কক্সবাজার সফরে গিয়ে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। পরে রাতে তাকে একটি হেলিকপ্টারে করে ঢাকায় নিয়ে আসা হয়। গতকাল রোববার (১৭ আগস্ট) এই উপদেষ্টার অ্যাপেনডিক্সের অপারেশন সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছেন তার স্ত্রী অভিনেত্রী নুসরাত ইমরোজ তিশা।
গণতন্ত্রের মূলমন্ত্র জনগণই ক্ষমতার উৎস। সেটা আজকাল কেউ মানে বলে মনে হয় না। সে বাংলাদেশেই হোক বা যুক্তরাষ্ট্র—ক্ষমতাসীন নেতাদের সবাই নিজেদের সর্বেসর্বা মনে করে। গণতন্ত্রের অন্যতম পুরোধা সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট আব্রাহাম লিংকন গণতন্ত্রের সংজ্ঞায় বলেছিলেন, ‘গভর্নমেন্ট অব দ্য পিপল, বাই দ্য পিপল, ফর দ্য
অসমের আহোম রাজবংশের শাসনামলে, রাজা লক্ষ্মী সিংহের অধীনে মোমোরিয়া বিদ্রোহের সূচনা হয়। এই বিদ্রোহের মূল কারণ ছিল রাজ্যের শাসনব্যবস্থা, ধর্মীয় বৈষম্য, এবং সাধারণ মানুষের প্রতি শোষণ। মোমোরিয়া, বা মায়ামারা, ছিল এক ধর্মীয় সম্প্রদায় যারা বৈষ্ণব ধর্মের অনুসারী ছিল। এই সম্প্রদায়ের সদস্যরা রাজ্যের শাস
অ্যাক্টিয়ামের যুদ্ধ বুঝতে হলে রোমান সাম্রাজ্যের তৎকালীন অবস্থা জানা দরকার। খ্রিস্টপূর্ব ৪৪ সালে জুলিয়াস সিজারের হত্যা হওয়ার পর রোমান রিপাবলিকের ক্ষমতা কার্যত তিনজন নেতার হাতে আসে। এরা ছিলেন অক্টাভিয়ান, মার্ক অ্যান্টনি ও লেপিডাস। ইতিহাসে যাদের সেকেন্ড ট্রাইয়ুমভিরেট বলা হয়।
তিনি বলেন, আমরা বিশ্বাস করি- গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে যেকোনো বাঁধাকে অতিক্রম করতে বাংলাদেশের মানুষ সংকল্পবদ্ধ। সব গণতান্ত্রিক শক্তি ও গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দলকে অনুরোধ করবো- আপনারা যেভাবে ফ্যাসিবাদ বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হয়েছিলেন, সেই এই রকম ঐক্য নিয়ে আগামী নির্বাচন সুষ্ঠু করতে ঐকবদ্ধ থাকতে হবে।
রশাদবিরোধী গণআন্দোলনের সময় ছাত্র শিবিরের ভূমিকা নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়। অন্য ছাত্রসংগঠনগুলো যখন সর্বাত্মকভাবে আন্দোলনে অংশ নিচ্ছিল, তখন শিবির অনেক ক্ষেত্রে সরকারপন্থী অবস্থান নিয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। এর পাশাপাশি ক্যাম্পাসে সহিংসতার ঘটনা এবং কিছু হত্যাকাণ্ড ছাত্র শিবিরকে আরও বিতর্কিত করে তোলে। বিশেষ করে ১
পাইলস নিয়ে সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো লজ্জা। অনেকেই ডাক্তারকে বলতে চান না। তাই প্রাথমিক পর্যায়ে ঘরোয়া উপায়ে সমস্যা সামলানোর চেষ্টা করা হয়। চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা বলছেন, জীবনযাত্রার পরিবর্তন আর কিছু প্রাকৃতিক পদ্ধতি অনেক ক্ষেত্রে পাইলস নিয়ন্ত্রণে আনতে সাহায্য করে।
গুপ্ত সাম্রাজ্যের শক্তি ষষ্ঠ শতকের শুরুতে এসে কিছুটা কমতে শুরু করে। সম্রাট স্কন্দগুপ্ত (প্রায় ৪৫৫–৪৬৭ খ্রিস্টাব্দ) তাঁর শাসনামলে প্রথম হূণ আক্রমণ প্রতিহত করেন। এই হূণরা ছিল মধ্য এশিয়ার যাযাবর জাতি, যারা উত্তর-পশ্চিম ভারতের দিকে ধেয়ে আসে। প্রথম যুদ্ধে স্কন্দগুপ্ত বিজয়ী হলেও এ লড়াই সাম্রাজ্যের আর্থিক
প্রাচীন যুদ্ধের ইতিহাসে ব্যাটল অব থার্মোপিলাই বা থার্মোপিলাইয়ের যুদ্ধ আত্মত্যাগ আর দেশপ্রেমের প্রতীক হয়ে আছে হাজার বছর ধরে। খ্রিস্টপূর্ব ৪৮০ সালে এই যুদ্ধ হয়েছিল গ্রিসের সংকীর্ণ এক পর্বতপথে, থার্মোপিলাই নামের জায়গায়।
হাত ও পায়ের পাতা জ্বলা অনেকের কাছেই এক অস্বস্তিকর অভিজ্ঞতা। অনেকে একে গুরুত্ব দেন না, আবার কেউ কেউ এটিকে কোনো গুরুতর অসুখের লক্ষণ হিসেবে ভাবেন। আসলে এই সমস্যার পেছনে নানা কারণ থাকতে পারে—শরীরে ভিটামিনের ঘাটতি, স্নায়ুর রোগ, ডায়াবেটিস, হরমোনের সমস্যা, এমনকি দীর্ঘ সময় দাঁড়িয়ে বা হাঁটার কারণেও এই অনুভূত
পূর্ণিমার আলোতে আমার হাতের রেখাগুলো শুকনো নদীর তলদেশের মতো ফেটে গেছে।
মহেন্দ্রবর্তী যুদ্ধের পটভূমি বুঝতে গেলে আমাদের প্রথমে জানতে হবে যে, চণ্ড্রগুপ্ত মৌর্যের সময় ভারত ছিল বহু ছোট ছোট রাজ্য ও অঞ্চল দ্বারা বিভক্ত। প্রতিটি রাজ্য ছিল স্বাধীন এবং নিজেদের স্বার্থ অনুযায়ী চলত। চণ্ড্রগুপ্ত মৌর্যের স্বপ্ন ছিল ভারতের বৃহত্তর অংশে একক শাসন প্রতিষ্ঠা করা। তার সামরিক দক্ষতা ও কূটন
তবে সেই ব্যক্তির নাম বা কোন পরিচয় প্রকাশ করেননি জয়া। শুধু এটুকু জানিয়েছেন যে, তার সেই বিশেষ মানুষ শোবিজ অঙ্গনের নন। এমনকি তারা দু’জন বহু বছর ধরে একসঙ্গে আছেন বলেও জানান এ অভিনেত্রী।
কলিঙ্গ ছিল প্রাচীন ভারতের পূর্ব উপকূলবর্তী একটি সমৃদ্ধ, স্বাধীন রাজ্য—বর্তমান ওড়িশা ও দক্ষিণ-পূর্ব আন্দ্রপ্রদেশে। এর মানুষের সাংস্কৃতিক রুচি, সামুদ্রিক বাণিজ্য, শক্তিশালী নৌদল—সকল কিছুই ছিল আত্মনির্ভর, যা মুর্য সিংহাসনে নতুন দ্বারপ্রান্তে বসা অশোককে উদ্বিগ্ন করেছিল।
শায়েস্তা খাঁ ছিলেন সম্রাট আওরঙ্গজেবের মামা এবং এক দক্ষ প্রশাসক। তিনি ক্ষমতায় আসার পরই অভ্যন্তরীণ শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনেন এবং বাংলার বাণিজ্য ও কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য নানাবিধ উদ্যোগ নেন। নদীপথের দস্যু দমন, স্থানীয় জমিদারদের নিয়ন্ত্রণ এবং বিদেশি ব্যবসায়ীদের সাথে সুচিন্তিত বাণিজ্য চুক্তি—এসবই তাঁর শাসনকে
এই গ্রন্থটি এটি সপ্তম শতকের ভারতবর্ষের একটি জীবন্ত দলিল। প্রায় ১৭ বছর ধরে ভারত ও দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন অঞ্চল ঘুরে, নিজ চোখে দেখা ও অভিজ্ঞতা অর্জন করে হিউয়েন সাং এই গ্রন্থ রচনা করেন।