ভারত ও পাকিস্তানের সেনাদের মধ্যে ফের গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। কাশ্মির সীমান্তের নিয়ন্ত্রণরেখায় সোমবার (২৮ এপ্রিল) রাতে এই গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। তবে এতে হতাহতের কোনও খবর পাওয়া যায়নি।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এই চুক্তি ছিল দুই দেশের মধ্যে এক ধরনের জীবনদায়ী সেতু। ১৯৬৫, ১৯৭১ এবং ১৯৯৯ সালের যুদ্ধসহ বহু সংঘাতের সময়ও এই চুক্তি বহাল ছিল।
ভারত-শাসিত কাশ্মিরে বন্দুকধারীদের হামলার পর থেকেই ভারত-পাকিস্তানের সম্পর্ক বেশ অবনতি হয়েছে। পাল্টপাল্টি পদক্ষেপেসহ উত্তেজনা ক্রমেই চরমে পৌঁছেছে এবং এর মধ্যেই সীমান্তে ভারত-পাকিস্তানের সেনাদের মধ্যে আবারও গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এ নিয়ে টানা তিনরাত ধরে কাশ্মির সীমান্তে ভারত-পাকিস্তানের সেনাদের মধ্যে গোল
কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার পর প্রতিবেশী দেশ ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যে উত্তেজনা তৈরি হয়েছে সেটি আরও তীব্র হয়েছে পাকিস্তানের রেলওয়েমন্ত্রী হানিফ আব্বাসীর এক মন্তব্যে। তিনি বলেছেন, ভারতকে ঘায়েল করতে তার দেশ পারমাণবিক অস্ত্র বহনে সক্ষম শাহীন ও গজনবীর মতো ক্ষেপণাস্ত্রসহ ১৩০টি ক্ষেপণাস্ত্র প্র
কাশ্মীরের পেহেলগামে হামলার ঘটনায় তীব্র উত্তেজনা চলছে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে। এ বিষয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, দেশ দুটির মধ্যে সবসময়ই উত্তেজনা ছিল এবং তারা কোনো না কোনোভাবে নিজেদের মধ্যে এর সমাধান করবে।
ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মিরের পহেলগামে ভয়াবহ হামলার ঘটনার জেরে তীব্র উত্তেজনা চলছে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে। পরোক্ষভাবে পাকিস্তান এ হামলায় জড়িত এমন অভিযোগ তুলে বুধবার দেশটির সঙ্গে ১৯৬০ সালের সিন্ধু নদ পানি চুক্তি স্থগিত করার ঘোষণা দেয় ভারত। এ নিয়ে চরম উত্তেজনার মধ্যে ভারতীয় সরকারের দলীয় নেতারা পাকিস্তানক
ভারতশাসিত কাশ্মিরের পহেলগামে পর্যটকদের ওপর প্রাণঘাতী সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি তুলেছে পাকিস্তান। দেশটির প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ বলেছেন, আন্তর্জাতিকভাবে এই হামলার তদন্ত হওয়া উচিত।
কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণরেখা (এলওসি) বরাবর বিভিন্ন স্থানে দ্বিতীয়বারের মতো ভারত ও পাকিস্তান সেনাদের মধ্যে গুলি বিনিময়ের ঘটনা ঘটেছে। ভারতের পক্ষ থেকে এই অভিযোগ করা হয়। তবে রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত পাকিস্তানের পক্ষ থেকে নতুন গুলি বিনিময় নিয়ে কোনও মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অতীতেও দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা ছড়ালেও যুদ্ধ এড়ানোর একাধিক নজির রয়েছে, যার পুনরাবৃত্তি ঘটতে পারে এবারও। তবে দুদেশের যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ার আশঙ্কাও একেবারে উড়িয়ে দিচ্ছেন না তারা।
জম্মু-কাশ্মিরে প্রাণঘাতী হামলার জেরে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে বাড়তে থাকা উত্তেজনা কমাতে মধ্যস্থতার প্রস্তাব দিয়েছে ইরান। শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সৈয়দ আব্বাস আরাগচি এ প্রস্তাব দিয়ে দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে বোঝাপড়ার জন্য কূটনৈতিক সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
পাকিস্তানের সংসদ সদস্যরা বলছেন, তারা ২২ এপ্রিলের হামলার সঙ্গে পাকিস্তানকে যুক্ত করার যেকোনো ধরনের ‘অযৌক্তিক ও ভিত্তিহীন দাবি’ দৃঢ়তার সঙ্গে প্রত্যাখ্যান করছেন।
ভারতের জলশক্তিমন্ত্রী সিআর পাতিল বলেন, সরকার স্বল্পমেয়াদি, মধ্যমেয়াদি ও দীর্ঘমেয়াদি ব্যবস্থার ওপর কাজ করছে, যেন পাকিস্তানে এক ফোঁটা পানিও না যায়। শিগগিরই নদীর প্রবাহ বন্ধ করতে ড্রেজিং কাজ সম্পন্ন হবে এবং প্রবাহ অন্যদিকে ঘুরিয়ে দেওয়া হবে।
পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর তৎকালীন প্রধান ছিলেন জেনারেল পারভেজ মোশাররফ। তাঁর পরিকল্পনাই ছিল এই অনুপ্রবেশ। তারা ধারণা করেছিল, ভারত প্রথমে বুঝতেই পারবে না যে কারা পাহাড় দখল করেছে।
যুক্তরাজ্যের স্কাই নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে খাজা আসিফ এ কথা বলেন। এ সময় তিনি আরও বলেন, পাকিস্তানি সেনাবাহিনীকে ‘যেকোনো পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত’ থাকতে বলা হয়েছে।
এই হামলা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভারতীয়রাই তীব্র ক্ষোভ জানাচ্ছেন। একই সঙ্গে তারা প্রশ্ন তুলেছেন গোয়েন্দা সংস্থা আর নিরাপত্তায় নিয়োজিতদের তৎপরতা নিয়েও। বলছেন, হামলার সময়ে নিরাপত্তা বাহিনী কোথায় ছিল!
কাশ্মীর নিয়ে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সংঘাত নতুন নয়। ১৯৪৭ সালের দেশভাগের পর থেকেই কাশ্মীর অঞ্চলকে কেন্দ্র করে দুই দেশের মধ্যে তিনটি যুদ্ধ হয়েছে