বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ফ্যাসিবাদী শাসনামলে দেশ একটি ঘন কালো অন্ধকার সময় পার করেছে, যেখানে সাংবাদিক থেকে শুরু করে রাজনৈতিক কর্মী প্রত্যেকেই কমবেশি আক্রান্ত হয়েছেন।
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বগুড়া-৭ (গাবতলী-শাজাহানপুর) আসনে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া এবং বগুড়া-৬ (সদর) আসনে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষে মনোনয়ন সংগ্রহ করা হয়েছে।
গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করার জন্য বিএনপি সবার সহযোগিতা চায়। তবে এ সহযোগিতা কোনো ব্যক্তি বা দলের জন্য নয় বলে জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ।
মির্জা আব্বাস বলেন, অস্থিতিশীল করার মতো ঘটনা আমরা ঢাকা শহরে হতে দেবো না। যারা করতে আসবে তাদের ইনশাআল্লাহ আমরা প্রতিহত করবো। আমাদের নেতা তারেক রহমান যখন বাংলাদেশে আসবেন…, ঘোষণার পরে একটা হত্যাকাণ্ড হলো, পরপর কয়েকটা ধারাবাহিক ঘটনা ঘটলো; এটার মানে হলো এটা একটা সাজানো ছক।
এতে বলা হয়, জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব ও সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির কেন্দ্রীয় সংসদের সকল পর্যায়ের নেতাদের নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে উপস্থিত থাকার জন্য নির্দেশনা প্রদান করেছেন।
আমাদের ওসমান হাদির শোককে জাতীয় শক্তিতে পরিণত করতে হবে। আবেগকে শক্তিতে পরিণত করতে হবে। শান্তিপূর্ণভাবে আমাদের সব কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে।
নাহিদ ইসলাম বলেন, সরকারের যে নিষ্ক্রিয়তা আমরা দেখতে পেয়েছি, সরকারের একটা অংশের সংশ্লিষ্টতা ছাড়া, তাদের পরিকল্পনা ছাড়া এটা সম্ভব হতো না। কারণ এটাই প্রথম ঘটনা নয়, এর আগেও এই ধরনের ঘটনা ঘটেছে। আমরা মাজারে যে হামলা সেটা আমরা দেখতে পেয়েছি। প্রথম আলো, ডেইলি স্টারে বরাবর হুমকি দেওয়া হয়েছে। আক্রমণ করার চেষ্
জামায়াত আমির লেখেন, শহীদ ওসমান হাদির জানাজায় শরিক হতে লন্ডন সফর সংক্ষিপ্ত করে আজ সকালে ঢাকায় এসে পৌঁছেছি। আলহামদুলিল্লাহ। বিমানবন্দর থেকেই সরাসরি গিয়েছি শহীদ ওসমান হাদিকে এক নজর দেখার জন্য। তার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা হয়েছে; কিন্তু এমন শোকের মুহূর্তে সান্ত্বনা দেওয়ার মতো ভাষা আমার জানা নেই। মহান
লন্ডনের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমান। শনিবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে কাতার এয়ারলাইন্সের একটি বিমানে যুক্তরাজ্যের লন্ডনের উদ্দেশে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ছাড়েন ডা. জুবাইদা রহমান।
এ সময় দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘নৈরাজ্য প্রতিরোধ করতে রাজনৈতিক দলগুলোর ঐক্যবদ্ধ হওয়ার বিকল্প নাই।’
স্মারকলিপিতে ছাত্রদল নেতারা বলেন, আইনের শাসন ও নাগরিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা রাষ্ট্রের মৌলিক দায়িত্ব। দ্রুত এসব দাবি বাস্তবায়নের মাধ্যমে শহিদ ওসমান বিন হাদির আত্মত্যাগের প্রতি ন্যূনতম সম্মান প্রদর্শিত হবে এবং জনগণের আস্থা পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হবে।
কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে— শনিবার (২০ ডিসেম্বর) ওসমান হাদির রুহের মাগফিরাত কামনা করে দেশের জেলা/মহানগরী শাখায় দোয়া অনুষ্ঠান করা। এছাড়াও রোববার (২১ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় রাজধানী ঢাকার মগবাজারস্থ আল-ফালাহ মিলনায়তনে কেন্দ্রীয় সংগঠনের উদ্যোগে দোয়া অনুষ্ঠান।
পরিদর্শনকালে আবুল হাসান রুবেল বলেন, শহীদ শরিফ ওসমান হাদি ইতিবাচক ধারায় গণতান্ত্রিক পথে রাজনীতি বিনির্মাণ করছিলেন। নির্বাচনে প্রার্থী হয়ে জনগণের সঙ্গে কাজ করতে গিয়ে তিনি মানুষের কাছে আপন হয়ে উঠেছিলেন। তার ওপর হামলা ও হত্যাকাণ্ড দেশের গণতান্ত্রিক রাজনীতির ওপর সরাসরি আঘাত। অবিলম্বে হত্যাকারীদের গ্রেপ্ত
পোস্টে শহিদ শরিফ ওসমান হাদির শাহাদাতে গভীর শোক প্রকাশ করে তিনি বলেন, স্নেহের শহীদ শরিফ ওসমান হাদির জন্য মনটা খুবই ভারাক্রান্ত। তিনি মহান আল্লাহর মেহমান হয়ে গেছেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। আল্লাহ তাকে জান্নাতুল ফিরদাউসের উচ্চ মাকাম দান করুন।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান প্রায় ১৮ বছর লন্ডন থাকার পর আগামী ২৫ ডিসেম্বর দেশে ফিরবেন। সেজন্য বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) ট্রাভেল পাস নিতে দূতাবাসে আবেদন করেন। পরে শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) সেই ট্রাভেল পাস হাতে পেয়েছেন তিনি।
হাদির কফিন ধরে কাঁদতে দেখা যায় জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) ভিপি আবু সাদিক কায়েমসহ অন্যান্য নেতাদের।
এর আগে সন্ধ্যা ৫টা ৪৮ মিনিটে ওসমান হাদির কফিন বহনকারী বিমান বাংলাদেশের ফ্লাইটটি হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরে অবতরণ করে। এরপর সেখানে তার কফিনের পাশে নীরবে দাঁড়িয়ে থেকে শ্রদ্ধা জানান বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা।