ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন আরও বলেন, ওয়াকফ যারা করে গেছেন তাদের উদ্দেশ্য ছিল অত্যন্ত মহৎ। কেবল আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন, মানুষের সেবা, জনকল্যাণ ও পারলৌকিক মুক্তির জন্যই ওয়াকিফরা তাদের মূল্যবান সম্পত্তি ওয়াকফ করে গেছেন।
হজযাত্রী পরিবহনে অংশ নিয়েছিল তিনটি বিমান সংস্থা- বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স, সৌদি এয়ারলাইন্স ও ফ্লাইনাস। এর মধ্যে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ফিরিয়ে এনেছে ৩০ হাজার ৪৪৩ জন হজযাত্রী, সৌদি এয়ারলাইন্স ২৬ হাজার ৩৫৪ জন এবং ফ্লাইনাস এয়ারলাইন্স ৮ হাজার ৭৭৬ জন হাজিকে।
বিশ্ব মুসলিম উম্মাহর জন্য এই ১০ দিন শুধু আবেগ নয়, আত্মশুদ্ধি ও আত্মজিজ্ঞাসারও উপলক্ষ্য। ইসলামি ইতিহাসে বহু গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা, যেমন— আশুরা দিবস, তেমনিভাবে ইমাম হোসাইন (রা.)-এর শাহাদাত এ মাসকে দিয়েছে অমরতা।
বাংলাদেশের আকাশে হিজরি ১৪৪৭ সালের প্রথম মাস মুহাররমের চাঁদ দেখা গেছে। ফলে আগামীকাল শুক্রবার (২৭ জুন) থেকে মুহাররম মাস তথা নতুন হিজরি সালের যাত্রা শুরু হবে। একই হিসাবে ৬ জুলাই (রোববার) পবিত্র আশুরা পালন করা হবে।
পবিত্র হজ পালন শেষে সৌদি আরব থেকে এখন পর্যন্ত দেশে ফিরেছেন ৩৬ হাজার ৬০১ জন হাজি। শুক্রবার (২০ জুন) হজ সম্পর্কিত সর্বশেষ বুলেটিনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
চলতি বছর পবিত্র হজপালন করতে সৌদি আরবে গিয়ে সর্বশেষ মঙ্গলবার (১০ জুন) হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ার গোলাম মোস্তফা (৫৮)। এ নিয়ে হজপালনে গিয়ে এখন পর্যন্ত ২২ বাংলাদেশি মৃত্যুবরণ করেছেন। এদের মধ্যে ২০ জন পুরুষ ও নারী দুইজন।
পবিত্র হজ পালন শেষে সৌদি আরব থেকে দেশে ফিরতে শুরু করেছেন বাংলাদেশি হাজিরা। আজ মঙ্গলবার (১০ জুন) সকাল ১১টায় সৌদি এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে ৩৬৯ জন হাজি ঢাকা পৌঁছান।
শনিবার (৭ জুন) হাইকোর্টসংলগ্ন জাতীয় ঈদগাহে সকাল সাড়ে ৭টায় প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় নামাজ শেষে দেশবাসীকে ঈদের শুভেচ্ছা জানান প্রধান উপদেষ্টা।
সারা দেশে মুসলিমদের অন্যতম বড় ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল আজহা উদ্যাপিত হচ্ছে। প্রতি বছরের মতো এবারও বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে পর্যায়ক্রমে পাঁচটি ঈদের জামাত হবে। এরই মধ্যে সকাল ৭টায় প্রথম ও ৮টায় দ্বিতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে।
প্রতিবারের মতো এবারও পবিত্র হজের মূল দিন ৯ জিলহজে আরাফার ময়দান থেকে হজের খুতবা দেওয়া হয়েছে। মসজিদুল হারামের খতিব ও সৌদি আরবের প্রভাবশালী আলেম শায়খ ড. সালেহ বিন হুমাইদ এবার খুতবা দেন।
আজ পবিত্র হজের দিন, ইওয়ামুল আরাফাহ। ‘লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক’ ধ্বনিতে পবিত্র আরাফার পাহাড় ঘেরা ময়দান ছাপিয়ে আকাশ-বাতাস মুখর ও প্রকম্পিত হচ্ছে ।
মিনায় অবস্থানের মধ্য দিয়ে আজ শুরু হচ্ছে হজের আনুষ্ঠানিকতা। এরইমধ্যে মিনায় পৌঁছেতে শুরু করেছেন হজ করতে যাওয়া মুসল্লিরা। সবার মুখে মুখে ‘লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক’ ধ্বনি। নিয়ম অনুযায়ী, মঙ্গলবার (৭ জিলহজ) সন্ধ্যার পর মক্কার পবিত্র মসজিদুল হারাম বা নিজ আবাসন থেকে হজের নিয়ত করে প্রায় ৯ কিলোমিটার
সৌদি আরবে জিলহজ মাসের চাঁদ দেখা গেছে। আগামী ৬ জুন দেশটিতে ঈদুল আজহা উদযাপন হবে। তার আগের দিন ৫ জুন থেকে শুরু হবে হজ। আজ সন্ধ্যা চাঁদ দেখা কমিটির বৈঠকের পর ঈদের দিনের ঘোষণা আসবে।
এ বছর হজের খুতবা দেবেন কাবার ইমাম শায়খ ড. সালেহ ইবনে আব্দুল্লাহ আল হুমাইদ। সম্প্রতি সৌদি রয়্যাল কোর্ট ঘোষণা করেছে যে, সৌদি বাদশাহ শায়খ সালেহ ইবনে আবদুল্লাহ আল হুমাইদকে ১৪৪৬ হিজরির আরাফার খতিব হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন। ৯ জিলহজ ১৪৪৬ হিজরি মসজিদে নামিরা থেকে তিনি হজের খুতবা প্রদান করবেন।
সৌদি আরবে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. দেলওয়ার হোসেন বিমানবন্দরে বাংলাদেশি হজযাত্রীদের স্বাগত জানান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেদ্দাস্থ বাংলাদেশ কনস্যুলেটের কনসাল জেনারেল মিয়া মো. মাইনুল কবির ও বাংলাদেশ হজ মিশনের কাউন্সিলর মো. জহিরুল ইসলামসহ অন্যান্য কর্মকর্তা।