বৈঠকে এনসিপির প্রতিনিধিদলে থাকবেন দলের মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী, যুগ্ম আহ্বায়ক ও পলিসি অ্যান্ড রিসার্চ লিড খালেদ সাইফুল্লাহ এবং যুগ্ম সদস্য সচিব জহিরুল ইসলাম মুসা।
জুলাই সনদকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে দূরত্ব তৈরি এবং ইসলামিক দলগুলো ছাড়া অন্য দলগুলোর মধ্যে সমন্বয় নেই; এই দূরত্ব পতিত সরকারকে সুযোগ তৈরি করে দেবে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, জামায়াত ইসলামি দল নাকি- আমি জানি না। ইসলামিক দল-অ ইসলামিক দল ক্যাটাগরি করা হয় তার পক্ষে আমি না।
ইসি বলছে, কারও কোনো দাবি-দাওয়ার মুখে নয়, তারা নির্বাচনি প্রতীকের সংখ্যা বাড়ানোর প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে এই প্রতীকটি অন্তর্ভুক্ত করেছে। আগের তালিকার কিছু প্রতীক নিয়ে আপত্তি থাকায় সেগুলো সংশোধন করে নতুন প্রতীক যুক্ত করা হয়েছে মাত্র।
জহুরুল ইসলাম মুসা বলেন, ‘শাপলা কলি’ দেওয়া হলে তা আমরা মানব না। আমরা শাপলা প্রতীকই চাই। ‘শাপলা কলি’ প্রতীকের তালিকায় যুক্ত করায় আমরা সন্তুষ্ট নই।’
নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, বিএনপি অনলাইনে ‘না’ শব্দ জারি করেছে। বিএনপির ‘না’ বলার কোনো ওয়ে নেই। তারা অলরেডি ‘হ্যাঁ’ বলে দিয়েছেন। তারা বিবাহে রাজিও হয়েছেন, কাবিননামায় সইও করেছেন। এখন তাদের না বলার কোনো অপশন নেই। বিএনপির ভেবেচিন্তে জুলাই সনদে সই করা উচিত ছিল।
এসব বিষয়ে এখন পর্যন্ত সরকার বা ঐকমত্য কমিশনের পক্ষ থেকে কোনো ধরনের বক্তব্য না আসায় দুপক্ষের মধ্যে বিরোধের অবসান কীভাবে ঘটবে, তা নিয়ে জল্পনা-কল্পনা চলছে রাজনৈতিক অঙ্গনে। এর মধ্য আবার শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) ঐকমত্য কমিশনের মেয়াদও শেষ হয়ে যাচ্ছে। এ অবস্থায় সরকার কী সিদ্ধান্ত নেবে, সেদিকে তাকিয়ে রয়েছে সবা
জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-এর দক্ষিণাঞ্চলের মূখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেছেন, জাতীয় ঐকমত্য কমিশন সরকারের কাছে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের যে রূপরেখা সুপারিশ করেছে, তা এনসিপির ‘আপোষহীন অবস্থানের’ কারণেই সম্ভব হয়েছে।
ঐকমত্য কমিশনের সুপারিশের বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানাতে এ সংবাদ সম্মেলন ডাকা হয়েছে বলে জানা গেছে।
রাজনৈতিক দলগুলো বলছে, জুলাই সনদে কিছুটা ঐক্য এলেও সনদ বাস্তবায়নের সুপারিশে তার প্রতিফলন নেই। বিএনপির পক্ষ থেকে সরাসরি একে ‘অনৈক্য’ তৈরির প্রয়াস বলেই অভিহিত করা হয়েছে। বিশ্লেষকরাও বলছেন, সনদ বাস্তবায়নের সুপারিশ খুব বাস্তবসম্মত হয়নি।
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে তার উপদেষ্টাদের নিয়ে শহীদ মিনারে গিয়ে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের ঘোষণা দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী। তার দাবি, ঘোষণা অনুষ্ঠানে জুলাই আন্দোলনে শহীদ পরিবার ও আহতদেরও রাখতে হবে। ওই দিন এনসিপি সনদে সই করবে বলেও জান
তিনি বলেন, আমরা যদি আবার বিভিন্ন বর্গে, সূত্রে ভাগ হয়ে যাই, তখন আমাদের জন্য কঠিন হবে। এছাড়া আওয়ামী লীগ বিভিন্ন নামে ফিরে আসতে পারে। এটা তাদের ধর্ম। কারণ তাদের একটা কেবলা আছে। একটা ধর্মে যা যা থাকে তার সব আসে। তাই সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।
সারজিস আলম আরও বলেন, নির্বাচনের সময়সীমা নিয়ে আমাদের কোনো আপত্তি নেই। ফেব্রুয়ারিতেও নির্বাচন হতে পারে। কিন্তু তার আগে সরকারকে জুলাই সনদের আইনগত ভিত্তি দিতে হবে, জুলাই সনদ বাস্তবায়নের নিশ্চয়তা দিতে হবে এবং দৃশ্যমান বিচার প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে। পাশাপাশি নির্বাচন স্বাধীন ও নিরপেক্ষ হতে হবে। তাহলে ফেব
বিসিএস পরীক্ষা নিয়ে বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশনে (পিএসসি) ১৫ দফা প্রস্তাব দিয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। রবিবার দুপুরে পিএসসি চেয়ারম্যানের সঙ্গে বৈঠক করে এই প্রস্তাবগুলো দেন দলটির তিন সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল।
কেবল এনসিপির নিজেদের ব্যর্থতা নয়, বরং তাদের ঘিরে নানা ধরনের নেতিবাচক প্রচারণার পাশাপাশি প্রত্যাশার পারদ বাস্তবতাকে ছাড়িয়ে যাওয়াকেও কারণ হিসেবে মনে করছেন খোদ এনসিপির নেতারাও। তবে নিজেদের রাজনীতি ও জনঘনিষ্ঠ কর্মসূচি নিয়ে মানুষের কাছে পৌঁছানোর বিষয়েও তারা বদ্ধপরিকর।
এনসিপির সদস্যসচিব বলেন, ‘কমিশন জুলাই সনদ বাস্তবায়নের ব্যাপারে যে আন্তরিকতার জায়গা থেকে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশ প্রস্তুত করার কর্মসূচি হাতে নিয়েছে, সেটাকে আমরা সাধুবাদ জানাই। কিন্তু সেটাও যেন কোনোভাবে জুলাই ঘোষণাপত্রের মতো করে কোনো দলের চাপে পড়ে একটা কাগুজে দলিল হিসেবে জাতির কাছে বাস্তবায়ন পরি
এনসিপির সদস্য সচিব আখতার হোসেনের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলটি বৈঠকে জুলাই সনদের বাস্তবায়ন আদেশ, আইনি ভিত্তি এবং সনদের নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা করবেন বলে জানা গেছে।