জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, ‘আমাদের প্রধান লক্ষ্য হচ্ছে যত দ্রুততার সঙ্গে একটি জাতীয় সনদের জায়গায় পৌঁছানো। এ কমিশনের মেয়াদ যেহেতু জুলাই মাসের মাঝামাঝি পর্যন্ত। তাই আমরা আশা করি, প্রাথমিক আলোচনা মে মাসের মাঝামাঝি পর্যায়ে শেষ করতে পারব। পরে আমরা পরবর্তী ধাপে অগ্রসর হবো।’
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, এবার প্রথমবারের মতো হাসিনামুক্ত, ফ্যাসিস্টমুক্ত বৈশাখ উদযাপন করতে পারছি। আশা করি সামনের দিনগুলোতে নববর্ষ জাতীয় উৎসব হিসেবে পালন করতে পারবো।
বিনিয়োগ সম্মেলনে আসা দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিত করতে এনসিপি কাজ করবে জানিয়ে নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, ‘বড় বড় দেশগুলো যারা বাংলাদেশকে ইনভেস্টমেন্ট হাব হিসেবে বেছে নিয়েছে, তারা আমাদের সঙ্গে কথা বলেছে। বিগত ১৫ বছরে বাংলাদেশের অর্থনীতিকে যে ভঙ্গুর করে দেওয়া হয়েছিল, সেখা
ছাত্রশিবিরের সাবেক এই নেতা বলেন, ‘পিলখানা, শাপলা ও জুলাই গণহত্যার মতো ভয়াবহ অপরাধের বিচার, ফ্যাসিবাদী দল আওয়ামী লীগের নিষিদ্ধকরণ এবং জুলাইয়ের আহত যোদ্ধা ও শহিদ পরিবারকে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী করে তোলার দাবিতে জনমত ও রাজনৈতিক আন্দোলন গড়ে তোলা এই প্ল্যাটফর্মের প্রাথমিক লক্ষ্যমাত্রা হিসেবে বিবেচিত হব
এ ছাড়া মতবিনিময় সভায় সমসাময়িক রাজনৈতিক ও চলমান সংস্কার বিষয়ে আলোচনা হয়। ফ্যাসিবাদের সময়ে হেফাজতে ইসলাম ও অন্যান্য দলগুলোর বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের মিথ্যা হয়রানিমূলক ও রাজনৈতিক প্রতিহিংসার মামলাগুলো দ্রুত প্রত্যাহার ও নিষ্পত্তি বিষয়েও সভায় একমত পোষণ করেন এনসিপি ও হেফাজত নেতারা। সংস্কার নিয়ে পারস্পরিক প্
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যানের সঙ্গে সাক্ষাৎকার করেছেন এনসিপির উত্তর ও দক্ষিণ অঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ ও সারজিস আলম।
আদালতের নির্দেশে রাজনৈতিক দল হিসেবে বাংলাদেশ মাইনরিটি জনতা পার্টিকে (বিএমজেপি) নিবন্ধন দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। দলটি প্রতীক হিসেবে বরাদ্দ পেয়েছে ‘রকেট’।
গত ৩ এপ্রিল ভারতের লোকসভায় পাস করা বিতর্কিত ওয়াকফ সংশোধনী বিল মুসলমানদের ধর্মীয় স্বাধীনতা, মালিকানা ও অধিকার হরণে বিজেপি সরকারের সুপরিকল্পিত প্রচেষ্টার আরেকটি ঘৃণ্য দৃষ্টান্ত। এই আইনের মাধ্যমে মুসলিমদের দান করা মসজিদ, মাদরাসা, কবরস্থান ও আশ্রয়কেন্দ্রের মতো ধর্মীয় সম্পদগুলোতে সরকারি হস্তক্ষেপ ও দখলের
সারজিস আলম বলেন, প্রত্যেকটি জেলা এবং উপজেলায় আমাদের অসংখ্য শুভাকাঙ্ক্ষী রয়েছেন। যারা নতুন একটি বাংলাদেশ প্রত্যাশা করে। যারা মনে করে তরুণরা অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দিয়েছে এবং বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দেওয়ার দক্ষতা আছে। এ নেতৃত্ব যেমন তরুণ নির্ভর হবে এবং নেতৃত্বে আমাদের অগ্রজরাও অবশ্যই থাকবেন। সামনে এগিয়ে
তিনি বলেন, এবারের ঈদ কয়েকটি দিক থেকে আলাদা। প্রথমত স্বৈরাচার মুক্ত প্রথম ঈদ পালন করছেন দেশবাসী। আশা করছি এই সম্প্রীতি সারাবছর বহাল থাকবে। অনেক শহীদ পরিবার তাদের সদস্যদের ছাড়া ঈদ পালন করছে, যা তাদের জন্য খুব কষ্টের। আমরা সেই পরিবারগুলোর পাশে থাকার চেষ্টা করেছি।
তিনি আরো বলেন, জাতীয় নাগরিক পার্টি তরুণদের উদ্যোগে গঠিত একটি রাজনৈতিক দলের জন্ম হয়েছে, যা বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে নতুন অধ্যায় সৃষ্টির জন্য কাজ করছে। আমরা বলেছি রাষ্ট্রের সংস্কার হতে হবে, রাষ্ট্রের মৌলিক পরিবর্তন হতে হবে, কারণ পরিবর্তনের জন্যই এই গণঅভ্যুত্থান হয়েছে। যদি সংস্কার ও পরিবর্তন না হয়,
সারজিস আলম বলেন, অনেকেই মনে করেন, সনাতন ধর্মীবলম্বী মানেই নৌকায় ভোট দেয়। এই ধারণাটা পাল্টাতে হবে। আওয়ামী লীগ মনে করতো কিছু দিই আর না দিই, ভোটটা কিন্তু আমরাই পাবো। তাহলে আপনাকে কিছু দেবে না। এটাই হয়েছে এতো দিনে।
নাসির উদ্দীন বলেন, ‘রাজধানী ঢাকায় সেই জুলাই বিপ্লবে কতজনকে যে হারিয়েছি! পঙ্গুত্ববরণ করেছেন আরো অনেক। আর তাদের রক্তের ওপর দিয়ে আমাদের নতুন এই স্বাধীনতা। সুতরাং এর মর্যাদা ধরে আগামী বাংলাদেশ গড়তে হবে।’
পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘নতুন এ পথ চলার বাঁকে বাঁকে আমরা অভিজ্ঞতা অর্জন করব। সেই অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে চলব। আমাদের এ যাত্রা অসীমের অন্তে। জাতীয় নাগরিক পার্টির বাংলাদেশকে নিয়ে দেখা স্বপ্নগুলো নিয়ে গ্রামগঞ্জ ,হাটবাজার থেকে শুরু করে প্রতিটি বাড়ির দরজায় আমরা উপস্থিত হব শিগগিরই।
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলমের গাড়ি বহরের ‘শোডাউন’ নিয়ে পক্ষে-বিপক্ষে আলোচনা ও সমালোচনা হচ্ছে। সমালোচনা করেছেন তার দলের নেত্রী সিনিয়র যুগ্ম সদস্যসচিব ডা. তাসনিম জারাও। তিনি তার ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে জনগণের সামনে এর একটি ‘গ্রহণযোগ্য ও পরিষ্কার ব্যাখ্যা’ চেয়ে
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, সংস্কার ও বিচারবিহীন নির্বাচন দেওয়া হলে তা মেনে নেওয়া হবে না জানিয়ে তিনি বলেন, পুরানো সংবিধান চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। অন্যদিকে ফ্যাসিবাদকে আবার পুনর্বাসনের ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য দ্রুত নির্বাচন দেওয়ার পাঁয়তারা চলছে।
রাজনৈতিক দলের নেতৃত্ব পাওয়ার পর বাড়ি ফেরার পথে সারজিস আলমের এই ‘শোডাউন’ নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে নানা আলোচনা-সমালোচনা চলছে। এবার এই শোডউন নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন জাতীয় নাগরিক কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক ডা. তাসনিম জারা।