অরুণাভ বিশ্বাস
মহেন্দ্রবর্তী যুদ্ধ প্রাচীন ভারতের ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। এটি শুধু একটি সামরিক সংঘর্ষই ছিল না, বরং সেই সময়ের রাজনৈতিক পরিস্থিতি, সাম্রাজ্য বিস্তার এবং ক্ষমতার লড়াইয়ের প্রতিফলন। চণ্ড্রগুপ্ত মৌর্য এবং তার শাসনকালের প্রসঙ্গে মহেন্দ্রবর্তী যুদ্ধের তাৎপর্য খুব বেশি। এই যুদ্ধ ভারতের ইতিহাসে সাম্রাজ্যবাদের প্রসার ও কেন্দ্রীয় শাসন ব্যবস্থার প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে এক নতুন দিগন্ত খুলে দেয়। সহজ ভাষায় বলতে গেলে, মহেন্দ্রবর্তী যুদ্ধ ছিল একটি সময়োপযোগী সংঘর্ষ যেখানে রাজনৈতিক দূরদর্শিতা এবং সামরিক কৌশল একসঙ্গে জোড়া লেগেছিল।
মহেন্দ্রবর্তী যুদ্ধের পটভূমি বুঝতে গেলে আমাদের প্রথমে জানতে হবে যে, চণ্ড্রগুপ্ত মৌর্যের সময় ভারত ছিল বহু ছোট ছোট রাজ্য ও অঞ্চল দ্বারা বিভক্ত। প্রতিটি রাজ্য ছিল স্বাধীন এবং নিজেদের স্বার্থ অনুযায়ী চলত। চণ্ড্রগুপ্ত মৌর্যের স্বপ্ন ছিল ভারতের বৃহত্তর অংশে একক শাসন প্রতিষ্ঠা করা। তার সামরিক দক্ষতা ও কূটনীতি তাকে এই স্বপ্ন পূরণে সহায়তা করেছিল। মহেন্দ্রবর্তী, যেটি মূলত বর্তমান পশ্চিমবঙ্গের আশেপাশের এলাকা, তখন একটি অত্যন্ত কৌশলগত অবস্থান ছিল। কারণ এটি ছিল পূর্ব ও পশ্চিম ভারতের মধ্যে সেতুবন্ধন এবং এই অঞ্চলে নিয়ন্ত্রণ থাকলে সামরিক ও বাণিজ্যিক ক্ষেত্রে বিশাল সুবিধা পাওয়া যেত। তাই এই এলাকার উপর আধিপত্য স্থাপন করা মৌর্যদের জন্য অত্যাবশ্যক হয়ে উঠেছিল।
বিদেশি গবেষক ডঃ রিচার্ড এ. গার্নার (Richard A. Garner), যিনি প্রাচীন ভারতীয় সাম্রাজ্যবাদের ওপর গবেষণা করেন, তার মতে, “মহেন্দ্রবর্তী যুদ্ধ ছিল মৌর্য সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠার জন্য এক গুরুত্বপূর্ণ সংকটকাল। এই যুদ্ধের মাধ্যমে চণ্ড্রগুপ্ত মৌর্যের নেতৃত্বে সামরিক শৃঙ্খলা এবং কৌশলগত চিন্তার এক নতুন অধ্যায় শুরু হয়। এটি শুধু একটি যুদ্ধ নয়, এটি ছিল ভারতের ঐতিহাসিক এক ঐক্যের সূচনা।” গার্নারের এই মন্তব্য আমাদের বোঝায় যে মহেন্দ্রবর্তী যুদ্ধ ছিল কেবল সামরিক জয় নয়, বরং তা রাজনৈতিক একতাবদ্ধতার পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ।
অন্যদিকে ব্রিটিশ ইতিহাসবিদ প্রফেসর এলিজাবেথ টার্নার বলেন, “মহেন্দ্রবর্তী যুদ্ধের ফলাফল মৌর্য সাম্রাজ্যের বিস্তারকে ত্বরান্বিত করেছিল এবং ভারতের বিভিন্ন সংস্কৃতির একত্রিত হওয়ার প্রাথমিক ভিত্তি রচনা করেছিল। এটি রাজনীতি এবং সামরিক কৌশলের নিখুঁত মিশ্রণ যা পরবর্তী ভারতীয় রাজতন্ত্রের নীতিমালা নির্ধারণ করে।” তার বিশ্লেষণ থেকে স্পষ্ট হয় যে এই যুদ্ধের মাধ্যমে ভারতীয় উপমহাদেশের বিভিন্ন জাতি ও সংস্কৃতি প্রথমবারের মতো কেন্দ্রীয় শাসনের অধীনে আসতে শুরু করে।
মহেন্দ্রবর্তী যুদ্ধে চণ্ড্রগুপ্ত মৌর্যের সেনাবাহিনী অত্যন্ত সংগঠিত এবং সুসজ্জিত ছিল। তিনি তার সেনাপতিদের মধ্য দিয়ে কঠোর শৃঙ্খলা বজায় রেখেছিলেন এবং সময়োপযোগী কৌশল গ্রহণ করতেন। প্রাচীন ইতিহাসের গবেষক ডঃ হেনরি জ্যাকসন বলেন, “চণ্ড্রগুপ্ত মৌর্যের সামরিক কৌশল ছিল আধুনিক যুদ্ধের পূর্বসূরি। মহেন্দ্রবর্তী যুদ্ধের মতো সংঘর্ষে তিনি প্রমাণ করেছিলেন কিভাবে সামরিক কৌশল, নীতিমালা ও শৃঙ্খলা একত্রে জয় নিশ্চিত করতে পারে।” এই মন্তব্য থেকে বোঝা যায় যে, যুদ্ধের পেছনে ছিল শুধুমাত্র কৌশলগত পরিকল্পনা ও সেনার প্রশিক্ষণ, যা পরবর্তীকালে মৌর্য সাম্রাজ্যের সাফল্যের বড় কারক হিসেবে কাজ করেছিল।
এই যুদ্ধের ফলাফল ভারতীয় ইতিহাসে এক নতুন যুগের সূচনা করে। যুদ্ধের পর চণ্ড্রগুপ্ত মৌর্যের সাম্রাজ্য ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পায়। পূর্ব ভারতের অনেক অংশ মৌর্যদের অধীনে চলে আসে এবং তাদের কেন্দ্রীয় শাসন ব্যবস্থা শক্তিশালী হয়। এটি শুধু রাজনৈতিক একতা সৃষ্টি করেনি, বরং সাংস্কৃতিক ও অর্থনৈতিক বিকাশের ক্ষেত্রও প্রশস্ত করে। বিশিষ্ট ঐতিহাসিক ডঃ মার্গারেট স্মিথ বলেন, “মহেন্দ্রবর্তী যুদ্ধের ফলে তৈরি মৌর্য সাম্রাজ্য ছিল প্রাচীন বিশ্বের অন্যতম প্রথম বৃহৎ কেন্দ্রীয়কৃত শাসন ব্যবস্থা, যা ভারতীয় উপমহাদেশে স্থায়ী শান্তি ও সমৃদ্ধির পথ খুলে দেয়।”
অর্থনৈতিক দিক থেকেও এই যুদ্ধের প্রভাব অসামান্য। যেহেতু মহেন্দ্রবর্তী অঞ্চল ছিল বাণিজ্যিক কেন্দ্রের কাছাকাছি, তাই যুদ্ধের বিজয় মৌর্যদের বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক কার্যক্রমকে ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি করে। এতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পণ্য সহজে আসা-যাওয়া শুরু হয়, যা সামগ্রিক অর্থনীতির উন্নয়নে সহায়ক হয়। অর্থনীতিবিদ ডঃ জন ফিলিপস মন্তব্য করেছেন, “মহেন্দ্রবর্তী যুদ্ধের বিজয়ের ফলে মৌর্য সাম্রাজ্যের বাণিজ্যিক পথ সুগম হয়, যা পরবর্তী সময়ে ভারতের অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।”
অন্যদিকে, এই যুদ্ধে স্থানীয় শাসক ও সামন্তশাসকদের জন্য তা ছিল একটি বড় ধাক্কা। তাদের অনেকেই নিজেদের স্বাধীনতা হারায় এবং মৌর্য সাম্রাজ্যের শাসনকর্তার অন্তর্ভুক্ত হন। তবে কিছু স্থানীয় শক্তি সংগ্রাম চালিয়ে যায়, যা পরবর্তীকালে বিভিন্ন সময়ে সামরিক সংঘর্ষের কারণও হয়। তবে সামগ্রিকভাবে এই যুদ্ধ ছিল ভারতীয় উপমহাদেশে রাজনৈতিক একতার প্রথম পদক্ষেপ।
পরিশেষে বলা যায়, মহেন্দ্রবর্তী যুদ্ধের ঐতিহাসিক গুরুত্ব শুধুমাত্র সামরিক বিজয়ে সীমাবদ্ধ নয়। এটি চণ্ড্রগুপ্ত মৌর্যের নেতৃত্বে ভারতীয় উপমহাদেশে একক শাসনের সূচনা, সাংস্কৃতিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের পথ প্রশস্ত এবং রাজনীতির এক নতুন অধ্যায়ের শুরু। বিদেশি ইতিহাসবিদ ও গবেষকদের মন্তব্য এ বিষয়কে আরো স্পষ্ট করে তুলে ধরে। তাদের বিশ্লেষণে বোঝা যায়, এই যুদ্ধের কারণে ভারতের ইতিহাসে একটি যুগান্তকারী পরিবর্তন ঘটে যা পরবর্তীতে অশোক মহানকের শাসনামলে পরিপূর্ণতা লাভ করে।
মহেন্দ্রবর্তী যুদ্ধ প্রাচীন ভারতের ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। এটি শুধু একটি সামরিক সংঘর্ষই ছিল না, বরং সেই সময়ের রাজনৈতিক পরিস্থিতি, সাম্রাজ্য বিস্তার এবং ক্ষমতার লড়াইয়ের প্রতিফলন। চণ্ড্রগুপ্ত মৌর্য এবং তার শাসনকালের প্রসঙ্গে মহেন্দ্রবর্তী যুদ্ধের তাৎপর্য খুব বেশি। এই যুদ্ধ ভারতের ইতিহাসে সাম্রাজ্যবাদের প্রসার ও কেন্দ্রীয় শাসন ব্যবস্থার প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে এক নতুন দিগন্ত খুলে দেয়। সহজ ভাষায় বলতে গেলে, মহেন্দ্রবর্তী যুদ্ধ ছিল একটি সময়োপযোগী সংঘর্ষ যেখানে রাজনৈতিক দূরদর্শিতা এবং সামরিক কৌশল একসঙ্গে জোড়া লেগেছিল।
মহেন্দ্রবর্তী যুদ্ধের পটভূমি বুঝতে গেলে আমাদের প্রথমে জানতে হবে যে, চণ্ড্রগুপ্ত মৌর্যের সময় ভারত ছিল বহু ছোট ছোট রাজ্য ও অঞ্চল দ্বারা বিভক্ত। প্রতিটি রাজ্য ছিল স্বাধীন এবং নিজেদের স্বার্থ অনুযায়ী চলত। চণ্ড্রগুপ্ত মৌর্যের স্বপ্ন ছিল ভারতের বৃহত্তর অংশে একক শাসন প্রতিষ্ঠা করা। তার সামরিক দক্ষতা ও কূটনীতি তাকে এই স্বপ্ন পূরণে সহায়তা করেছিল। মহেন্দ্রবর্তী, যেটি মূলত বর্তমান পশ্চিমবঙ্গের আশেপাশের এলাকা, তখন একটি অত্যন্ত কৌশলগত অবস্থান ছিল। কারণ এটি ছিল পূর্ব ও পশ্চিম ভারতের মধ্যে সেতুবন্ধন এবং এই অঞ্চলে নিয়ন্ত্রণ থাকলে সামরিক ও বাণিজ্যিক ক্ষেত্রে বিশাল সুবিধা পাওয়া যেত। তাই এই এলাকার উপর আধিপত্য স্থাপন করা মৌর্যদের জন্য অত্যাবশ্যক হয়ে উঠেছিল।
বিদেশি গবেষক ডঃ রিচার্ড এ. গার্নার (Richard A. Garner), যিনি প্রাচীন ভারতীয় সাম্রাজ্যবাদের ওপর গবেষণা করেন, তার মতে, “মহেন্দ্রবর্তী যুদ্ধ ছিল মৌর্য সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠার জন্য এক গুরুত্বপূর্ণ সংকটকাল। এই যুদ্ধের মাধ্যমে চণ্ড্রগুপ্ত মৌর্যের নেতৃত্বে সামরিক শৃঙ্খলা এবং কৌশলগত চিন্তার এক নতুন অধ্যায় শুরু হয়। এটি শুধু একটি যুদ্ধ নয়, এটি ছিল ভারতের ঐতিহাসিক এক ঐক্যের সূচনা।” গার্নারের এই মন্তব্য আমাদের বোঝায় যে মহেন্দ্রবর্তী যুদ্ধ ছিল কেবল সামরিক জয় নয়, বরং তা রাজনৈতিক একতাবদ্ধতার পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ।
অন্যদিকে ব্রিটিশ ইতিহাসবিদ প্রফেসর এলিজাবেথ টার্নার বলেন, “মহেন্দ্রবর্তী যুদ্ধের ফলাফল মৌর্য সাম্রাজ্যের বিস্তারকে ত্বরান্বিত করেছিল এবং ভারতের বিভিন্ন সংস্কৃতির একত্রিত হওয়ার প্রাথমিক ভিত্তি রচনা করেছিল। এটি রাজনীতি এবং সামরিক কৌশলের নিখুঁত মিশ্রণ যা পরবর্তী ভারতীয় রাজতন্ত্রের নীতিমালা নির্ধারণ করে।” তার বিশ্লেষণ থেকে স্পষ্ট হয় যে এই যুদ্ধের মাধ্যমে ভারতীয় উপমহাদেশের বিভিন্ন জাতি ও সংস্কৃতি প্রথমবারের মতো কেন্দ্রীয় শাসনের অধীনে আসতে শুরু করে।
মহেন্দ্রবর্তী যুদ্ধে চণ্ড্রগুপ্ত মৌর্যের সেনাবাহিনী অত্যন্ত সংগঠিত এবং সুসজ্জিত ছিল। তিনি তার সেনাপতিদের মধ্য দিয়ে কঠোর শৃঙ্খলা বজায় রেখেছিলেন এবং সময়োপযোগী কৌশল গ্রহণ করতেন। প্রাচীন ইতিহাসের গবেষক ডঃ হেনরি জ্যাকসন বলেন, “চণ্ড্রগুপ্ত মৌর্যের সামরিক কৌশল ছিল আধুনিক যুদ্ধের পূর্বসূরি। মহেন্দ্রবর্তী যুদ্ধের মতো সংঘর্ষে তিনি প্রমাণ করেছিলেন কিভাবে সামরিক কৌশল, নীতিমালা ও শৃঙ্খলা একত্রে জয় নিশ্চিত করতে পারে।” এই মন্তব্য থেকে বোঝা যায় যে, যুদ্ধের পেছনে ছিল শুধুমাত্র কৌশলগত পরিকল্পনা ও সেনার প্রশিক্ষণ, যা পরবর্তীকালে মৌর্য সাম্রাজ্যের সাফল্যের বড় কারক হিসেবে কাজ করেছিল।
এই যুদ্ধের ফলাফল ভারতীয় ইতিহাসে এক নতুন যুগের সূচনা করে। যুদ্ধের পর চণ্ড্রগুপ্ত মৌর্যের সাম্রাজ্য ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পায়। পূর্ব ভারতের অনেক অংশ মৌর্যদের অধীনে চলে আসে এবং তাদের কেন্দ্রীয় শাসন ব্যবস্থা শক্তিশালী হয়। এটি শুধু রাজনৈতিক একতা সৃষ্টি করেনি, বরং সাংস্কৃতিক ও অর্থনৈতিক বিকাশের ক্ষেত্রও প্রশস্ত করে। বিশিষ্ট ঐতিহাসিক ডঃ মার্গারেট স্মিথ বলেন, “মহেন্দ্রবর্তী যুদ্ধের ফলে তৈরি মৌর্য সাম্রাজ্য ছিল প্রাচীন বিশ্বের অন্যতম প্রথম বৃহৎ কেন্দ্রীয়কৃত শাসন ব্যবস্থা, যা ভারতীয় উপমহাদেশে স্থায়ী শান্তি ও সমৃদ্ধির পথ খুলে দেয়।”
অর্থনৈতিক দিক থেকেও এই যুদ্ধের প্রভাব অসামান্য। যেহেতু মহেন্দ্রবর্তী অঞ্চল ছিল বাণিজ্যিক কেন্দ্রের কাছাকাছি, তাই যুদ্ধের বিজয় মৌর্যদের বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক কার্যক্রমকে ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি করে। এতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পণ্য সহজে আসা-যাওয়া শুরু হয়, যা সামগ্রিক অর্থনীতির উন্নয়নে সহায়ক হয়। অর্থনীতিবিদ ডঃ জন ফিলিপস মন্তব্য করেছেন, “মহেন্দ্রবর্তী যুদ্ধের বিজয়ের ফলে মৌর্য সাম্রাজ্যের বাণিজ্যিক পথ সুগম হয়, যা পরবর্তী সময়ে ভারতের অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।”
অন্যদিকে, এই যুদ্ধে স্থানীয় শাসক ও সামন্তশাসকদের জন্য তা ছিল একটি বড় ধাক্কা। তাদের অনেকেই নিজেদের স্বাধীনতা হারায় এবং মৌর্য সাম্রাজ্যের শাসনকর্তার অন্তর্ভুক্ত হন। তবে কিছু স্থানীয় শক্তি সংগ্রাম চালিয়ে যায়, যা পরবর্তীকালে বিভিন্ন সময়ে সামরিক সংঘর্ষের কারণও হয়। তবে সামগ্রিকভাবে এই যুদ্ধ ছিল ভারতীয় উপমহাদেশে রাজনৈতিক একতার প্রথম পদক্ষেপ।
পরিশেষে বলা যায়, মহেন্দ্রবর্তী যুদ্ধের ঐতিহাসিক গুরুত্ব শুধুমাত্র সামরিক বিজয়ে সীমাবদ্ধ নয়। এটি চণ্ড্রগুপ্ত মৌর্যের নেতৃত্বে ভারতীয় উপমহাদেশে একক শাসনের সূচনা, সাংস্কৃতিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের পথ প্রশস্ত এবং রাজনীতির এক নতুন অধ্যায়ের শুরু। বিদেশি ইতিহাসবিদ ও গবেষকদের মন্তব্য এ বিষয়কে আরো স্পষ্ট করে তুলে ধরে। তাদের বিশ্লেষণে বোঝা যায়, এই যুদ্ধের কারণে ভারতের ইতিহাসে একটি যুগান্তকারী পরিবর্তন ঘটে যা পরবর্তীতে অশোক মহানকের শাসনামলে পরিপূর্ণতা লাভ করে।
মানবাধিকার সংস্থার তথ্য তুলে ধরে সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ২০০৮ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত গুম, বিচারবহির্ভূত হত্যা, পুলিশি নির্যাতনসহ নানা প্রতিহিংসামূলক হামলায় ৭,১৮৮ জন ভুক্তভোগী হয়েছেন। এর মধ্যে ৭০৯ জন গুমের শিকার, তার মধ্যে অনেকে এখনো ফিরে আসেননি, তারা আমার মতো সৌভাগ্যবান নয়। ২,৬৯৩ জন বিচারবহির্ভূত
১ দিন আগেএরশাদবিরোধী আন্দোলনের প্রসঙ্গ টেনে নুর বলেন, ‘সেই সময় রাজনৈতিক দলগুলো ঐক্যবদ্ধ হতে পারেনি। যখন ছাত্রসংগঠনগুলো সর্বদলীয় ছাত্রঐক্য গঠন করেছিল, তখন রাজনৈতিক দলগুলো ঐক্যবদ্ধ হয়েছিল। চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানেও রাজনৈতিক দলগুলো সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি। এখন যদি আসল কথা বলি, অনেকের সাংগঠনিক শক্তি, জনশক্তি আমার বি
১ দিন আগেআজ রোববার বিকেলে রাজশাহী মহানগর বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন। প্রায় আধাঘণ্টার বক্তব্যে তিনি নেতা-কর্মীদের মধ্যে ঐক্যের গুরুত্ব ও রাষ্ট্র সংস্কারের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন।
১ দিন আগেস্বৈরাচার সরকারের সমালোচনা করে তারেক রহমান বলেন, ‘স্বৈরাচার এ দেশের অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীকে ধ্বংস করে দিয়েছে। তা আবার পুনর্গঠন করবে বিএনপি। সে লক্ষ্যের দিকেই এগিয়ে যাচ্ছি আমরা।’
১ দিন আগে