কমিশন-সরকার ও দুয়েকটি দল একই পক্ষ: বিএনপি

প্রতিবেদক, রাজনীতি ডটকম

জুলাই সনদ বাস্তবায়নে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে যে সুপারিশ জমা দিয়েছে তাতে দুটি দল জামায়াতে ইসলামী ও জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মতামতকে প্রাধান্য দেয়া হয়েছে বলে মনে করছে বিএনপি।

এ ঘটনায় বিএনপি ক্ষোভ ও বিস্ময় প্রকাশ করেছে। এ ধরনের কার্যক্রমকে আগামী ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠেয় জাতীয় নির্বাচন সঠিক সময়ে না করার অপচেষ্টা হিসেবে দেখছে দলটি। জাতীয় ঐকমত্য কমিশন ও অন্তর্বর্তী সরকারসহ আরও দুয়েকটি রাজনৈতিক দলকে একই পক্ষ ও নিজেদের প্রতিপক্ষও মনে করছে বিএনপি।

মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) রাতে বিএনপির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এসব আলোচনা হয়েছে। বিএনপি সূত্র জানিয়েছে, ভার্চুয়াল এ বৈঠকে লন্ডন থেকে যুক্ত হয়ে সভাপতিত্ব করেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, বৈঠকে নেতারা বলেন— বিএনপি সবচেয়ে বড় অংশীজন হলেও ঐকমত্য কমিশনের সুপারিশে তাদের মতামত উপেক্ষা করা হয়েছে। বিএনপিসহ বিভিন্ন দলের ‘নোট অব ডিসেন্ট’ অন্তর্ভুক্ত করার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হলেও তা বাদ দেওয়া হয়েছে। এটি জনগণ ও রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে প্রতারণার শামিল। এর মাধ্যমে ঐকমত্য কমিশন চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানের অংশীজনদের মধ্যে ঐক্যের পরিবর্তে কার্যত অনৈক্য সৃষ্টি করছে।

এর আগে দীর্ঘ আট মাস ধরে রাজনৈতিক দলগুলোর আলোচনা করে জুলাই সনদ প্রণয়ন করে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। সনদের বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া চূড়ান্ত হওয়ার আগেই গত ১৭ অক্টোবর এতে সই করে ২৫টি রাজনৈতিক দল। গত মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) সরকারের কাছে সনদ বাস্তবায়নের সুপারিশ জমা দেয় ঐকমত্য কমিশন।

এ বিষয় নিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠকে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। সুপারিশে গণভোটে পাস হওয়া প্রস্তাবগুলো স্বয়ংক্রিয়ভাবে সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার প্রস্তাবকে পাকিস্তানের সাবেক প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খানের জারি করা লিগ্যাল ফ্রেমওয়ার্ক অর্ডার (এলএফও) ও আইয়ুব খান প্রবর্তিত মৌলিক গণতন্ত্রের সঙ্গে তুলনা করেন বিএনপি নেতারা।

তারা বলছেন, ঐকমত্য কমিশনের সুপারিশে ঠিক একইভাবে দুটি দলের প্রস্তাব ও ঐকমত্য কমিশনের চিন্তা-ভাবনা জাতির ওপর চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। এর মাধ্যে সেই মৌলিক গণতন্ত্র ও এলএফও বাস্তবায়নের অপচেষ্টা করা হচ্ছে।

বৈঠকে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আব্দুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সালাহউদ্দিন আহমেদ, বেগম সেলিমা রহমান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন উপস্থিত ছিলেন।

ad
ad

রাজনীতি থেকে আরও পড়ুন

মাসুদ তালুকদারের স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করলো বিএনপি

৭ ঘণ্টা আগে

আজ আরও ১২টি দলের সঙ্গে বৈঠকে বসছে ইসি

৮ ঘণ্টা আগে

বিএনপি বড় দল, কিন্তু জনপ্রিয় দল নয়: ডা. তাহের

আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেন, জিয়াউর রহমান সাহেব যে বিএনপি করেছিলেন, সে সময় বিএনপি বড় দল এবং জনপ্রিয় দল। বেগম খালেদা জিয়া যখন বিএনপির নেতৃত্বে ছিলেন, তখনো বিএনপি ছিল বড় দল এবং জনপ্রিয় দল। আজকের সার্ভে বলে বিএনপি বড় দল, কিন্তু জনপ্রিয় দল নয়।

২০ ঘণ্টা আগে

ব্যবসায়ীদের জন্য সব কিছু করতে বিএনপি প্রস্তুত : আমীর খসরু

আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘আমরা কোনো মেগাপ্রজেক্টের দিকে যাব না। কারণ মেগাপ্রজেক্টের টাকা ফেরত দিতে সরকারের ১২টা বেজে যাচ্ছে। তার চেয়ে আমরা স্কিল ডেভেলপমেন্টের দিকে জোর দেব। মেগাপ্রজেক্ট থেকে সরে এসে স্কিল ডেভেলপমেন্টে বিনিয়োগ বাড়াবে বিএনপি।

২১ ঘণ্টা আগে