জুলাই সনদ নিয়ে ফের বিপরীত মেরুতে বিএনপি ও জামায়াত-এনসিপি

বিশেষ প্রতিনিধি, রাজনীতি ডটকম
আপডেট : ৩০ অক্টোবর ২০২৫, ০৮: ০৩
জুলাই সনদ বাস্তবায়নের সুপারিশ নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে বিপরীতমুখী অবস্থান তৈরি হয়। ছবি কোলাজ: রাজনীতি ডটকম

বিএনপির সঙ্গে জামায়াতে ইসলামী ও জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) বিপরীতমুখী অবস্থানে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের উদ্যোগে জুলাই সনদ প্রণয়ন প্রক্রিয়ায় বেশ কয়েকবার তৈরি হয়েছে অচলাবস্থা। দীর্ঘ আলাপ-আলোচনার পর সব পক্ষ থেকেই কিছু মাত্রায় ছাড় দিয়ে শেষ পর্যন্ত চূড়ান্ত হয়েছে জুলাই সনদ। এবার এই সনদের বাস্তবায়নে ঐকমত্য কমিশনের সুপারিশ নিয়ে ফের বিপরীত মেরুতে অবস্থান নিয়েছে বিএনপি ও জামায়াত-এনসিপি।

বিএনপির পক্ষ থেকে সরকার ও ঐকমত্য কমিশনের কার্যক্রমে খোলাখুলিভাবে হতাশা প্রকাশ করা হয়েছে। দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর তো সরাসরি বলেই ফেলেছেন, সনদ বাস্তবায়নের সুপারিশে কমিশন প্রতারণার আশ্রয় নিয়েছে।

অন্যদিকে ঐকমত্য কমিশনের সুপারিশকে স্বাগত জানিয়েছে জামায়াতে ইসলামী। এবার তারা সনদ বাস্তবায়নের গণভোট নভেম্বরের মধ্যেই আয়োজনের দাবিতে সরাসরি কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। আবার এনসিপি এখন পর্যন্ত জুলাই সনদে সই না করলেও তারাও ঐকমত্য কমিশনের সুপারিশকে সাদরে গ্রহণ করেছে। কমিশনের সুপারিশ দ্রুততম সময়ে বাস্তবায়নের জন্য তিন দফা দাবিও জানিয়েছে দলটি।

এসব বিষয়ে এখন পর্যন্ত সরকার বা ঐকমত্য কমিশনের পক্ষ থেকে কোনো ধরনের বক্তব্য না আসায় দুপক্ষের মধ্যে বিরোধের অবসান কীভাবে ঘটবে, তা নিয়ে জল্পনা-কল্পনা চলছে রাজনৈতিক অঙ্গনে। এর মধ্য আবার শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) ঐকমত্য কমিশনের মেয়াদও শেষ হয়ে যাচ্ছে। এ অবস্থায় সরকার কী সিদ্ধান্ত নেবে, সেদিকে তাকিয়ে রয়েছে সবাই।

বিরোধ শুরু থেকেই

বিএনপির সঙ্গে জামায়াত-এনসিপির পরস্পরবিরোধী অবস্থান পুরনো। সংসদে উচ্চকক্ষ প্রতিষ্ঠা, সংখ্যানুপাতিক (পিআর) পদ্ধতিতে ভোট, প্রধানমন্ত্রী পদের মেয়াদ, জাতীয় সাংবিধানিক কাউন্সিল— কেবল জুলাই সনদ প্রণয়ন প্রক্রিয়ার শুরু থেকেই এ রকম নানা ইস্যুতে বিপরীতমুখী অবস্থানে দেখা গেছে তাদের মধ্যে। সব ইস্যুতে না হলেও বেশির ভাগ ইস্যুতেই জামায়াত ও এনসিপির অবস্থানগত মিল ছিল লক্ষ্যণীয়, বিএনপির অবস্থান ছিল এর বিপরীতে।

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকগুলোতে নানা ইস্যু নিয়েই তীব্র বাদানুবাদ হয়েছে এসব দলের মধ্যে। বিএনপির ওয়াকআউটের ঘটনাও ঘটেছে। সব বিষয়ে একমত না হলেও ‘অ্যাগ্রি টু ডিজঅ্যাগ্রি’ নীতি মেনে সব দলই শেষ পর্যন্ত জুলাই সনদ প্রণয়নে যুক্ত থেকেছে। বিভিন্ন ধারায় নিজেদের ভিন্নমতও জানিয়েছে, যেগুলো ‘নোট অব ডিসেন্ট’ আকারে স্থান পায় জুলাই সনদে।

তবে শেষ রক্ষা হয়নি। জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি ও এর বাস্তবায়ন সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা না পেয়ে সনদ সইয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দেয়নি এনসিপি। জুলাই সনদে একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতিসহ নিজেদের মতামত উপেক্ষিত অভিযোগে বামপন্থি চার দলও— সিপিবি, বাসদ, বাসদ (মার্ক্সবাদী) ও বাংলাদেশ জাসদ— সে অনুষ্ঠান বর্জন করে।

এই পাঁচটি দল এখনো জুলাই সনদে সই করেনি। তারপরও ২৫টি দলের জুলাই সনদে সইকে ইতিবাচক হিসেবেই দেখেছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। জুলাই সনদের ৮৪ প্রস্তাবের মাত্র ১৭টিতে সব দলের ঐকমত্য এলেও ‘নোট অব ডিসেন্ট’ নামের ভিন্নমতকেও রাজনৈতিক ঐক্যের পথে অগ্রগতি হিসেবেই দেখছিলেন সবাই।

বাস্তবায়নের রূপরেখায় বিরোধ বাড়ল

রাজনৈতিক মহলে ধারণা ছিল, জুলাই সনদ বাস্তবায়নের রূপরেখা চূড়ান্ত হলে সব পক্ষের মধ্যে বিরোধ মিটবে। সনদে সই করার মাধ্যমে দলগুলো যে রাজনৈতিক অঙ্গীবকার করেছে, তা একটি অবাধ ও সুষ্ঠু জাতীয় নির্বাচনের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক উত্তরণের পথে দেশকে এগিয়ে দেবে। কিন্তু ঘটনা ঘটেছে উলটো। এখন আবার বিএনপির সঙ্গে জামায়াত-এনসিপির বিপরীতমুখী অবস্থান স্পষ্ট হয়েছে।

বিএনপির অভিযোগ, জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশের যে খসড়া ঐকমত্য কমিশন প্রণয়ন করেছে, তাতে তফসিলে সংযুক্ত জুলাই সনদের প্রস্তাবগুলোর সঙ্গে ‘নোট অব ডিসেন্ট’গুলোকে স্থান দেওয়া হয়নি। ফলে এই খসড়া দেখে মনে হয়, ওই ৮৪টি প্রস্তাবে সব দলই পরিপূর্ণভাবে একমত হয়েছে, বাস্তবে যেটি হয়নি।

এদিকে জুলাই সনদ বাস্তবায়নে গণভোটে ‘হ্যাঁ’ রায় এলে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নির্বাচিত সংসদ সদস্যদের নিয়ে গঠন করা হবে সংবিধান সংস্কার পরিষদ। এই পরিষদের হাতে থাকবে ‘গাঠনিক ক্ষমতা’ বা ‘কনস্টিটিউয়েন্ট পাওয়ার’, যেটি দিয়ে সংবিধান সংশোধন সংক্রান্ত জুলাই সনদের প্রস্তাবগুলো বাস্তবায়ন করা হবে। বিএনপির অভিযোগ, ঐকমত্য তো দূরের কথা, এই সংবিধান সংস্কার পরিষদ নিয়ে ঐকমত্য কমিশনে কখনো আলোচনাই হয়নি।

এ ছাড়া গণভোটের জন্য সুনির্দিষ্ট কোনো দিনতারিখ প্রস্তাব না করে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারির পর থেকে আগামী জাতীয় নির্বাচনের দিনসহ এর আগের যেকোনো দিনে জুলাই সনদের গণভোট আয়োজনের সুপারিশ করেছে ঐকমত্য কমিশন। এ নিয়েও উষ্মা প্রকাশ করেছে বিএনপি। তবে বিষয়টি রাজনৈতিক দলগুলো সরকারের সঙ্গে আলোচনা করে মীমাংসা করতে পারবে বলেও মনে করছে দলটি।

বিএনপির এমন আপত্তি-অভিযোগের বিপরীতে জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে ঐকমত্য কমিশনের জুলাই সনদ বাস্তবায়ন সুপারিশ নিয়ে কোনো নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া আসেনি। দলটি বরং এই সনদ বাস্তবায়নের পাশাপাশি নভেম্বরের মধ্যে জুলাই সনদের গণভোট নিয়ে এখন সরব দলটি।

এদিকে সনদে সই না করলেও সনদ বাস্তবায়নের সুপারিশ বিশ্লেষণ করে একে স্বাগতই জানিয়েছে এনসিপি। সনদের কিছু কিছু ধারা স্পষ্ট করার আহ্বান রয়েছে দলটির। এর মাধ্যমে সনদের আইনি ভিত্তি চূড়ান্ত হলে দলটির আর সনদ সইয়ে আপত্তি থাকবে না বলেও জানিয়েছে।

যা বলছে বিএনপি

দলের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক বিবৃতি না এলেও মঙ্গলবার সনদ বাস্তবায়নের সুপারিশ সরকারের কাছে জমা হওয়ার দিনই বিএনপি নেতারা নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিলেন। একই সুর বিএনপি নেতাদের কণ্ঠে শোনা গেলে বুধবারও।

এ দিন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ও ঐকমত্য কমিশনে বিএনপির প্রতিনিধিত্ব করা সালাহউদ্দিন আহমদ এক অনুষ্ঠানে সুস্পষ্টভাবে হতাশার কথা জানান। বলেন, সরকার নিরপেক্ষ আচরণ করবে, এটাই আমাদের প্রত্যাশা। কিন্তু জাতীয় ঐকমত্য কমিশন ও অন্তর্বর্তী সরকারের কর্মকাণ্ডে বিএনপি হতাশ।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য আরও বলেন, তিনি বলেন, জাতীয় ঐকমত্য কমিশন যে প্রস্তাব দিয়েছে, তাতে জাতিতে বিভক্তি ও অনৈক্য তৈরি হবে। কোনো ঐকমত্য তৈরি হবে না। তাদের উদ্দেশ্য কী, আমরা জানি না। এর মাধ্যমে তারা কী অর্জন করতে চায়, তাও আমাদের অজানা।

আরও তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। রাজধানীতে এক আলোচনা অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, (জুলাই সনদের) যে বিষয়গুলোর সঙ্গে আমরা অত্যন্ত পরিষ্কারভাবে একমত ছিলাম না, আমরা সেখানে ‘নোট অব ডিসেন্ট’ দিয়েছিলাম। সেগুলো লিপিবদ্ধ করার প্রতিশ্রুতি ছিল তাদের (জাতীয় ঐকমত্য কমিশন)। কিন্তু অবাক বিস্ময়ে আমরা লক্ষ করলাম, তারা যখন এটা প্রকাশ করলেন, সেখানে সেই ‘নোট ডিসেন্টগুলো নেই’, পুরোপুরি উপেক্ষা করা হয়েছে।

এ ঘটনাকে ‘প্রতারণা’ অভিহিত করে মির্জা ফখরুল বলেন, এটা তো ঐকমত্য হতে পারে না। তাহলে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনটা করা হয়েছিল কেন? এই ঐকমত্য কমিশন, আমি বলব জনগণের সঙ্গে এটা একটা প্রতারণা, রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে এটা প্রতারণা এবং আমি বলব যে এগুলো অবিলম্বে সংশোধন করা প্রয়োজন বলে আমি মনে করি।

ঐকমত্য কমিশনের সভাপতি প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, আপনি জনগণের কাছে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ যে আপনি (বাংলাদেশে) এখানে সত্যিকার অর্থেই যেটুকু সংস্কার দরকার সেটুকু করে জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য একটি নির্বাচন দেবেন। যদি এরযদি কোনো ব্যত্যয় ঘটে, এর থেকে বাইরে যদি আপনি যান, তার দায়দায়িত্ব সম্পূর্ণ আপনাকেই বহন করতে হবে।

নভেম্বরে গণভোটের দাবিতে জামায়াত

জুলাই সনদ বাস্তবায়নের সুপারিশকে স্বাগত জানিয়ে এবার গণভোটেই সব মনোযোগ নিবিষ্ট করেছে জামায়াতে ইসলাম। সমমনা আরও সাতটি দলকে সঙ্গে নিয়ে জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন ও নভেম্বরে গণভোটসহ পাঁচ দফা দাবিতে ঘোষণা করেছে কর্মসূচি। বাকি দলগুলো হলো— ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, খেলাফত মজলিস, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টি, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন, জাগপা ও বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টি।

বুধবার সংবাদ সম্মেলন করে এই আটটি দল লিখিত বক্তব্যে বলেছে, আমরা জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন ও নভেম্বরে গণভোট আয়োজনসহ পাঁচ দাবিতে আন্দোলন করে আসছি। আন্দোলনকে আরও বেগবান করতে আগামী ৩০ অক্টোবর নির্বাচন কমিশনে স্মারকলিপি দেওয়া হবে। ৩ নভেম্বর শীর্ষ নেতাদের বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে বৃহত্তর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।

জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, ঐকমত্য কমিশনের সুপারিশের কারণে একটি ‘ক্রিটিক্যাল সিচুয়েশন’ তৈরি হয়েছে। এ অবস্থায় গণভোটের সিদ্ধান্ত এখন সরকারকেই নিতে হবে।’ আমরা পরিষ্কার করে বলতে চাই— গণভোটের তারিখ ঘোষণায় সরকার যত দেরি করবে, জাতীয় নির্বাচন তত পিছিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হবে। রাজনীতির ময়দানে যে মেঘ জমেছে, সেই কাটাতে প্রধান উপদেষ্টাকেই উদ্যোগ নিতে হবে।

জামায়াতের নায়েবে আমির আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের আগামী জাতীয় নির্বাচনের চেয়েও জুলাই সনদের গণভোটকেই বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন। দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, জাতীয় নির্বাচন কোনো কারণে না-ও হতে পারে। কিন্তু জুলাই সনদ একটি গুরুত্বপূর্ণ দলিল, এটা সবার আগে হতে হবে। এর গণভোট জাতীয় নির্বাচনের আগেই হতে হবে, সেটা নভেম্বরের শেষ দিকে হতে পারে।

সনদ বাস্তবায়নের সুপারিশকে স্বাগত জানিয়েছে এনসিপি

জুলাই সনদে এখনো সই না করলেও সনদ বাস্তবায়নের সুপারিশকে স্বাগত জানিয়েছে এনসিপি। সুপারিশ জমার পরদিন দলীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে আনুষ্ঠানিকভাবে এ কথা জানিয়েছে দলটি। ঐকমত্য কমিশনের সুপারিশ সরকার গ্রহণ করলে এনসিপি সনদে সই করবে বলেও ইতিবাচক ইঙ্গিত দিয়েছে।

এসব সুপারিশের দ্রুত বাস্তবায়ন চেয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিন দাবি তুলে ধরেন দলটির মুখ্য সমন্বয়ক নাসিরুদ্দিন পাটওয়ারী। তিনি বলেন, জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশের প্রথম খসড়া (প্রস্তাব-১) গ্রহণের মাধ্যমে সনদের আইনি ভিত্তি নিশ্চিত করতে হবে; সংবিধান সংস্কার বিলের খসড়া প্রণয়ন করে উন্মুক্ত করতে হবে। জুলাই সনদ বাস্তবায়নের আইনি ভিত্তিসহ আদেশের খসড়া সরকার গ্রহণ করলে এনসিপির সনদ সইয়ের ব্যাপারে অগ্রগতি তৈরি হবে।

এ দিন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এক পোস্টে এনসিপির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, এনসিপির আপসহীন অবস্থানের ধারাবাহিকতায় জাতীয় ঐকমত্য কমিশন সরকারের কাছে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের রূপরেখা সুপারিশ করেছে। আমরা মনে করি, জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে এনসিপির অনড় অবস্থানের ফলেই এটি সম্ভব হয়েছে।

হাসনাত আরও বলেন, জুলাই সনদে এনসিপির সইয়ের বিষয়টি পুরোপুরি নির্ভর করছে সরকারের পরবর্তী পদক্ষেপের ওপর। অন্তর্বর্তী সরকার যদি কমিশন প্রস্তাবিত ‘প্রস্তাব-১’ গ্রহণ করে জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি নিশ্চিত করে, তবেই কেবল জাতীয় নাগরিক পার্টি এই সনদে সইয়ের বিষয়ে ইতিবাচকভাবে এগিয়ে যাবে।

ad
ad

রাজনীতি থেকে আরও পড়ুন

ঐকমত্য কমিশনের ‘চাপিয়ে দেওয়া’ সুপারিশ প্রত্যাখ্যান বিএনপির

মির্জা ফখরুল বলেন, জুলাই সনদে থাকা ‘নোট অব ডিসেন্ট’গুলোও উপেক্ষা করা হয়েছে, যা গ্রহণযোগ্য নয়। কমিশনের আলোচনায় ঐকমত্যের ভিত্তিতে সম্মত কয়েকটি দফা তাদের অগোচরেই পুনরায় সংশোধন করা হয়েছে। ঐকমত্য কমিশন জাতির ওপর এই সুপারিশ জোরজবরদস্তি চাপিয়ে দিয়েছে।

৪ ঘণ্টা আগে

৩৪ সালের মধ্যে ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতি গড়বে বিএনপি: তারেক রহমান

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ঘোষণা দিয়েছেন, ২০৩৪ সালের মধ্যে বিএনপির লক্ষ্য হবে একটি ‘অন্তর্ভুক্তিমূলক ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতি’ গড়ে তোলা, যা লাখ লাখ নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি করবে।

৪ ঘণ্টা আগে

নভেম্বরে গণভোটের দাবিতে জামায়াতসহ ৮ দলের সমাবেশ

জামায়াত ছাড়াও জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি-জাগপা, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, খেলাফত মজলিস, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টি, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন ও বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টি। মোট আটটি দল পাঁচটি দাবিতে এই কর্মসূচি পালন করছে।

৬ ঘণ্টা আগে

রাজনীতিতে নতুন করে বিভক্তি সৃষ্টির অভিযোগ কেন উঠছে?

বাংলাদেশে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সংস্কারের জন্য জুলাই সনদ বাস্তবায়নে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সুপারিশ রাজনীতিতে ঐক্যের বদলে অনৈক্য বা বিভক্তি বৃদ্ধি করবে বলে অভিযোগ উঠেছে।

৬ ঘণ্টা আগে