বিএনপি এবং অন্যান্য রাজনৈতিক দল কোনো সময়েই প্রধান উপদেষ্টার পদত্যাগ চায়নি এবং এখনো চায় না উল্লেখ করে খন্দকার মোশাররফ বলেন, আমরা অন্তর্বর্তী সরকারের নেতৃত্বে ডিসেম্বরের মধ্যে একটি সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রোডম্যাপ দাবি করে এসেছি। যেহেতু সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া, তাই সংস্কার ও নির্বা
অন্তর্বর্তী সরকারের মধ্যে স্বৈরাচারী হয়ে ওঠার লক্ষ্মণ প্রকাশ হতে শুরু করেছে অভিযোগ করে আমীর খসরু বলেন, দেশের জনগণ সাংঘর্ষিক রাজনীতি বা মবোক্রেসি চায় না। রোডম্যাপ দিতে এত ভয় কেন? নির্বাচনে এত ভয় কেন? যাদের নির্বাচনে ভয়, তাদের সঙ্গে জনগণের কোনো সম্পর্ক নেই। তারা শেখ হাসিনার পথে চলছে।
বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র পদে যেকোনো সময় শপথ নিতে পারেন। শপথ পড়ানোর প্রায় সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে বিষয়টি বর্তমানে প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশের অপেক্ষায় আছে।
দেশের সব সংকটে তরুণ প্রজন্ম জাতিকে পথ দেখিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন যুবদল সভাপতি আব্দুল মোনায়েম মুন্না। আজ সোমবার রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলটির তিন সহযোগী সংগঠনের ঢাকা বিভাগীয় তারুণ্যের সমাবেশ উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
উন্নত চিকিৎসা ও পুনর্বাসনের পদক্ষেপ না নেওয়ায় রোববার (২৫ মে) দুপুরে রাজধানীর জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন জুলাই আন্দোলনে চোখ হারানো ৪ যুবক বিষপান করেছেন। বিষপানের পর তাৎক্ষণিকভাবে তাদের শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে তারা শঙ্কামুক্ত রয়েছেন।
২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর ও যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ সব আসামিকে খালাস দিয়ে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্র পক্ষের লিভ টু আপিলের ওপর শুনানি মঙ্গলবার।
অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনেই একটি সুন্দর নির্বাচন হবে জানিয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেন, বিএনপির দাবি—ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচন, গতকাল প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে সেই দাবি পুনর্ব্যক্ত করা হয়েছে।
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের উদ্দেশে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেন ‘আপনার ছেলেমানুষি মানায় না। ৮৪ বছর বয়সে আপনার এই ধরনের অভিমান মানায় না।’ আমরা আপনার পাশে আছি। আমরা সরকারের পাশে আছি বলেন তিনি।’
নির্দিষ্ট সময়ে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের দাবি জানিয়ে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, 'নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে নির্বাচনের কথা বলা কী মহাপাপ? তাদের (উপদেষ্টা পরিষদ) কথা শুনে মনে হচ্ছে তারা বিভিন্ন মানুষকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করছে। কিন্তু কেন?'
শনিবার (২৪ মে) প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে তিন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা পৃথক পৃথক বৈঠকে এসব দাবি-দাওয়ার কথা জানিয়েছে। এসব বৈঠক শেষে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, সবগুলো রাজনৈতিক দলই প্রধান উপদেষ্টাকে আকুণ্ঠ সমর্থন জানিয়েছে।
খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, প্রধান উপদেষ্টার আমন্ত্রণে আমি, আমির খসরু সাহেব, মঈন খান সাহেব ও সালাহউদ্দিন আহমেদ এসেছিলাম। তবে আমাদের আলোচনার বিষয়বস্তু আগে জানানো হয়নি। তবুও আমরা বুঝতে পেরেছি যে, বিদ্যমান পরিস্থিতি নিয়েই আলোচনা হবে।
সরেজমিন দেখা যায়, বিএনপির প্রতিনিধি দলের মধ্যে প্রথমে যমুনায় প্রবেশ করেন সালাহউদ্দিন আহমেদ। এরপর বাকি ৩ সদস্য প্রবেশ করেন।
দেশে চলমান সংকটে বিএনপি সরকারকে কী ধরনের পরামর্শ দেবে?— সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘কোথায় সংকট? আমরা তো কোনো সংকট দেখছি না।’
চলমান রাজনৈতিক অচলাবস্থা নিরসনে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে বৈঠকে বসছেন। শনিবার (২৪ মে) সন্ধ্যায় রাজধানীর উপদেষ্টা ভবনে এই দুই দলের সঙ্গে পৃথক বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, আমাদের চলাচলের কোনো নিরাপত্তা ছিল না। দিনের পর দিন কারাগারে থাকতে হয়েছে। শত শত মিথ্যা মামলায় আমাদের জীবনযাপন করতে হয়েছে। সেই জায়গা থেকে মুক্ত করেছে এই আরমান মোল্লারা। তার সন্তানরা কেন এতিমখানায় থাকবে। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দায়িত্ব নিয়ে আমাদের পাঠিয়েছেন। ইনশাআল্লাহ বিএন
তিনি আরও বলেন, ‘নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণা না করে যদি তিনি দায়িত্ব ছেড়ে দিতে চান, সেটিও তার ব্যক্তিগত ব্যাপার। তবে একান্তই যদি তিনি দায়িত্ব পালনে অপারগ হন, তাহলে রাষ্ট্র তো বসে থাকবে না। রাষ্ট্র নিজ দায়িত্বে বিকল্প ব্যবস্থা নেবে।’
জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, ‘আপনার মতো সচেতন নাগরিক, যিনি বিশ্বের দরবারে আমাদের গর্বিত করেছেন, আপনি নোবেলজয়ী। আপনি ব্যক্তিগত ইউনূস নন, আপনি জনগণের। আপনি বলেছেন পদত্যাগ করতে চাই, এসব দেখে আমার মন খারাপ হয়েছে। ড. ইউনূস, আপনি এই দেশের ১৮ কোটি মানুষের প্রতিনিধিত্ব করেন, আমরা আপনার পদত্যাগ চাই না।’