৫ আগস্ট সরকার পরিবর্তনের পর এই রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে আবেদন করেন সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদারসহ পাঁচ বিশিষ্ট ব্যক্তি। অন্য চারজন হলেন- তোফায়েল আহমেদ, এম হাফিজউদ্দিন খান, জোবাইরুল হক ভূঁইয়া ও জাহরা রহমান।
সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার (বিচার) মো. মোয়াজ্জেম হোসেন ২৫ বিচারপতির শপথ অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন। শপথের আগে পবিত্র কোরআন শরীফ থেকে তিলাওয়াত, গীতা পাঠ ও ত্রিপিটক পাঠ করা হয়।
হাইকোর্টের অতিরিক্ত বিচারক হিসেবে নিয়োগ পাওয়াদের মধ্যে মো. লুৎফর রহমান জাতীয় নাগরিক পার্টির মুখ্য সমন্বয়ক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলমের শ্বশুর। জুলাই অভ্যুত্থানের পর অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নিলে তিনি ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ পেয়েছিলেন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, গত বছরের ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে যাত্রাবাড়ীতে অংশ নেন মো. আসাদুল হক বাবু। দুপুর আড়াইটার দিকে আসামিদের ছোড়া গুলিতে গুলিবিদ্ধ হন তিনি। চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এই মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ১২ নভেম্বর দিন ধার্য করেন ট্রাইব্যুনাল। গত ১২ আগস্ট এই আদেশ দেওয়া হয়। ওই দিন ট্রাইব্যুনালে প্রসিকিউশনের পক্ষে শুনানি করেন প্রসিকিউটর গাজী এম এইচ তামিম।
তদন্তে দুই মাস সময় আবেদনের প্রেক্ষিতে রবিবার ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মূর্তজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এ আদেশ দেন।
আইনজীবী মো. তানভীর আহমেদ জানিয়েছেন, আদালত জানতে চেয়েছেন, কেন জুলাই–আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানের সময় মানবাধিকার লঙ্ঘন সম্পর্কিত জাতিসংঘের ফ্যাক্ট-ফাইন্ডিং প্রতিবেদনকে ‘ঐতিহাসিক দলিল’ হিসেবে ঘোষণা করা হবে না।
গত ৩১ জুলাই বহুল আলোচিত ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত তারেক রহমান ও মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ সব আসামির খালাসের রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের দায়ের করা আপিলের দ্বিতীয় দিনের শুনানি শেষ হয়।
সুখরঞ্জন বালি ছিলেন সাঈদী মামলার রাষ্ট্রপক্ষের একজন সাক্ষী। ২০১২ সালে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে সাক্ষ্য দিতে এসে তিনি আদালতে সাঈদীর পক্ষে বক্তব্য দেন। এর কিছুক্ষণের মধ্যেই তিনি আদালত চত্বর থেকে নিখোঁজ হয়ে যান। পরে, তাকে ভারতের একটি কারাগারে পাওয়া যায় বলে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা ও
১৬ আসামির মধ্যে কারাগারে থাকা আটজনকে এদিন আদালতে হাজির করা হয়। তারা হলেন- ঢাকা জেলা পুলিশের সাবেক অতিরিক্ত সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) আব্দুল্লাহিল কাফী, সাবেক অতিরিক্ত সুপার (সাভার সার্কেল) শাহিদুল ইসলাম, পরিদর্শক আরাফাত হোসেন, এসআই মালেক, এসআই আরাফাত উদ্দিন, এএসআই কামরুল হাসান, আবজাল হোসেন ও কনস্টে
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ সব আসামির খালাসের পক্ষে আজ শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এস এম শাহজাহান ও আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির।
মামলায় তাকে কোনো ধরনের নোটিশ ছাড়াই অব্যাহতি দিয়ে তার জায়গায় অন্য একজনকে অবৈধভাবে নিয়োগ দিয়ে এমপিওভুক্ত করার অভিযোগ করা হয়েছে।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০২২ সালের ১০ ডিসেম্বর বিএনপির মহাসমাবেশ সফল করার লক্ষ্যে দেশব্যাপী প্রচারণা শুরু হয়। এরই অংশ হিসেবে ২০২২ সালের ১ ডিসেম্বর থেকে ৪ ডিসেম্বর ঢাকা মহানগর পূর্ব ছাত্রদলের পক্ষ থেকে কলাবাগান এলাকায় প্রচারণা চলতে থাকে।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করছেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আবদুল্লাহ আল মাহমুদ মাসুদ। তারেক রহমান-বাবরের পক্ষে শুনানি করবেন অ্যাডভোকেট এস এম শাহজাহান, অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির।