাকারী টাকাপাচারকারী দুর্নীতিবাজ মাফিয়া চক্রকে পুনর্বাসন প্রক্রিয়ার এই ফাঁদে বিএনপি পা দেব
খালেদা জিয়া বলেন, দেশ এক সংকটকাল অতিক্রম করছে। এখনও ফ্যাসিস্ট ও তাদের দোসররা গণঅভ্যুত্থানে প্রাপ্ত অর্জন নস্যাতের চক্রান্ত করছে। তিনি বলেন, এমন কোনো কাজ করা যাবে না, যাতে অভ্যুত্থানের ফসল নষ্ট হয়। দেশ ও জাতির বৃহত্তর স্বার্থে কাজ করতে হবে।
বিএনপির বর্ধিত সভা শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় জাতীয় সংসদ ভবনের এলডি হল সংলগ্ন মাঠে এই বর্ধিত সভা শুরু হয়। এতে লন্ডন থেকে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে সভাপতিত্ব করছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। উদ্বোধনী ও সমাপনী পর্বে নেতৃবৃন্দের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখবেন তিনি। সভায় প্রধান অতিথি হিসে
বিএনপি ক্ষমতায় গেলে স্টক মার্কেটকে গুরুত্ব দেওয়া হবে জানিয়ে তিনি বলেন, আগামীতে যদি নির্বাচিত সরকার আসে আর আমরা সেই সুযোগ পাই, তাহলে আমরা পুঁজিবাজারকে ধারণ করব। স্বচ্ছতা ফিরে এলে এখানে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী এমন অনেকেই তাকিয়ে আছেন।
সংস্কার জিয়াউর রহমান শুরু করেছিলেন উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, একটি বদ্ধ একদলীয় শাসন ব্যবস্থা ছিলো বাকশাল। সেখান থেকে নিয়ে এসেছিলেন বহুদলীয় গণতন্ত্র, মুক্ত সংবাদপত্র। এটা এখন অনেকেই ভুলে গেছেন, এই তরুণ প্রজন্মের অনেকেই হয়তো জানেন না যে বাকশালের মধ্য দিয়ে বন্ধ করে দেয়া হয়েছিলো সকল সংবাদপত্র। শহীদ
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, দেশের জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কার্যকর পদক্ষেপ নিতে পারছে না। নানা সাংস্কৃতিক কর্মসূচিতেও পরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে বাধা দেওয়া হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, এখন স্থানীয় সরকার নির্বাচনের কথা বলছে- এর পেছনে বিশাল ষড়যন্ত্র হচ্ছে। তার একটাই কারণ, স্থানীয় সরকার নির্বাচন। এটা হয়ে গেলে তাদের অনেক সুবিধা হয়। কারণ গ্রামে-গঞ্জে অনেকের পায়ের তলায় মাটি নেই। তারা স্থানীয় সরকার নির্বাচন করে পায়ের তলায় মাটি আনতে চান।
অন্তর্বর্তী সরকারের সমালোচনা করে মির্জা ফখরুল বলেন, দেশে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা না করলে স্থিতিশীলতা আসবে না। কোনওভাবেই আমরা একটা স্থিতিশীলতা পাব না। তাই প্রকৃতপক্ষে নিরপেক্ষ বস্তুনিষ্ঠ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
তিনি বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে মতপার্থক্য থাকতেই পারে। কিন্তু মতপার্থক্যের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করা যাবে না। এতে ক্ষতিগ্রস্থ হবে দেশ ও গণতান্ত্রিক দলগুলো। তাই আমাদেরকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে৷ যত বেশী ঐক্যবদ্ধ থাকব, তত বেশী গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে পরিকল্পনাকারীদের ষড়যন্ত্র ভেস্তে যাবে।
বিএনপি ক্ষমতায় গেলে দেশের সব শিক্ষার্থীদের বাধ্যতামূলক সামরিক প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ। মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় শহীদ সেনা দিবস উপলক্ষে ‘পিলখানায় সংঘটিত নির্মম হত্যাকাণ্ডে শাহাদতবরণকারী শহীদ অফিসারদের স্মরণে’ এক বিশেষ অনুষ্
মির্জা ফখরুল বলেন, এ দিনটি সেনাবাহিনীর জন্য কালো দিন। সেনাবাহিনীর শত্রুরা সেদিন ৫৭ জন চৌকস সেনাকে হত্যা করে। তাদের উদ্দেশ্য ছিল দেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নষ্ট করে দেওয়া।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান আর নেই (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। ১৯৯১ ও ২০০১ সালে বিএনপি সরকার গঠন করলে দুবারই তিনি মন্ত্রিসভায় ছিলেন।
বিএনপি আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিকে বেশি নজর দিচ্ছে জানিয়ে দলটির এই নেতা বলেন, আগামী দিনের জাতির প্রত্যাশা একটা সুষ্ঠু, স্বাভাবিক ও সাধারণ নির্বাচন। যেটি গণতন্ত্রের ভীতকে শক্তিশালী করার জন্য বেশি দরকার। সেই দিকে আমরা বেশি নজর দিচ্ছি। আমার বিশ্বাস, দেশে যদি একটি গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত থাকে, জনগ