ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে নিয়ন্ত্রণরেখায় ব্যাপক গোলাগুলি

ডেস্ক, রাজনীতি ডটকম

ভারত ও পাকিস্তানের সেনাদের মধ্যে নিয়ন্ত্রণরেখায় আবারও ব্যাপক গোলাগুলি হয়েছে বলে জানিয়েছে ভারতীয় বাহিনী। এ নিয়ে টানা চতুর্থ দিনের মতো দুই দেশের সেনাদের মধ্যে গুলি বিনিময় হলো। যদিও এ ঘটনায় কোনো হতাহতের তথ্য পাওয়া যায়নি। খবর এনডিটিভির।

ভারতের সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে দাবি করা হয়, রবিবার দিবাগত রাতে পাকিস্তান সেনাবাহিনী কুপওয়ারা এবং পুঞ্চ জেলায় অবস্থিত নিয়ন্ত্রণরেখায় গুলিবর্ষণ করে। জবাবে পাল্টা গুলি চালায় ভারতীয় বাহিনী।

যদিও এ নিয়ে পাকিস্তানের পক্ষ থেকে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। ভারতীয় সেনাবাহিনীর দাবি, পাকিস্তানি সেনারা বিনা উসকানিতে গুলি ছোঁড়ে। জবাবে পাল্টা গুলি ছোঁড়ে ভারতীয় সেনারাও। পহেলগামে ভয়াবহ হামলার পর এ নিয়ে টানা চতুর্থ রাতে নিয়ন্ত্রণরেখায় গোলাগুলি হলো।

এনডিটিভি বলছে, গত সপ্তাহে দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনার বাড়ার পর পুঞ্চ সীমান্তে এই প্রথম দুই পক্ষের গুলি বিনিময় হলো। এ ঘটনায় কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

এদিকে হামলার ঘটনায় আন্তর্জাতিক তদন্তে চীন ও রাশিয়াকে যুক্ত করার প্রস্তাব দিয়েছে পাকিস্তান। গতকাল রবিবার আরআইএ নভোস্তিকে এক সাক্ষাৎকারে পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ বলেন, আমি মনে করি রাশিয়া, চীন এমনকি পশ্চিমা দেশগুলোও এই সংকটে খুব ইতিবাচক ভূমিকা পালন করতে পারে এবং তারা এমনকি একটি তদন্ত দলও তৈরি করতে পারে..। ভারত সত্য বলছে না কি মিথ্যা বলছে তা আন্তর্জাতিক তদন্ত দলকে খুঁজে বের করতে দিন।

ad
ad

বিশ্ব রাজনীতি থেকে আরও পড়ুন

গাজায় নিহত ৭০ হাজার ছাড়াল, থামছে না ইসরায়েলি হামলা

২ দিন আগে

আফগান নাগরিকদের ভিসা দেওয়া বন্ধ করল যুক্তরাষ্ট্র

এর আগে, গত বুধবার ওয়াশিংটন ডিসিতে ন্যাশনাল গার্ডের দুই সদস্যকে লক্ষ্য করে গুলির প্রধান সন্দেহভাজন হিসেবে আফগান নাগরিক রহমানউল্লাহ লাকানওয়ালের নাম প্রকাশের পর এই পদক্ষেপ নেওয়া হলো। ওই হামলায় ন্যাশনাল গার্ডের এক সদস্য নিহত হয়েছেন। আহত অন্য সদস্যের অবস্থাও গুরুতর।

২ দিন আগে

শ্রীলঙ্কায় দেশজুড়ে জরুরি অবস্থা জারি

প্রায় ৭৮ হাজার মানুষকে অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্রে নেওয়া হয়েছে এবং প্রায় ১৫ হাজারেরও বেশি বাড়িঘর ধ্বংস হয়েছে।

২ দিন আগে

যুক্তরাষ্ট্রে সব ধরনের আশ্রয় আবেদনের সিদ্ধান্ত স্থগিত

ওয়াশিংটন ডিসিতে দুজন ন্যাশনাল গার্ড সদস্যকে গুলির ঘটনার জের ধরে ট্রাম্প প্রশাসন সব ধরনের আশ্রয় সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত স্থগিত করছে। এর ফলে যে কেউ যুক্তরাষ্ট্রে আশ্রয়ের জন্য আবেদন করলে তা অনুমোদন, বাতিল, প্রত্যাখ্যান বা কোনো ধরনের সিদ্ধান্তই আর দেওয়া হবে না।

৩ দিন আগে