এর আগে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে রাজধানীর শাহবাগ মোড় অবরোধ করে ছাত্র-জনতা। এদিন বিকেল ৪টা ৪০ মিনিট থেকে শাহবাগে বাড়তে থাকে আন্দোলনকারীদের উপস্থিতি। এরপর থেকে নানান স্লোগান-গানে উত্তাল শাহবাগ। আন্দোলনে অংশ নিচ্ছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরাও।
নতুন এ রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্মের সদস্যসচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন আরেফিন মোহাম্মদ হিজবুল্লাহ। এ ছাড়াও প্রধান সমন্বয়কারী রাফে সালমান রিফাত, প্রধান সংগঠক নাইম আহমেদ এবং মুখপাত্র হিসেবে রয়েছেন শাহরিন সুলতানা ইরা।
হাসনাত বলেন, ‘১০০টা ফেরাউন একসঙ্গে করলেও একটা হাসিনা পাওয়া যাবে না। আওয়ামী লীগকে কোন কারণে রাজনৈতিক দল বলা হয়? আমরা শুনতে পাচ্ছি প্রধান উপদেষ্টা নাকি রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বসার চেষ্টা করছেন। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বসে তিনি নাকি আওমী লীগ নিষিদ্ধের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন।’
আওয়ামী লীগকে সন্ত্রাসী সংগঠন ঘোষণার মাধ্যমে নিষিদ্ধ করার দাবিতে আন্দোলনরতরা প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার সামনেই জুমার নামাজ আদায় করেছেন। শুক্রবার দুপুর ১টার দিকে আন্দোলনকারীরা মঞ্চ থেকে এসে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের সামনের রাস্তার ওপরেই নামাজের প্রস্তুতি নেন।
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে আজ বাদ জুমা বড় জমায়েতের ডাক দিয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি। এনসিপির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ এ ডাক দেন। জমায়েতের লক্ষ্যে সমাবেশের জন্য ট্রাক দিয়ে মঞ্চ তৈরি করা হচ্ছে। প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার পূর্ব পাশে ফোয়ারার সামনে এই মঞ্চ তৈরির কাজ চলছে।
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে আজ (শুক্রবার) বাদ জুমা বড় জমায়েতের ডাক দিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ। প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার পূর্ব পাশে ফোয়ারার সামনে এই জমায়েত হবে। এতে দল মত নির্বিশেষে সবাইকে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
আওয়ামী লীগের বিচার ও দলটির রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধের বিষয়ে সুস্পষ্ট রোডম্যাপ (পথনকশা) ঘোষণার দাবিতে বৃহস্পতিবার রাত ১০টা থেকে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার সামনে শিক্ষার্থীদের অবস্থান কর্মসূচি এখনও চলছে।
দলের শীর্ষ নেতৃত্বের অবস্থানে এনসিপির নেতাকর্মীরাও রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন স্থান থেকে ছুটে গিয়ে অবস্থান নিয়েছেন যমুনার সামনে। সেখানে অন্যদের সঙ্গে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে স্লোগান ধরেছেন নাহিদও। ধীরে ধীরে তাদের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন অন্যান্য দল ও সংগঠনের নেতাকর্মীরাও।
রাত ১১টার দিকে যমুনার সামনে গিয়ে শতাধিক ব্যক্তির উপস্থিতি দেখা গেছে। এ সময় সেখানে উপস্থিত সবাই স্লোগান দিচ্ছিলেন— ‘আমার ভাই কবরে, খুনি কেন বাইরে’, ‘ব্যান করো ব্যান করো, আওয়ামী লীগ ব্যান করো’, ‘গোলামি না আজাদি, আজাদি আজাদি’। অবস্থান কর্মসূচির কারণে যমুনার সামনের সড়কে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।
সরকার পতনের ওই আন্দোলনের অন্যতম নেতা হাসনাতের অভিযোগ, আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের জন্য সক্রিয় ভূমিকা রাখছে ভারতীয় হাইকমিশনসহ গোয়েন্দা সংস্থা। এর অংশ হিসেবেই জুলাই-আগস্ট আন্দোলনের সময় সংঘটিত হত্যা ও গণহত্যার বিচার কার্যক্রম বিলম্বিত করা হচ্ছে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, ‘আপসহীন’ ভাবমূর্তির কারণে রাজনীতির যে উচ্চতায় খালেদা জিয়া উঠেছেন, তাতে বিএনপির দলীয় রাজনীতিতে অপরিহার্য হলেও চলমান সংকটে জাতীয় ঐক্য প্রতিষ্ঠায় তার ভূমিকা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। দেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণ প্রক্রিয়াতেও তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারেন।
দীর্ঘ ৪ মাস পর যুক্তরাজ্যের লন্ডন থেকে দেশে ফিরেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। তাকে স্বাগত জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম।
সোমবার (৫ মে) এনসিপির পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশন নিয়ে দলটির আনুষ্ঠানিক এই অবস্থান তুলে ধরা হয়েছে। পার্টির যুগ্ম সদস্য সচিব (দপ্তর) সালেহ উদ্দিন সিফাতের সই করা বিবৃতিটি এনসিপির ফেসবুক পেজে প্রকাশ করা হয়েছে।
নির্বাচন কমিশন বলছে, ডিসেম্বরে ভোট ধরেই তারা প্রস্ততি নিচ্ছে। সরকারের তরফ থেকেও আগের মতোই বলা যাচ্ছে, সংস্কারের পরিমাণের ওপর ভিত্তি করে নির্বাচন ডিসেম্বর থেকে আগামী বছরের জুনের মধ্যে হবে।
একই তথ্য জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সমন্বয়ক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম। নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে তিনি লিকেছেন, হাসনাতের গাড়িতে ১০-১২ জন সন্ত্রাসী গাজীপুর এলাকায় হামলা করেছে। গাড়ির গ্লাস ভেঙে গিয়েছে, হাত রক্তাক্ত হয়েছে। আশপাশে যারা আছেন হাসনাতকে প্রটেক্ট করুন।
নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন নিয়ে ইসলামি দলগুলোর প্রতিবাদের সমালোচনা করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম নেতা উমামা ফাতেমা। তিনি বলেন, (নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের) প্রস্তাবনা ঠিক মনে না হলে মত-দ্বিমতের সুযোগ রয়েছে। সেটা না করে পুরো কমিশন বাতিলের কথা তোলা হচ্ছে কোন উদ্দেশ্যে? এই কমিশনের
সমাবেশে হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, আওয়ামী লীগ একটি সন্ত্রাসী সংগঠন। আওয়ামী লীগের মৃত্যু হয়েছে বাংলাদেশে, তার জানাজা হয়েছে দিল্লিতে। আওয়ামী লীগ কোনো রাজনৈতিক দল নয়। শেখ মুজিব বাকশাল কায়েম করে গণতন্ত্রকে গলা টিপে হত্যা করেছেন। ৩০ হাজার জাসদকর্মীকে হত্যা করেছিলেন।