আইন অনুযায়ী শপথ না নিয়ে এই বিএনপি নেতা মেয়রের হিসেবে এমন দায়িত্ব পালন করতে পারেন কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেন যেভাবে শপথ ছাড়াই নগর ভবনে মেয়রের ভূমিকায় বিভিন্ন সভা-সমাবেশে অংশ নিচ্ছেন, আইনিভাবে তা তিনি পারেন না।
সংবাদ সম্মেলনে আমীর খসরু বলেন, ‘দিনক্ষণ তো নির্বাচন কমিশন ঘোষণা করবে। এটা আর সরকার বলতে পারবে না, আমরাও বলতে পারবো না। আমরা সেটার অপেক্ষা করব। নিশ্চিয় কোনো একটা সময়ে আগামীদিনে নির্বাচন কমিশনের পক্ষে থেকে একটা দিনক্ষণ ঘোষণা করা হবে। এটার জন্য তো আমাদের ধৈর্য থাকতে হবে। একদম অস্থিরতার মধ্যে সার্বক্ষণি
ইশরাক হোসেন অভিযোগ করেন, স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা তার পছন্দের ব্যক্তিকে প্রশাসক নিয়োগ দিয়ে আর্থিক ও রাজেনৈতিক ফায়দা নেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছেন। এজন্য দিন দিন স্থানীয় সরকার উপদেষ্টার পদত্যাগের দাবি জোরালো হচ্ছে।
ফেব্রুয়ারিতে সংসদ নির্বাচনের সিদ্ধান্ত দ্রুত নির্বাচন কমিশনকে জানানোর জন্য অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহ উদ্দিন আহমদ।
বিএনপি নেতা ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন আগেই ঘোষণা দিয়েছিলেন সরকার তাকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র হিসেবে শপথ পড়ানোর আয়োজন না করলে নিজেই তার কর্মী সমর্থক ও দক্ষিণ সিটির বাসিন্দাদের নিয়ে শপথ আয়োজন করবেন।
বিএনপি গণতান্ত্রিক পথে এগিয়ে যাবে উল্লেখ করে দলের স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, যেহেতু দেশের মানুষ প্রায় ২০ বছর তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেনি, তাই যত দ্রুত সম্ভব নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়টি গুরুত্ব পেয়েছে আলোচনায়। আর এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন ছিল ঐকমত্যের, যেখানে আমরা পৌঁছাতে পেরেছি।
ঢাকা দক্ষিণ সিটির (ডিএসসিসি) মেয়র হিসেবে বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়ার দাবিতে নগর ভবনের সামনে ফের অবস্থান নিয়েছেন তার সমর্থকরা। এদিকে ইশরাক নিজে নগর ভবনে উপস্থিত হয়ে ডিএসসির কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করছেন।
নগর ভবন আমাদের তত্ত্বাবধানে চলবে জানিয়ে বিএনপি নেতা ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন বলেন, দৈনন্দিন সেবা কার্যক্রম চলবে তবে কোনও কর্মকর্তা অফিস করতে পারবেন না। রবিবার ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র হিসেবে ইশরাক হোসেনকে দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়ার দাবিতে ঢাকাবাসীর চলমান অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে তিন
এ বৈঠক নিয়ে সরকার ও বিএনপি সন্তুষ্টি জানিয়েছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরাও বৈঠককে ইতিবাচক ও রাজনীতিতে আস্থা ফেরানোর মাধ্যম হিসেবে দেখছেন। তবে জামায়াতে ইসলামী ও জাতীয় নাগরিক পার্টিসহ (এনসিপি) কয়েকটি দল এ বৈঠক নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। সংস্কার ও বিচারকে গুরুত্ব না দিয়ে এ বৈঠকের মাধ্যমে নির্বাচন ইস্যুতে একটি দলকে গ
সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘এই বৈঠক নিয়ে জামায়াতে ইসলামী যে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে, তাতেই বলা আছে যে জামায়াতের আমির গত ১৬ এপ্রিল একটি বিদেশি মিশনের সঙ্গে বৈঠক শেষে উপস্থিত সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে ২০২৬ সালের রোজার আগে ফেব্রুয়ারি মাসে নির্বাচন হতে পারে বলে দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরেছিলেন। ফলে লন্ডন বৈঠকের পর নির্
তিনি বলেন, পুরো বাংলাদেশের প্রত্যাশা ও প্রাপ্তির সংযোগ ঘটিয়ে, এপ্রিলের মতো অনাকাঙ্ক্ষিত সময় থেকে সরে এসে নির্বাচনের জন্য একটি যৌক্তিক সময়সীমা নির্ধারণের জন্য প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনুসকে জানাই আন্তরিক ধন্যবাদ। তিনি জনগণের প্রত্যাশা উপলব্ধি করে সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যা নিঃসন্দেহে প্রশংসার যোগ্য।
আমীর খসরু বলেন, আমরা নতুন বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে সামনের দিকে এগোচ্ছি। আমরা চাই, দেশ গড়ার যে প্রত্যয় আমরা নিয়েছি, আমরা সবাই মিলে ঐকবদ্ধভাবে সেই কাজটি করব। শুধু নির্বাচনের আগে নয়, নির্বাচনের পরেও বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়কে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাব।
মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা আজ প্রতীক্ষিত একটি সুসংবাদের জন্য অপেক্ষা করছিলাম। অতীতে যেসব ছোটখাটো কথা-বার্তা হয়েছে, সেগুলোকে ভু্লে গিয়ে সামনের দিকে জাতীয় ঐক্যকে আরও দৃঢ় করে সমস্যাগুলো সমাধান করে নিয়ে আমরা যেন অতি দ্রুত একটি নির্বাচনের দিকে এগোতে পারি।
তারেক রহমান বৈঠকে আগামী বছর রমজান শুরুর আগেই নির্বাচন আয়োজনের প্রস্তাব দিয়েছেন। প্রধান উপদেষ্টা জবাবে এপ্রিলের প্রথমার্ধে নির্বাচনের কথার পুনরাবৃত্তি করেন। তবে সংস্কার কার্যক্রম কাঙ্ক্ষিত গতিতে এগিয়ে নেওয়া সম্ভব হলে রমজানের আগেই নির্বাচন আয়োজন করা যেতে পারে— এমন সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেননি তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস ও তারেক রহমানের মধ্যে বৈঠকটি একান্ত। অর্থাৎ তাদের দুজনের মধ্যেই বৈঠক অনুষ্ঠিত হচ্ছে। তবে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ওই হোটেলে গেছেন তারেক রহমানের সঙ্গে।
বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ফজলুর রহমান বলেছেন, ‘ইউনূস সাহেব যখন বাংলাদেশে সমস্ত পথ হারিয়ে ফেলছেন, উনি পথ পাওয়ার জন্য আমাদের নেতা তারেক রহমান সাহেবের কাছে গেছেন। ড. ইউনূস দেশে থাকতে বিএনপিকে এক ঘণ্টা সময় দেন না, কিন্তু ১২ ঘণ্টা প্লেন চালাইয়া লন্ডন পর্যন্ত গেছেন। বলছেন, আমাকে একটু কথা বলার সুযোগ দেন
লন্ডনে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের আসন্ন বৈঠকটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মন্তব্য করে দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, এই বৈঠকটি আগামী নির্বাচন, সংস্কার এবং গণতন্ত্রকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য এক তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা