এই তালিকায় ভারতের সামনে রয়েছে কেবল চীন এবং সুইজারল্যান্ড। ডব্লিউজিসির বিবৃতিতে বলা হয়েছে, একক দেশ হিসেবে গত মে মাসে ২৫ কোটি ৩০ লাখ ডলার মূল্যের স্বর্ণ ক্রয় করে স্বর্ণের ক্রেতা দেশগুলোর তালিকায় শীর্ষে রয়েছে চীন; তারপর যথাক্রমে রয়েছে সুইজারল্যান্ড এবং ভারত।
এর আগে, গতকাল বুধবার (৫ জুন) বিজেপি নেতৃত্বাধীন জোট ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্সের (এনডিএ) অন্যান্য শরিক দলের সমর্থনে নরেন্দ্র মোদিকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত করা হয়।
ভারতের নতুন সরকার গঠনের জন্য ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্সের (এনডিএ) শরিকদের সমর্থন পেয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি বা বিজেপি। গতকাল নয়াদিল্লিতে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে নরেন্দ্র মোদি এবং বিজেপি হাইকমান্ডের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে শরিক দলগুলোর। এর ফলে টানা তৃতীয়বার প্রধানমন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব পালন করতে যাচ্ছেন
টানা তৃতীয়বারের মতো সরকার গঠনের প্রাক্কালে বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক আরও জোরালো করার বার্তা দিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বুধবার (৬ জুন) রাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে তিনি এ বার্তা দেন।
টানা তৃতীয়বারের মতো প্রধানমন্ত্রীর শপথ নিতে যাচ্ছেন সদ্য শেষ হওয়া লোকসভা নির্বাচনে বিজয়ী রাজনৈতিক দল বিজেপির শীর্ষ নেতা নরেন্দ্র মোদি। আগামী শনিবার রাজধানী নয়াদিল্লিতে রাষ্ট্রপতি ভবনে হবে এই শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান।
বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোটের বৈঠকে যোগ দিতে আজ বুধবার নয়াদিল্লি যাচ্ছেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার ও অন্ধ্র প্রদেশের তেলেগু দেশম পার্টির (টিডিপি) প্রধান চন্দ্রবাবু নাইডু । লোকসভা নির্বাচনের ভোট গণনা শেষ হওয়ার এক দিন পরই এই বৈঠক হতে যাচ্ছে।
মঙ্গলবার ভারতের ১৮ লোকসভা নির্বাচনের গণনা শেষ হয়। ৫৪৩টি লোকসভা আসনের মধ্যে বিজেপি নেতৃত্বাধীন জাতীয় গণতান্ত্রিক জোট (এনডিএ) পেয়েছে ২৯৩ আসন, এর মধ্যে বিজেপি এককভাবে জয় পেয়েছে ২৪০ আসনে। অন্যদিকে বিরোধীদলের জোট ‘ইন্ডিয়া’ পেয়েছে ২৩২ আসন, এর মধ্যে প্রধান শরিক দল কংগ্রেসের ঝুলিতে গেছে ৯৯ আসন।
নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত ফল অনুযায়ী, ৫৪২টি আসনের মধ্যে ২৪০টি আসনে জয় পেয়েছে ক্ষমতাসীন দল বিজেপি। ৯৯টি আসনে জয় পেয়েছে প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেস।
এখন পর্যন্ত প্রাপ্ত ফলাফলে এটা নিশ্চিত যে, বিজেপি এককভাবে ক্ষমতায় আসতে পারছে না। লোকসভার মোট ৫৪৩ আসনের মধ্যে সরকার গড়তে প্রয়োজন ২৭২ আসন। বিজেপি যেসব আসনে এগিয়ে রয়েছে, সেগুলোতে জয় ধরলেও আসনসংখ্যা দাঁড়ায় ২৪৪টি। অন্যদিকে, একই হিসেবে কংগ্রেসের আসনসংখ্যা দাঁড়ায় ৯৮।
প্রকাশিত ফলাফলে দেখা গেছে, মোদি বারাণসিতে ৬ লাখ ১২ হাজার ৯৭০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। এই আসনে তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী অজয় রায় (কংগ্রেস) পেয়েছেন ৪ লাখ ৬০ হাজার ৪৫৭ ভোট। অর্থাৎ মোদি মাত্র ১ লাখ ৫২ হাজার ভোটের ব্যবধানে জয় পেয়েছেন।
পাহাড়ি এ কন্যা যথারীতি হিমাচল প্রদেশের মান্ডি আসনে নির্বাচন করেন। ভোটের মাঠে তিনি লড়েছেন কংগ্রেসের প্রার্থী বিক্রমাদিত্য সিংকের বিপরীতে। নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইট বলছে, কঙ্গনা ৫ লাখ ৩৭ হাজার ২২ ভোট পেয়েছেন। বিক্রমাদিত্য পেয়েছেন ৪ লাখ ৬২ হাজার২৬৭ ভোট।
বদলা নেবেন জানিয়ে তিনি বলেন, ‘কাঁথির আসন আমরাই জিতেছি। কিন্তু বিজেপির হয়ে কাজ করা পর্যেবক্ষকরা শংসাপত্র আটকে রেখেছে। পর্যবেক্ষককে কাজে লাগিয়ে, এসব করে বেড়াচ্ছে বিজেপি। আমি ছেড়ে দেব না। রাজনৈতিক বদলা নেব। দরকারে পুনর্গণনা হবে।’
এখন পর্যন্ত প্রাপ্ত ফলাফলে এটা নিশ্চিত যে, বিজেপি এককভাবে ক্ষমতায় আসতে পারছে না। লোকসভার মোট ৫৪৩ আসনের মধ্যে সরকার গড়তে প্রয়োজন ২৭২ আসন। বিজেপি যেসব আসনে এগিয়ে রয়েছে, সেগুলোতে জয় ধরলেও আসনসংখ্যা দাঁড়ায় ২৪৪টি। অন্যদিকে একই হিসাবে কংগ্রেসের আসনসংখ্যা দাঁড়ায় ৯৮।
এককভাবে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারাচ্ছে ক্ষমতাসীন বিজেপি? এখনও পর্যন্ত নরেন্দ্র মোদির বিজেপি ২৩৩টি আসনে এগিয়ে রয়েছে। যেখানে ২০১৯ সালের লোকসভার নির্বাচনে বিজেপি পেয়েছে ৩০৩টি আসন। আর বিজেপির জোট এনডিএ পেয়েছিলো ৩৫৩টি আসন।
ভারতে ৫৪৩ আসনবিশিষ্ট লোকসভার সবচেয়ে বেশি আসন উত্তর প্রদেশে, এই রাজ্যে রয়েছে ৮০টি আসন। রাজ্যটি বিজেপির শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত। তবে নির্বাচন কমিশনের সর্বশেষ তথ্যানুসারে, এবারের লোকসভা নির্বাচনে সেখানে বিরোধী দলের সমন্বয়ে গঠিত ইন্ডিয়া জোট চমক সৃষ্টি করেছে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের লাইভ আপডেটের (বাংলাদেশ সময় ১২টা ৪০ মিনিট) তথ্য অনুযায়ী, বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোট এগিয়ে রয়েছে ২৯৮টি আসনে। আর বিরোধী ‘ইন্ডিয়া’ জোট এগিয়ে ২২৫টি আসনে। অন্যান্য দলগুলো এগিয়ে ২০ আসনে। ৫৪৩ আসনের মধ্য দিল্লিতে সরকার গঠনের জন্য দরকার ২৭২ আসন।
ভারতের লোকসভা নির্বাচনের ভোট গণনা চলছে। প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী, এতে বেশিরভাগ আসনে বিজেপি এগিয়ে থাকলেও পশ্চিমবঙ্গে এখন পর্যন্ত এগিয়ে রয়েছে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল। ৫৫টি কেন্দ্রে ভোটগণনা শুরু হয়েছে।