স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘ছাত্র-জনতার ওপর হামলার ঘটনায় যারা জড়িত তাদের বিচারের আওতায় আনা হবে। তাদের যেন সর্বোচ্চ শাস্তি হয়, সে ব্যবস্থা করা হবে।’
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা এম তৌহিদ হোসেন বলেছেন, পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার আগামী এপ্রিলে ঢাকায় আসতে পারেন। আমরা উভয়পক্ষ এ নিয়ে কাজ করছি। বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে গণমাধ্যমের সঙ্গে এক মতবিনিময়ে তিনি এ কথা বলেন।
গত বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) ভারতে বসে পলাতক শেখ হাসিনার বক্তব্য ঘিরে বাংলাদেশে ধানমন্ডি বত্রিশে ভাঙচুরের ঘটনায় জনগণকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা মাহফুজ আলম। বৃহস্পতিবার রাতে ফেসবুকে এক পোস্টে তিনি এ আহ্বান জানান।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, অন্তর্বর্তী সরকার গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ করছে যে কতিপয় ব্যক্তি ও গোষ্ঠী সারা দেশে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও স্থাপনায় ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের চেষ্টা করছে। সরকার এ ধরনের কর্মকাণ্ড শক্তভাবে প্রতিহত করবে।
শেখ হাসিনার শাসনামলে গুমের শিকার ব্যক্তিদের আটকে রেখে নির্যাতনের জন্য গড়ে তোলা গোপন বন্দিশালা ‘আয়নাঘর’ খুব শিগগিরই পরিদর্শন করবেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। পরিদর্শনের সময় দেশি-বিদেশি গণমাধ্যমও তার সঙ্গে থাকবে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ বিভিন্ন মাধ্যমে অব্যাহতভাবে ভুয়া ও বানোয়াট থাবার্তা বলে চলেছেন, যা দেশে অস্থিতিশীলতা উসকে দিচ্ছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ভারতের সরকারের কাছে এ বিষয়ে কঠোর প্রতিবাদ জানিয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং বলছে, ধানমন্ডির ৩২ নম্বর বাড়িতে ভাঙচুরের ঘটনা অনভিপ্রেত ও অনাকাঙ্ক্ষিত। পলাতক অবস্থায় ভারতে বসে জুলাই অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে শেখ হাসিনার উসকানিমূলক বক্তব্যের কারণে জনমনে গভীর ক্রোধের সৃষ্টি হয়েছে, যার বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে।
তৌহিদ হোসেন বলেন, ভারতে বসে শেখ হাসিনার বক্তব্য না দেওয়া সম্পর্কে ভারতকে লিখিত অনুরোধ করা হয়েছিল। তার জবাব পায়নি বাংলাদেশ। ভারতকে নতুন করে আবার চিঠি দেওয়া হয়েছে। কারণ শেখ হাসিনার বক্তব্যে অনেক উসকানি থাকছে, যা দেশের জন্য ভালো নয়।
বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা মহানগরের জনসংখ্যা ও পরিষেবার ব্যাপ্তি বিবেচনায় রেখে ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লির মতো ফেডারেল সরকার নিয়ন্ত্রিত ‘ক্যাপিটাল সিটি গভর্নমেন্ট’ (রাজধানী মহানগর সরকার) গঠনের সুপারিশ করেছে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন।
জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও জুলাই অভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারী সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে আলোচনা করে ছয় সংস্কার কমিশনের দেওয়া প্রস্তাবিত সুপারিশ থেকে প্রয়োজনীয় সংস্কার চূড়ান্ত হবে। সংস্কার চূড়ান্ত করার পর সবাই জুলাই চার্টার (সনদ) স্বাক্ষর করবে এবং আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিনক্ষণ
দেশের পুরোনো চারটি বিভাগকে চারটি প্রদেশে ভাগ করার সুপারিশ করেছে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন। আজ বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে জমা দেওয়া প্রতিবেদনে এ সুপারিশ করেছেন কমিশনের প্রধান আবদুল মুয়ীদ চৌধুরী।
২০২৫ সালের জন্য ‘জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল (সংশোধন) অধ্যাদেশ’-এর খসড়া প্রকাশ করেছে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়, যার মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধ এবং বীর মুক্তিযোদ্ধার সংজ্ঞায় বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন আনার প্রস্তাব করা হয়েছে। এই খসড়ায় মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযোদ্ধার সংজ্ঞা থেকে শেখ মুজিবুর রহমানের নাম বা
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব) জাহাঙ্গীর আলম বলেছেন, কারণে-অকারণে অবরোধের নামে রাস্তা বন্ধ করে আন্দোলনে যে জনদুর্ভোগ হয়, তাতে ব্যবস্থা নিতে গেলে সমালোচনার শিকার হয় আনশৃঙ্খলা বাহিনী। ধৈর্যের সীমা শেষ করলে জনগণই তাদের বিরুদ্ধে ‘ব্যবস্থা নেবে’।
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, “আমাদের যে অভিজ্ঞতা, দেশের যে অভিজ্ঞতা, সেটা হলো হেনস্তার অভিজ্ঞতা। অপমান, অবমাননার অভিজ্ঞতা। আমরা নাগরিক হিসেবে যে দাবি আছে, অধিকার আছে, সেটা ভুলে যাওয়ার অভিজ্ঞতা। নতজানু হওয়ার অভিজ্ঞতা।”
আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি ছয় কমিশনের প্রধানরা আশু করণীয় সম্পর্কে এবং সংস্কার বিষয়ে মধ্যমেয়াদে বা দীর্ঘমেয়াদে কী করা যেতে পারে সে বিষয়ে সর্বসম্মতভাবে সুপারিশনামা পেশ করবেন। সংস্কার কমিশনগুলোর পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি প্রকাশ করা হবে বলে আশা করছি।